1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

'জার্মানিতে ডানপন্থিদের সঙ্গে হাত মেলাবে না সিডিইউ'

৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বলা হচ্ছে, ফ্রিডরিখ মেরৎস পরবর্তী জার্মান চ্যান্সেলর হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে। তবে এএফডি বিতর্কে তিনি একটু কোণঠাসা।

https://p.dw.com/p/4pzv6
সিডিইউ নেতা ফ্রিডরিখ মেরৎস ভাষণ দিচ্ছেন।
সিডিইউ-র সম্মেলনে অভিবাসী ও অর্থনীতি নিয়ে প্রস্তাব নেয়া হয়। ছবি: Michael Kappeler/dpa/picture alliance

সোমবার রক্ষণশীল সিডিইউ তাদের বৈঠকে অভিবাসী ও অর্থনীতি নিয়ে প্রস্তাব পাস করলো। ক্ষমতায় এলে তারা অবিলম্বে এই প্রস্তাব পাস করবে।

আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি জার্মানিতে নির্বাচন। সেখানে সিডিইউ ও তার সহযোগী দল সিএসইউ মিলে সবচেয়ে বেশি ভোট ও আসন পেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

কিন্তু গত বুধবার পার্লামেন্টে অভিবাসন আইনের প্রস্তাব নিয়ে সিডিইউ অতি ডানপন্থি এএফডির সঙ্গে সমঝোতা করেছিল। তারপরেই তাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হচ্ছে। তাদের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা হচ্ছে।

সম্মেলনে কী হলো?

সি়ডিইউ প্রতিনিধিরা হাত তুলে ১৫ দফা প্রস্তাব মতৈক্যের ভিত্তিতে অনুমোদন করলেন।

এই প্রস্তাবের মধ্যে আছে অনিয়মিত অভিবাসন সীমিত করা, অর্থনীাতিকে উজ্জীবিত করা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা জোরদার করা।

তবে সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে মেরৎস বলেছেন, ''এএফডির সঙ্গে কোনোরকম সহযোগিতা করা হবে না, তাদের সঙ্গে কোনো সংখ্যালঘু সরকার গঠন করা হবে না, তাদের প্রতি নো টলারেন্স নীতি নেয়া হবে।''

তিনি বলেছেন, ''এএফডিকে যাতে ছোট দলে পরিণত হয়, তার জন্য প্রচারের সময় সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে।''

মেরৎস বলেছেন, আমি জার্মানির ভোটদাতাদের আশ্বস্ত করতে পারি এএফডির সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করব না। অতীতেও করিনি, পরেও করব না, কখনো করব না। মেরৎস যখন এই কথা বলছেন, তখন এক হাজার প্রতিনিধি করতালি দিয়ে স্বাগত জানান।

অর্থনীতি প্রসঙ্গে মেরৎস বলেছেন, ''প্রতিযোগিতার নীতি নিলে তা জার্মানির অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে নাকি ক্ষতি করবে, সেটা দেখা হচ্ছে।''

সিডিইউ-এর প্রয়াস

ডিডাব্লিউর রাজনৈতিক সম্পাদক মিশাইলা কুফনা জানিয়েছেন, ''বর্তমান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সোস্যাল ডেমোক্র্যাট ও গ্রিন পার্টি এবারের ভোটে বেশ কোণঠাসা। মেরৎস তাদের ভোট পাওয়ার চেষ্টা করছেন।'' 

তিনি বলেছেন, ''সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, দুই তৃতীয়াংশের বেশি ভোটদাতা চান, অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক। মেরৎস সেই প্রস্তাবই নিয়েছেন। প্রশ্ন হলো, এএফডির সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে যে সমালোচনা শুরু হয়েছে, তা কি তিনি স্তিমিত করতে পারবেন?''

সোমবার পরিবেশবাদী গ্রিন পার্টি এবং বামপন্থিদের সদস্যসংখ্যা বেড়েছে বলে খবর এসেছে। রক্ষণশীলদের অভিবাসন নীতির পরেই এটা হয়েছে।

শলৎসের জোটে সামিল হওয়ার পর গ্রিনদের জনপ্রিয়তা খুবই কমেছিল। তবে বুধবার ও রোববার তাদের সদস্য হওয়ার জন্য পাঁচ হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে।

গত দুই সপ্তাহে ১১ হাজার মানুষ বামদলগুলির সদস্য হওয়ার জন্য আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন।

রিচার্ড কোনর/জিএইচ