1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
পরিবেশসুইজারল্যান্ড

জুরিখ চিড়িয়াখানায় আফ্রিকার পরিবেশ

৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

জুরিখ চিড়িয়াখানার একটি অংশে সাভানা অরণ্য গড়ে তোলার চ্যালেঞ্জ বাস্তব করে তুলেছেন এক স্থপতি৷ স্থানীয় নার্সারির সাহায্যে প্রয়োজনীয় গাছপালা প্রস্তুত করা হয় সেখানে৷

https://p.dw.com/p/4NCAn
সুইজারল্যান্ডের জুরিখ চিড়িয়াখানা
সুইজারল্যান্ডের জুরিখ চিড়িয়াখানাছবি: Arnd Wiegmann/REUTERS

২০১৯ সালে ফিরে তাকানো যাক৷ সে সময়ে সুইজারল্যান্ডর জুরিখ শহরের চিড়িয়াখানায় আফ্রিকার সাভানার পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছিল৷ জিরাফ ও গণ্ডারের মতো প্রাণী নতুন এক চারণক্ষেত্র ধীরে ধীরে রূপ পাচ্ছিল৷

চিড়িয়াখানার স্থপতি উর্স বাউমগার্টনার এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এখানে এলেই মনে হয় আফ্রিকায় আছি৷ সবার আগে ছাতার মতো বাওবাব গাছের সারি চোখে পড়ে৷ আম্ব্রেলা গাছ, উঁচুনীচু অংশ, তার পেছনে টিলা৷ চিড়িয়াখানার জমি সীমিত হলেও দেখলে মনে হবে টিলার পেছনে জঙ্গল শুরু হচ্ছে৷ এভাবে আমরা দৃষ্টিভ্রম সৃষ্টি করেছি৷''

ল্যান্ডস্কেপ আর্কিটেক্ট হিসেবে উর্স বাউমগার্টনার সাভানার চূড়ান্ত রূপ সম্পর্কে নিশ্চিত৷ তবে একই সঙ্গে সেই পরিবেশকে টেকসই ও প্রাণীবান্ধব করে তোলা বড় চ্যালেঞ্জ৷ উর্স বলেন, ‘‘বলা বাহুল্য চিড়িয়াখানার মধ্যে সব সময়ে কম জায়গায় অনেক প্রাণী থাকে৷ সাভানা ৫৬,০০০ বর্গ মিটার বড় হওয়া সত্ত্বেও সেটাই বাস্তব৷ তার মধ্যেও সবুজ ও বাদামী পরিবেশ সৃষ্টির কৌশল বড় চ্যালেঞ্জ৷ নতুন করে গাছ ও ঘাস গজানোর আগেই প্রাণীরা সেগুলি খেয়ে ফেললে চলবে না৷ সেই সময় পাওয়া জরুরি৷''

সুইজারল্যান্ডের অভিনব চিড়িয়াখানা

জুরিখের এক নার্সারিতে চিড়িয়াখানার সাভানা পরিবেশের জন্য চারাগাছ প্রস্তুত করা হয়৷ নতুন এই সংযোজনের জন্য সেখানে ৮০,০০০-এর বেশি ঘাসের চারা উৎপাদন করা হয়৷ মরসুম অনুযায়ী নানা জাতের ঘাস সাভানায় রোপণ করা হয়৷

মালি হিসেবে উর্স লুশার দুই ধরনের ঘাস বিশেষভাবে পছন্দ করেন৷ জায়গাটির বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এখানে এক ধরনের চাইনিজ রিড দেখা যাচ্ছে৷ পাশেই অ্যাটলাস ফেসকিউ রয়েছে৷ এই ঘাস আফ্রিকা মহাদেশেই দেখা যায়৷ নামই বলে দিচ্ছে, যে অ্যাটলাস পর্বতে সেটা গজায়৷ সেখানকার জমি বেশ পাথুরে৷ আমাদের এখানে শীতকালেও সেই ঘাস অক্ষত থাকে৷ আফ্রিকা হোক বা এখানে গজাক, এই ঘাসের তাতে কিছুই এসে যায় না৷ দেখতে খুবই সুন্দর, শান্ত ও ঘাসময় সুন্দর এক চিত্র ফুটে ওঠে৷ বাতাসের ধাক্কায় ঘাস যেমন নড়াচড়া করে, ব্যক্তিগতভাবে আমার সেটা খুব ভালো লাগে৷ মনে হয়, শান্ত ও বিস্তির্ণ এক পরিবেশ৷''

উর্স ও তাঁর টিম বহু বছর ধরে ঘাস ছাড়াও সাভানা এলাকার নিজস্ব নানা ধরনের ‘আম্ব্রেলা ট্রি'-ও সৃষ্টি করেন৷ এর মধ্যে এক ধরনের গাছ চিড়িয়াখানার জন্য অত্যন্ত উপযুক্ত হিসেবে চোখে পড়ছে৷ সেটা হলো ‘ফল্স অ্যাকাসিয়া' নামের এক বাবলা৷ উর্স লুশার বলেন, ‘‘আকারের দিক থেকে উপযুক্ত এবং সাত-আট বছরের মধ্যে ছয় মিটার উচ্চতা ছুঁতে পারে, আমরা এমন গাছের খোঁজ করছিলাম৷ জিরাফও যেন জিব দিয়ে উপরের শাখা ছুঁতে না পারে এবং গাছ নষ্ট না করতে পারে৷''

দুই মাস পর ল্যান্ডস্কেপ স্থপতি ও নার্সারির মালি মুখোমুখি হলেন৷ কাজ প্রায় শেষ৷ শেষ ৭০টি আমব্রেলা গাছ পোঁতা হচ্ছে৷ প্রায় এক বছর পর সেই সাভানা প্রাণীদের বাসের যোগ্য হয়ে উঠলো৷

আনাটোল হুগ/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য