জার্মানিতে এএফডির যুব সংগঠনকে চরমপন্থি অভিহিত করা যাবে
৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪মঙ্গলবার ঘোষিত জার্মানির একটি প্রশাসনিক আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা এএফডির অঙ্গ সংগঠনটিকে ‘চরম ডানপন্থি' হিসেবে চিহ্নিত করতে পারবে৷
কোলন শহরের প্রশাসনিক আদালতে এএফডি ও তাদের অঙ্গসংগঠন ‘ইউঙ্গে অলটারনেটিভ' (তরুণ বিকল্প) তাদেরকে এভাবে শনাক্ত করার বিপক্ষে আদেশ চেয়ে আবেদন করে৷ সেই আবেদন বাতিল করে দিয়েছে আদালত৷
তবে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহে উচ্চ আদালতে তারা আপিল করতে পারবে৷
রায়ে বলা হয়েছে, ‘আদালতের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে যে, জেএ (ইউঙ্গে অলটারনেটিভ) একটি চরমপন্থি সংগঠন'৷ সংগঠনটি জার্মান সমাজের ‘নৃতাত্ত্বিক পরিচয়ভিত্তিক জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির' প্রচার চালায়৷ এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি ধারণকারীরা জার্মানির মানুষের নৃতাত্ত্বিক কাঠামো রক্ষা এবং বিদেশিদের বের করে দেয়া সমর্থন করেন৷ আদালত বলেছে, দলটি বিদেশিদের বিশেষ করে যাদের মুসলিম পরিচয় আছে তাদের প্রতি ‘অব্যাহত ক্ষোভ' প্রদর্শন করে যাচ্ছে৷
জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেজা রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আজকের রায়ে এটা পরিষ্কার যে আমরা মানবতার প্রতি ব্যাপক অবজ্ঞা, বর্ণবাদ, মুসলমানদের প্রতি ঘৃণা এবং আমাদের গণতন্ত্রের উপর হামলার মোকাবিলা করে যাচ্ছি৷''
গত এপ্রিলে জার্মানির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা (বিএফভি) আনুষ্ঠানিকভাবে জেএ-কে চরমপন্থি হিসেবে চিহ্নিত করেছিল৷ যার ফলে দলটি ও তার সদস্যদের কর্মকাণ্ডকে জার্মানির গণতন্ত্রের জন্য সম্ভাব্য হুমকি হিসেবে ধরে নিয়ে তাদের উপর নজরদারি চালানোর অনুমোদন লাভ করে গোয়েন্দা সংস্থা৷ এর বিরুদ্ধেই আদালতে গিয়েছিল এএফডি ও তার অঙ্গ সংগঠন৷
সাম্প্রতিক সময়ে এএফডির নীতি নির্ধারণী একটি গোপন বৈঠকের খবর ফাঁসের পর জার্মানিতে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়৷ ক্ষমতায় আসলে তারা বিদেশিদের কীভাবে জার্মানি থেকে বের করবে সেই কৌশল নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়৷ এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর জার্মানির বিভিন্ন শহরে গণতন্ত্রমনস্ক মানুষ দলটির বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়েছেন৷ এএফডিকে নিষিদ্ধ করার দাবিও জোরালো হয়েছে৷ এদিকে জরিপ অনুযায়ী এএফডির জনপ্রিয়তা বেড়েছে, যা নিয়ে উদ্বেগ আছে সরকারের মধ্যে৷
এফএস/জেডএইচ (ডিপিএ, এএফপি)