জার্মানিতে রাজ্য নির্বাচন: এএফডি এগিয়ে তাই উদ্বেগে অভিবাসীরা
৩১ আগস্ট ২০২৪টুরিঙ্গিয়া শরণার্থী পরিষদে পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন সিরিয়ায় জন্মগ্রহণ করা নুর আর জুবি৷ ছয় বছর ধরে তিনি রাজ্যের গেরা শহরে বাস করছেন৷ প্রায় প্রতিদিন বর্ণবাদের শিকার হতে হয় জানিয়ে ডিডাব্লিউকে তিনি বলেন, ‘‘আমি জানি কীভাবে এর সঙ্গে লড়তে হয়৷''
তাই রোববারের নির্বাচনে এএফডি সবচেয়ে বেশি ভোট পেলেও অন্য শহরে চলে যেতে চান না তিনি৷ জুবি জানান, টুরিঙ্গিয়া তার বাড়ি৷ সম্প্রতি ট্রেনে ভ্রমণের সময় একজনের কাছ থেকে বর্ণবাদের শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, সেই সময় দুজন জার্মান যাত্রী তাকে সমর্থনও করেছিল৷ তাই জুবি বলেন, ‘‘এএফডি ভোটারের সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের স্বাগত জানানো জার্মানদের সংখ্যাও বাড়ছে৷''
তিনি বলেন, এএফডি জিতলে রাজ্য ছেড়ে যেতে চান এমন কিছু মানুষকে চেনেন তিনি৷ আর এমন কিছু মানুষ আছেন যারা চলে যেতে চাইলেও তাদের পক্ষে সেটি সম্ভব নয়৷ কারণ, আইনের কারণে শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থীদের অন্তত তিন বছর টুরিঙ্গিয়াতে থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে৷
টুরিঙ্গিয়া রাজ্যে গত কয়েকবছর ধরে অভিবাসীদের প্রতিকূল পরিবেশের শিকার হতে হচ্ছে৷ সম্প্রতি আরেক রাজ্যে অবস্থিত জোলিঙেন শহরে ছুরি হামলায় তিনজন প্রাণ হারানোর ঘটনার পর অভিবাসনবিরোধী মনোভাব আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে৷
এএফডি জিতলে ‘‘আমাদের আরও বেশি বর্ণবাদের শিকারহতে হবে৷ বিষয়টা অপমান ছাড়িয়ে শারীরিক আঘাত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে,'' বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন জুবি৷
জুবির শহর থেকে দেড়শো কিলোমিটার দূরের শহর ড্রেসডেনে থাকেন ইসমাইল দাভুল৷ তুরস্কে জন্ম নেওয়া দাভুল ২০০৬ সালে জার্মানিতে পড়তে এসেছিলেন৷ ১১ বছর ধরে তিনি ফরেনার্স কাউন্সিলে কাজ করছেন৷ তরুণ অভিবাসীদের সহায়তা করা তার কাজ৷
রোববারের নির্বাচনে এএফডি জিতলে কী পরিবর্তন হতে পারে, এমন প্রশ্ন এখন তাকে প্রায়ই শুনতে হচ্ছে বলে ডিডাব্লিউকে জানান দাভুল৷ ‘‘সবাই আসলে ভয় পাচ্ছেন,'' বলেন তিনি৷
দাভুল বলেন, অভিবাসীদের উপর হামলা অতীতে বিরল ঘটনা ছিল৷ তখন এমন ঘটনা ঘটলে গণমাধ্যমে তার সমালোচনা করা হতো৷ এখনও গণমাধ্যমে সমালোচনা হয়, তবে ততটা নয়৷ ‘‘এখন প্রায় প্রতিদিনই হামলার কথা শুনি৷ চেহারা, চামড়ার রং বা উচ্চারণ, বিভিন্ন কারণে হামলা হচ্ছে,'' বলেন তিনি৷
অলিভার পিপা/জেডএইচ