জার্মান ‘শরিয়া পুলিশের' পুনর্বিচার শুরু
২১ মে ২০১৯স্বঘোষিত ‘শরিয়া পুলিশের' এই দল ২০১৪ সালে রাস্তায় সাধারণ মানুষকে গান শোনা এবং মদ্যপান থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়েছিল৷ সোমবার তাদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে৷
নতুন করে বিচারের মুখোমুখি হওয়াদের অবশ্য ২০১৬ সালে আদালত একবার নিষ্কৃতি দিয়েছিল৷ কিন্তু, গতবছর জার্মানির একটি উচ্চ আদালত নিম্ন আদালতের সেই রায় বাতিল করে নতুন করে তাদের বিচারের সিদ্ধান্ত নেয়৷
আসামিরা ২০১৪ সালে ‘শরিয়া পুলিশ' লেখা হলুদ পোশাক পরে ভুর্পাটালের রাস্তায় টহল দিয়েছিলেন৷ তাদের টহলের ছবি সেই সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়৷ তারা সেসময় একটি ‘শরিয়া নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের' ঘোষণা দিয়েদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করেছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে৷ পাশাপাশি তারা পথচারীদের মাদক, মদ, জুয়া, পতিতালয়ে যাওয়া, গান শোনা এবং পর্নগ্রাফি থেকে বিরত থাকার আহ্বানও জানিয়েছিলেন৷
সেই সাত ‘শরিয়া পুলিশের' বিরুদ্ধে ইউনিফর্ম সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা অমান্য কিংবা দুষ্কর্মে সহায়তার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, যার শাস্তি হতে পারে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড৷
আদালতের নথিপত্রে তাদের ‘সালাফিস্ট সিনের' সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত করে তারা জার্মানির গণতান্ত্রিক আইনি ব্যবস্থাকে বদলে সেখানে ‘শরিয়া আইন' প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷
পাঁচ বছর পর পুনরায় বিচার
২০১৪ সালের সেই ঘটনার জন্য ২০১৬ সালে প্রথমবার বিচারের মুখোমুখি হন আলোচিত সাত ব্যক্তি৷ কিন্তু তখন ভুপার্টাল জেলা আদালতের বিচারক তাদেরকে ইউনিফর্ম নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গের জন্য শাস্তি দিতে চাননি, কেননা, তারা আইন ভঙ্গ করতে চেয়েছিলেন এমনো কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে বিচারকরা মনে করেছিলেন৷
কিন্তু ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে কার্লসরুয়ের কেন্দ্রীয় বিচার আদালত নিম্ন আদালতের সেই রায়ের সমালোচনা করে সেই সাত ব্যক্তিকে পুনরায় বিচারের মুখোমুখি করার নির্দেশ দেয়৷
আইনজীবী এবং ইসলাম বিশেষজ্ঞ মাথিয়াস রোহে মনে করেন, পুর্নবিচারের নির্দেশনা দিয়ে আদালত সঠিক কাজটিই করেছে, কেননা ‘শরিয়া পুলিশের' দলটির কারণে মুসলিম এবং অমুসলিমরা আতঙ্কিত অনুভব করার সুযোগ ছিল৷
এআই/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ)