জার্মানিতে ডে কেয়ার পরিষেবায় অভিবাসী কর্মী-নির্ভরতা
জার্মানিতে ৪ লাখ ৩০ হাজার ডে কেয়ার-এর ঘাটতি রয়েছে৷ শিশু পরিচর্যা কর্মীও প্রয়োজনের তুলনায় এক লাখ ২০ হাজার কম৷ কোলনের কিছু কিন্ডারগার্টেন তাই অভিবাসী কর্মী নিয়োগ করে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে৷ ছবিঘরে বিস্তারিত...
জার্মানিতে শিশু পরিচর্যায় সংকট
জার্মানিতে বর্তমানে ৪ লাখ ৩০ হাজার ডে কেয়ারের অভাব রয়েছে। একটি জরিপে ১ লাখ ২৫ হাজার কর্মীর অভাবের কথাও বলা হয়েছে। এই সংকট জার্মানির পশ্চিম অংশে, বিশেষ করে নর্থ রাইন-ওয়েস্টফালিয়াতে বেশি তীব্র৷
শিশু পরিচর্যা সংকটের অর্থনৈতিক প্রভাব
শিশু পরিচর্যা কর্মীর অভাব জার্মান অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলছে। স্টেপস্টোনের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, শিশু পরিচর্যা সংকটের কারণে জার্মানির প্রতি বছর ২৩ বিলিয়ন ইউরোর ক্ষতি হচ্ছে। প্রতি বছর ১ দশমিক ২ বিলিয়ন কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। কিছু প্রতিষ্ঠান কর্মীদের কাজের সময় কমাতে বাধ্য হচ্ছে।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
শিশু পরিচর্যা খাতে কর্মী-সংকটের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটও রয়েছে। সাবেক পূর্ব জার্মানিতে নারীদের কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য শক্তিশালী শিশু পরিচর্যা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছিল, কিন্তু পশ্চিম জার্মানি তেমন কোনো উদ্যোগ ছিল না। জার্মানির পশ্চিমাংশে তাই শিশু পরিচর্যা পরিষেবার অভাব এখনো বেশি।
দ্বিভাষিক ডে কেয়ার
সমস্যার সমাধানে কোলনের একটি কিন্ডারগার্টেন বাইলিঙ্গুয়াল, অর্থাৎ দ্বিভাষিক শিক্ষা পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। এই সেন্টারটি স্প্যানিশ এবং জার্মান ভাষায় শিক্ষা দেয় এবং শিশুদের গান গাইয়ে এবং বিশেষ ধরনের খেলাধুলার মাধ্যমে দ্বিতীয় ভাষা শিখতে সহায়তা করে।
প্রতিটি শিশু গুরুত্বপূর্ণ
রস্টকের এক নার্সারি স্কুলের শিক্ষক কাতজা রস ‘এভরি চাইল্ড কাউন্টস’ নামে এক গণস্বাক্ষরতা অভিযান শুরু করেছেন৷ এ পর্যন্ত ২ লাখ ২০ হাজার ১৮০ জনের স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন তিনি। রস এবং তার সহযোদ্ধারা শিশু পরিচর্যা পেশাদারদের জন্য ভালো কাজের পরিবেশ, ভাষা শিক্ষা, শিশু পরিচর্যার স্থান বাড়ানোসহ নানা দাবি আদায়ের জন্য লড়ছেন৷
অভিবাসী কর্মীদের জন্য সুযোগ
সিঞ্চিয়া মালকা-বুচহোলজ ২০১৩ সালে বাইলিঙ্গুয়াল শিক্ষার উদ্যোগ শুরু করেছিলেন। এখন তিনি সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ডেপুটি ডিরেক্টর। তিনি বলেন, ‘‘এই বাইলিঙ্গুয়াল পদ্ধতি শুধুমাত্র শিশুদের জন্য নয়, বরং বিদেশ থেকে প্রশিক্ষিত শিশু পরিচর্যা কর্মীদের জন্যও নতুন সুযোগ সৃষ্টি করছে৷’’