জার্মানিতে আসার আগে আপনার যা জানা প্রয়োজন
জার্মানিতে শরণার্থী হিসেবে আসার সময় বেশ কিছু বিষয় আপনার মাথায় রাখতে হবে৷ এখানে সবকিছু যত সহজ মনে হয়, আসলে তত নয়৷ এখানে সেরকম দশটি বিষয় উল্লেখ করা হলো৷
কাজের অনুমতি ছাড়া কাজ নয়
মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকায় এটা বৈধ হলেও জার্মানিতে কাজের অনুমতি ছাড়া কাজ করা আইনের দৃষ্টিতে অবৈধ৷ কেউ যদি অবৈধভাবে কাজ করা অবস্থায় ধরা পড়ে, তাহলে তার জরিমানা, এমনকি জেলও হতে পারে৷
কর অবশ্যই প্রদান করতে হবে
জার্মানিতে কর প্রদানের নিয়মকানুন বেশ জটিল৷ তাসত্ত্বেও কর প্রদান না করা এখানে অবৈধ৷ আইন অনুযায়ী, এটা সমাজের বিপরীতে এক ধরনের চুরি৷ কর প্রদান এক ধরনের দায়িত্ব, যেমনটা ট্যাক্স প্রদান৷
শিশুদের প্রতি জোর খাটানো যাবে না
শিশুদের আঘাত করা জার্মানিতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ৷ বাড়ি কিংবা স্কুল কোথাও শারীরিক শাস্তি গ্রহণযোগ্য নয়৷
শিশুদের অবশ্যই স্কুলে যেতে হবে
স্কুল বয়সি শিশুরা শুধু বাসায় বসে থাকতে পারবে না, পারবে না কাজে যেতে৷ তাদের যেতে হবে স্কুলে৷ শিশুর বয়স ছয় বছর হলে তাকে অবশ্যই কোনো না কোনো স্কুলে নিবন্ধিত হতে হবে এবং নিয়মিত ক্লাসে যেতে হবে৷
বেশি শব্দ করা যাবে না!
এমনকি নিজের ঘরের মধ্যেও বেশি শব্দ করা যাবে না, যা আপনার প্রতিবেশীদের বিরক্ত করতে পারে৷ বিশেষ করে রাতের বেলা জার্মানিতে এদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হয়৷
সুপারমার্কেটে দরকষার সুযোগ নেই
বাজারে দরকষাকষি বিশ্বের অনেক দেশেই গ্রহণযোগ্য এবং মানুষ তা উপভোগও করে৷ তবে জার্মানিতে সুপারমার্কেট কিংবা অধিকাংশ দোকানপাটে দরদামের সুযোগ নেই৷ দরাদরি করতে চাইলে অনলাইনে চেষ্টা করতে পারেন৷
পশুপ্রাণিকে খেতে দেবেন না!
জার্মানিতে অধিকাংশ প্রাণির মালিক রয়েছে কিংবা তারা বিশেষ আইনের আওতায় পরিচালিত৷ তাই প্রতিবেশির বেড়ালকে তাঁর অনুমিত ছাড়া খাওয়ানো খুব একটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না৷ আর বেড়ালটা যদি মালিকের চেয়ে আপনার প্রতি বেশি অনুগত হয়ে যায় তাহলে মালিক আপনার বিরুদ্ধে মামলাও ঠুকতে পারে!
সময়নিষ্ঠা – জার্মানিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
কোনো অ্যাপয়েনমেন্ট থাকলে সেখানে সময়মত যাওয়া এবং সর্বোপরি সময়ের প্রতি সচেতনতা জার্মানিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ দেরি করে কোথাও যাওয়া ঠিক নয়৷ আর যদি একান্ত দেরি হয় তাহলে যার সঙ্গে সাক্ষাতের কথা তাঁকে তা জানানোই নিয়ম৷
নিজের দূরত্ব বজায় রাখুন
অনেক সংস্কৃতিতে অন্যের বাচ্চাকে জড়িয়ে ধরা, চুমু দেয়া কিংবা উপহার দেয়া স্বাভাবিক ব্যাপার৷ তবে জার্মানিতে বিষয়টি তেমন নয়৷ বাচ্চার অভিভাবকের উপর এটা নির্ভর করে৷ তাই শিশুটা যদি বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণও করে তবুও নিজের দূরত্ব বজায় রেখে তার সঙ্গে কথা বলুন৷
রাস্তায় গাড়ি পরিষ্কার নয়
অবশ্যই বাড়ির কাছে গাড়ি পরিষ্কার করাটা সাশ্রয়ী৷ তবে জার্মানিতে এটা নিষিদ্ধ৷ কারণ এতে পরিবেশের ক্ষতি হয়৷ তাই গাড়ি পরিষ্কার করতে চাইলে সেটি নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে যান৷ কিছু জায়গায় নিজ হাতে পরিষ্কারের সুযোগ আছে, কোথাও আছে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা৷ তাই পছন্দ আপনার৷