1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
মিডিয়াজার্মানি

জার্মানিতে সাংবাদিকের উপর আক্রমণের তীব্র নিন্দায় ডিডাব্লিউ

১৫ অক্টোবর ২০২৪

সিরিয়ার এক গায়কের সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন ডিডাব্লিউর রিপোর্টার অ্যাডোনিস আলখালেদ। তখনই তিনি নিগৃহীত হন।

https://p.dw.com/p/4lnBv
বনে ডিডাব্লিউ কার্যালয়।
ডিডাব্লিউ হলো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। ছবি: M. Becker/dpa/picture alliance

জার্মানির আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে(ডি ডাব্লিউ) এই ঘটনার নিন্দা করে বলেছে, এটা সহিংসতার একটা জঘন্য উদাহরণ। গত সপ্তাহান্তে পশ্চিম জার্মানির ডুসেলডর্ফে এই ঘটনা ঘটেছে।

ডিডাব্লিউর আরবি ভাষার রিপোর্টার অ্যাডোনিস আলখালেদ জানিয়েছেন, তিনি নিগৃহীত হয়েছেন। তাকে মারা হয়েছে। তিনি যখন সিরিয়ার গায়ক আল শামির সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন, তখন নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে মারে

আল শামির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, সাক্ষাৎকারপর্ব খুবই মসৃন ছিল। কোথাও কোনো বিতর্ক হয়নি। গায়ক ও তার সহযোগীরা চলে গেলে এই ঘটনা ঘটে।

সাংবাদিকের সঙ্গে কী হয়েছিল?

রোববার জারি করা সাংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিডাব্লিউ সাংবাদিকের বক্তব্য প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, শুক্রবার শেষ রাতে বা শনিবার ভোররাতে ডুসেলডর্ফের মিৎসুবিশি ইলেকট্রিক হলে এই ঘটনা ঘটে।

ডিডাব্লিউর সাংবাদিক জানিয়েছেন, ভিডিও সাক্ষাৎকার চলার সময় তাকে ও তার সঙ্গীকে নিরাপত্তারক্ষীরা ভয় দেখাতে থাকে এবং অপমান করে। তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করা হয় এবং ডিডাব্লিউর বিরুদ্ধে অপমানজনক ভাষা ব্যবহার করা হয়।

নিরাপত্তাজনিক কারণে ডিডাব্লিউর দুই সাংবাদিক সাক্ষাৎকার নেয়া বন্ধ করে দেন। তখন বেশ কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী তাকে ঠেলতে ঠেলতে পিছনের দিকে নিয়ে যায়। তাকে একজন আক্রমণকারী বারবার মারধর করে। পরে তাকে এমার্জেন্সি রুমে নিয়ে যাওয়া হয়।

শনিবার সকালে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি পুলিশে অভিযোগ জানান। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ডিডাব্লিউ জানিয়েছে, এই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষিত আছে।

ডিডাব্লিউর সাংবাদিক অ্যাডোনিস আলখালেদ।
ডিডাব্লিউর সাংবাদিক আলখালেদকে মারধর করা হয়। ছবি: DW

আল শামির নিন্দা

ডিডাব্লিউর তরফ থেকে যোগাযোগ করার পর আল শামির মুখপাত্র জানান, আল শামি ও তার ম্যানেজমেন্ট যে কোনো ধরনের হুমকি, সহিংসতার বিরোধী। বিশেষ করে একজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সহিংসতার তারা তীব্র বিরোধী। সাক্ষাৎকার শেষ হওয়ার পর এবং তাদের টিম চলে যাওয়ার পর এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার জন্য তারা ক্ষমাপ্রার্থী। তদন্তে তারা পুরো সহযোগিতা করবেন।

অনুষ্ঠানের উদ্য়োক্তারা ডিডাব্লিউর প্রশ্নের জবাব এখনো দেয়নি।

ডিডাব্লিউর নিন্দা

রোববার ডিডাব্লিউর ডিরেক্টর জেনারেল পিটার লিমবুর্গ এই ঘটনার কড়াভাষায় নিন্দা করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ''এই অপরাধ শুধুমাত্র সহিংসতার একটা নিদর্শন নয়, এটা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর আঘাত। যারা এই কাজ করেছে, তারা যেন আইনের শাসনের শক্তি বুঝতে পারে। আমাদের আহত সাংবাদিকের পাশে ডিডাব্লিউর সব কর্মী আছেন।''

সাংবাদিকের বক্তব্য

আলখালেদ বলেছেন, কোনোরকম হুমকি বা সহিংসতা ছাড়াই সাংবাদিকরা যাতে কাজ করতে পারে। তাদের কাজ হলো মানুষের কাছে স্বাধীন ও বস্তুনিষ্ঠভাবে খবর পৌঁছে দেয়া।

তিনি বলেছেন, তাদের কর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীর কাজের জন্য উদ্যোক্তা ও শিল্পী দায়ী। সাংবাদিক-সহ সবাই যাতে নিরাপদে থাকেন, সেটা নিশ্চিত করা তাদের দায়িত্ব। এই ঘটনা ম্যানেজমেন্টের ব্যর্থতার একটা উদাহরণ। কারণ, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা আক্রমণাত্মক ছিলেন। এর ফলে পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে।

তিনি মনে করেন, আক্রমণকারীদের শাস্তি হওয়া উচিত। না হলে, তা একটা মারাত্মক উদাহরণ হিসাবে থেকে যাবে। অন্য অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ও শিল্পীরা মনে করবেন, এভাবেই তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্যবহার করতে পারেন।

জিএইচ/এসজি(ডিডাব্লিউ)