1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতেও সন্ত্রাস দমন অভিযানের খবর

৬ নভেম্বর ২০২০

ফ্রান্স, অস্ট্রিয়ার পর জার্মানিতেও সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় তৎপর হয়ে উঠছে কর্তৃপক্ষ৷ শুক্রবার সকালে একাধিক রাজ্যে অভিযান চালানো হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/3kwLh
Frankreich Kehl | Deutsch-französische Grenze | Polizeikontrollen
ফাইল ছবিছবি: Jean-Marc Loos/picture-alliance/dpa

ইউরোপীয় স্তরে উগ্র ইসলামি নেটওয়ার্ক নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে৷ ফ্রান্স ও অস্ট্রিয়ায় সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠছে, আততায়ীরা কি সত্যি নিজস্ব আবেগের ভিত্তিতে বিচ্ছিন্নভাবে হামলা চালিয়েছে, নাকি তারা ইউরোপজুড়ে কোনো বড় নেটওয়ার্কের অংশ৷ একাধিক দেশে তদন্ত চালিয়ে কর্তৃপক্ষ সেই প্রশ্নের জবাব খোঁজার চেষ্টা করছেন৷ উগ্র ইসলামি ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ কিছু মানুষের মধ্যে যোগাযোগের নানা দৃষ্টান্ত উঠে আসছে৷

অস্ট্রিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার ভিয়েনায় বলেন, ভিয়েনার আততায়ী সম্ভবত এক ব়্যাডিকাল ইসলামি নেটওয়ার্কের অংশ ছিল৷ সুইজারল্যান্ডের ফেডারেল পুলিশ জুরিখ শহরের কাছে ভিয়েনার আততায়ীর ঘনিষ্ঠ সন্দেহে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে৷ সুইজারল্যান্ড ছাড়া অন্য একটি দেশেও ভিয়েনার আততায়ীর যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে৷ অস্ট্রিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরাসরি কোনো দেশের নাম না করলেও জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফার সংসদে বলেন, জার্মানিতে বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত চরমপন্থিদের সঙ্গে ভিয়েনার হামলাকারীর যোগাযোগ ছিল৷ উল্লেখ্য, ভিয়েনার হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সে দেশে মোট ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে৷ অস্ট্রিয়ার পুলিশ প্রধান ফ্রানৎস রুফ বলেন, তারা প্রত্যেকেই ব়্যাডিকাল ইসলামি ভাবধারায় অনুপ্রাণিত৷

জার্মান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র সংবাদ সংস্থা ডিপিএ-কে বলেন, যে উগ্র ইসলামি ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ অনেক মানুষ গোটা ইউরোপজুড়ে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে৷ তাঁর মতে, বিষয়টির মূল্যায়ন করে সেই ব্যক্তিদের সম্পর্কে খোঁজখবর করা জার্মান নিরাপত্তা সংস্থাগুলির দায়িত্ব৷

জার্মানির ‘ডেয়ার স্পিগেল' পত্রিকার সূত্র অনুযায়ী শুক্রবার সকালে জার্মানির তিনটি রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালিয়েছে৷ ভিয়েনার আততায়ীর পরিচিত ব্যক্তিদের ঘরবাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে৷ বিশেষ করে অসনাব্রুক শহরের দুই উগ্র ইসলামপন্থি ব্যক্তির ভূমিকা সম্পর্কে জার্মানির অপরাধ দমন দপ্তর সন্দিহান৷ ‘ডেয়ার স্পিগেল' পত্রিকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, যে এই দু'জন জুলাই মাসে ভিয়েনার আততায়ীর বাসায় ছিল বলে জানা গেছে৷ ফ্রান্স ও অস্ট্রিয়ার পর জার্মানিতেও সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় জোরালো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে৷

ভিয়েনার আততায়ীর কার্যকলাপ সম্পর্কে স্লোভাকিয়ার কর্তৃপক্ষের আগাম সতর্কতা সত্ত্বেও অস্ট্রিয়ার কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয় নি বলে সে দেশের সরকার সমালোচনার মুখে পড়েছে৷ এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে জাতীয় ও ইউরোপীয় পর্যায়ে আরও সহযোগিতার জন্য চাপ বাড়ছে৷

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ সীমান্তে নিয়ন্ত্রণহীন শেঙেন এলাকার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নতুন করে ভাবনাচিন্তার ডাক দিয়েছেন৷ বিশেষ করে এই এলাকার বহির্সীমানায় আরও কড়া নিয়ন্ত্রণের পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি৷ মাক্রোঁ বলেন, বেআইনি অনুপ্রেবেশের সঙ্গে যুক্ত অপরাধী গোষ্ঠীর সঙ্গেও প্রায়ই সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের সংযোগের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে৷ এমন প্রেক্ষাপটে তিনি শেঙেন ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের ডাক দেন৷

এসবি/জেডএইচ (ডিপিএ, এএফপি)