জাস্টিন ট্রুডোর রাজনৈতিক জীবন
ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ২০১৩ সালে দলের নেতা নির্বাচিত হন৷ দুবছর পর তার দল সরকার গঠনে সমর্থ হয়৷ বর্তমানে ট্রুডোর দলের প্রতি সমর্থন অনেক কমে গেছে৷ ছবিঘরে ট্রুডোর রাজনৈতিক জীবনের উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা থাকছে৷
অক্টোবর, ২০১৩
লিবারেল দলের নেতা নির্বাচিত হন৷ সেই সময় দলটি জনপ্রিয়তার বিচারে ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় ছিল৷ কারণ, দুই বছর আগে ২০১১ সালের নির্বাচনে লিবারেলরা প্রথমবারের মতো তিন নম্বরে নেমে গিয়েছিল৷ লিবারেল দলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী পিয়ের ট্রুডোর ছেলে জাস্টিন ট্রুডো৷
অক্টোবর, ২০১৫
দলের নেতা নির্বাচিত হওয়ার দুই বছরের মাথায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ট্রুডোর দল সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয়৷ প্রথমবারের মতো হাউস অফ কমন্সে তিন নম্বরে থাকা একটি দল নির্বাচনে জয়ী হয়৷
ডিসেম্বর ২০১৭
২০১৬ সালে আগা খানের কাছ থেকে ভ্রমণ, উপহার ও ফ্লাইট সুবিধা নেওয়ার মাধ্যমে ট্রুডো স্বার্থের দ্বন্দ্ব আইন ভঙ্গ করেছেন বলে রায় দিয়েছিল ক্যানাডার এথিকস কমিশনার৷ কোনো প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন রায় ওটাই প্রথম ছিল৷
ফেব্রুয়ারি ২০১৯
সাবেক বিচারমন্ত্রী জোডি উইলসন-রেবোল্ড (ছবি) অভিযোগ করেন, এসএনসি-লাভালিন কোম্পানির বিরুদ্ধে যেন দুর্নীতির অভিযোগে বিচার করা না হয় সেজন্য তাকে চাপ দিয়েছিলেন সরকারি কর্মকর্তারা৷ এই ঘটনায় পদত্যাগ করেছিলেন তিনি৷ পাবলিক ওয়ার্কস মন্ত্রী জেন ফিলপটও ট্রুডোর প্রতি আস্থা হারানোর অভিযোগে পদত্যাগ করেন৷ ট্রুডো সবসময় নিজেকে ফেমিনিস্ট হিসেবে উপস্থাপন করেন৷ তাই তাদের পদত্যাগ ট্রুডোর জন্য রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিকর ছিল৷
সেপ্টেম্বর, ২০১৯
ট্রুডো যখন তরুণ ছিলেন তখন কৃষ্ণাঙ্গর রূপ ধারণ করতে মুখে কালো রং লাগিয়েছিলেন৷ ২০১৯ সালের অক্টোবরের নির্বাচনের আগে এমন কিছু ছবি প্রকাশ হয়ে গেলে বিতর্ক শুরু হয়৷ ট্রুডো ক্ষমা চেয়ে বলেছিলেন, তিনি একজন সব সুবিধা পাওয়া ছেলে হিসেবে বেড়ে উঠেছিলেন এবং সে কারণে একটি ‘কালো দাগ’ ছিল৷
অক্টোবর, ২০১৯
নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও মেজরিটি সরকার গঠনের মতো আসন পায়নি ট্রুডোর দল৷ সে কারণে তাকে জোট সরকার গঠন করতে হয়েছিল৷
আগস্ট, ২০২০
করোনা মহামারি থেকে ক্যানাডারে উদ্ধার করতে কত অর্থ প্রয়োজন তা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে পদত্যাগ করেছিলেন অর্থমন্ত্রী বিল মরনৌ (ছবি)৷
সেপ্টেম্বর, ২০২১
ক্যানাডায় প্রতি চার বছর পর পর নির্বাচন হওয়ার কথা৷ তবে ট্রুডো ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছিলেন৷ তার আশা ছিল, করোনা মোকাবিলায় সরকার ভালো করায় নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি মেজরিটি সরকার গঠন করতে পারবেন৷ কিন্তু তা হয়নি৷
সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ট্রুডোর দলের জনপ্রিয়তা অনেক কমছে৷ সবশেষ জরিপ বলছে, এখন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ট্রুডোর লিবারেল পার্টি মাত্র ২১ শতাংশ ভোট পাবে৷ বর্তমানের বিরোধী দল কনজারভেটিভরা পাবে ৪৩ শতাংশ ভোট৷ আর নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি এনডিপি পাবে ১৯ শতাংশ৷ এই অবস্থায় বুধবার সরকারের উপর থেকে স্বয়ংক্রিয় সমর্থন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে এনডিপি৷ তাই ট্রুডোর ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে৷