গত বছর একই রকমের কার্যক্রমে অংশ নিতে ইসরায়েলে গিয়েছিল জার্মানির বিমানবাহিনীর বিমান৷ সোমবার ইসরায়েলের যুদ্ধ বিমানগুলো ন্যোরভেনিচ বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করার পর এক টুইট বার্তায় জার্মান বিমানবাহিনী জানায়, ‘‘ছয়টি এফ-১৬ বিমান দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ব্লুউইংস২০২০ এবং মাগডেজ মহড়ায় অংশ নেবে৷’’
১৯৭২ সালে মিউনিখ অলিম্পিক চলার সময় ১১জন ইসরায়েলিকে হত্যা করা হয়েছিল৷ মঙ্গলবার তাদের স্মরণে জার্মানি আর ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান পাশাপাশি থেকে ফুয়ারস্টেনফেল্ডব্রুক বিমানঘাঁটির ওপরে উড়বে৷
জার্মানির বিমানবাহিনী আরো জানিয়েছে, ‘‘বিমানগুলো ফিরবে ডাখাউ-এর পাশ দিয়ে৷ তারপর জার্মান-ইসরায়েলি প্রতিনিধিদল হলোকস্টে নিহত এবং ‘জাতীয় সাম্যবাদী স্বৈরশাসনে’ নির্যাতিতদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করবেন৷’’
‘আমাদের চলমান বন্ধুত্বের নিদর্শন’
জার্মানির বিমান বাহিনীর পরিদর্শক লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইঙ্গো গেরহার্ৎস ইসরায়েল এবং জার্মান বিমানের এই যৌথ মহড়া সম্পর্কে বলেন,‘‘ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর বিমানের পাশাপাশি (জার্মান বিমানবাহিনীর বিমানের) ওড়া আমাদের চলমান বন্ধুত্বের নিদর্শন৷’’ তিনি আরো বলেন, হলোকস্টে যে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চলেছিল তার বিরুদ্ধে অবস্থান প্রকাশ করতে জার্মানিকে ‘‘ইহুদি-বিদ্বেষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যেতে হবে৷’’
এসিবি/কেএম (ডিপিএ, এএফপি)
-
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার যত চেষ্টা
জাতিসংঘ রেজ্যুলেশন ১৯৬৭
১৯৬৭ সালে ছয়দিনের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা দখল করে ইসরায়েল৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সে বছরের ২২ নভেম্বর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ‘রেজ্যুলেশন ২৪২’ নামে একটি প্রস্তাব পাস হয়৷ প্রস্তাবে দখলকৃত ফিলিস্তিনি এলাকা থেকে ইসরায়েলি সৈন্য সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়৷
-
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার যত চেষ্টা
ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি ১৯৭৮
মিশর ও সিরিয়ার নেতৃত্বে আরব রাষ্ট্রগুলো ১৯৭৩ সালে আবারো ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়৷ এ যুদ্ধের ফলে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির বিষয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠে বিশ্ব নেতারা৷ তাদের চেষ্টায় ১৯৭৮ সালে ১২ দিন আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অবকাশ যাপন কেন্দ্র ক্যাম্প ডেভিডে এ চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়৷ এ চুক্তিকে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির ভিত হিসিবে বিবেচনা করা হয়েছিল৷
-
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার যত চেষ্টা
মাদ্রিদ কনফারেন্স ১৯৯১
ইসরাইল-ফিলিস্তিন বিষয়ে ১৯৯১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার নেতৃত্বে স্পেনের মাদ্রিদে এ কনফারেন্সটি অনুষ্ঠিত হয়৷ এতে আরো অংশ নেয় ইসরায়েল, জর্ডান, লেবানান, সিরিয়া ও ফিলিস্তিন৷ এ কনফারেন্সের তাৎক্ষণিক কোন ফলাফল আসেনি৷
-
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার যত চেষ্টা
অসলো অ্যাকর্ড ১৯৯৩
১৯৯৩ সালে নরওয়ের অসলোতে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি আলোচনায় বসে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন৷ আলোচনার পরবর্তী ধাপে এ দু’দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে যা অসলো চুক্তি নামে পরিচিত৷ চুক্তিতে বলা হয় যে, পশ্চিম তীর থেকে সকল সৈন্য প্রত্যাহার করবে ইসরায়েল৷ পাঁচ বছরের জন্য ফিলিস্তিনকে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের অনুমতিও দেয় এ চুক্তি৷
-
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার যত চেষ্টা
আরব পিস ইনিশিয়েটিভ ২০০২
২০০২ সালে আরব লিগের নেতারা লেবাননের বৈরুতে অনুষ্ঠিত এক আলোচনায় মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি পরিকল্পনার একটি প্রস্তাব পাস করেন৷ প্রস্তাবনায় ইসরায়েলকে ১৯৬৭ সালের যুদ্ধ চলাকালীন দখলকৃত সব জায়গা ত্যাগ করতে বলা হয়, যেন পশ্চিম তীরে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গড়ে তোলা যায়৷ বিনিময়ে ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা জানানো হয়৷
-
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার যত চেষ্টা
রোডম্যাপ ২০০৩
ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া জাতিসংঘের সহযোগিতায় মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির রোডম্যাপ নামে পরিকল্পনার প্রস্তাব দেয়৷ ২০০৫ সালের মধ্যে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল দুইটি আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয় এই রোডম্যাপে৷
-
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার যত চেষ্টা
সংঘর্ষ, অস্ত্র বিরতির চেষ্টা
২০১২ সালের শেষ দিকে গাজায় দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা বাড়তে থাকে৷ এ সময় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে একটি অস্ত্র বিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়৷ ২০১৪ সালে ইসরায়েলি এক তরুণ নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফিলিস্তিনে সামরিক অভিযান চালালে পরিস্থিতি আবারো খারাপ হতে থাকে৷
-
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার যত চেষ্টা
প্যারিস সম্মেলন ২০১৭
২০১৭ সালে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন বিষয়ে আলোচনা করতে ৭০টি দেশের প্রতিনিধিরা প্যারিসে একত্রিত হয়৷ তবে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের কোনো প্রতিনিধিই এ আলোচনায় অংশ নেয়নি৷
-
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার যত চেষ্টা
ট্রাম্পের শান্তি আলোচনা
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন বিষয়ে সবশেষ শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণা করেন ডনাল্ড ট্রাম্প৷ এতে বলা হয় পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপন বন্ধ রাখবে ইসরায়েল তবে ইতোমধ্যে অধিকৃত সকল স্থাপনায় তাদের নিয়ন্ত্রণ থাকবে৷ এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিন৷