জার্মানরা কি কর্মক্ষেত্রে অলস হয়ে গেছেন?
জার্মানরা তাদের অধ্যবসায়, কর্তব্যবোধ, নির্ভরযোগ্যতা এবং উত্পাদনশীলতার জন্য সুপরিচিত৷ কিন্তু ওইসিডির পরিসংখ্যান বলছে, সংস্থার ৩৮টি দেশের মধ্যে জার্মানরা ২০২২ সালে গড়ে সবচেয়ে কম সময় কাজ করেছেন৷
পরিসংখ্যান
অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা ওইসিডির পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সালে একজন মার্কিন নাগরিক গড়ে ১,৮১০ ঘণ্টা কাজ করেছেন৷ আর একজন জার্মান করেছেন গড়ে ১,৩৪০ ঘণ্টা (সপ্তাহে ২৫.৮ ঘণ্টা), যা ওইসিডির ৩৮ সদস্যরাষ্ট্রের মধ্যে সবচেয়ে কম৷
কলম্বিয়ানরা সবচেয়ে বেশি সময় কাজ করেছেন
২০২২ সালে কলম্বিয়ার একজন নাগরিক ২,৪০৫ ঘণ্টা কাজ করেছেন, অর্থাৎ সপ্তাহে ৪৬.৩ ঘণ্টা৷ এরপর আছে মেক্সিকো (২,২২৬ ঘণ্টা), কস্টারিকা (২,১৪৯ ঘণ্টা) ও চিলি (১,৯৬৩ ঘণ্টা)৷
অন্যদেশগুলোর অবস্থা
কোরিয়া (১,৯০১ ঘণ্টা), ইসরায়েল (১,৮৯২ ঘণ্টা), অস্ট্রেলিয়া (১,৭০৭ ঘণ্টা), ইটালি (১,৬৯৪ ঘণ্টা), ক্যানাডা (১,৬৮৬ ঘণ্টা), পর্তুগাল (১,৬৩৫ ঘণ্টা), জাপান (১,৬০৭ ঘণ্টা), যুক্তরাজ্য (১,৫৩২ ঘণ্টা) ও ফ্রান্স (১,৫১১ ঘণ্টা)৷
জার্মানরা অলস হয়ে গেছেন?
ওইসিডির পরিসংখ্যান দেখে তেমনটা মনে হলেও জার্মানির ইনস্টিটিউট ফর এমপ্লয়মেন্ট রিসার্চ আইএবির বাজার গবেষক এনৎসো ভেবার তেমনটা মনে করেন না৷ তিনি বলেন, অন্য দেশগুলোর তুলনায় জার্মানিতে নারী কর্মীর সংখ্যা বেশি৷ তবে অন্য দেশগুলোর সঙ্গে পার্থক্য হচ্ছে, জার্মানির প্রতি দুইজন নারী কর্মীর একজন পার্ট-টাইম চাকরি করেন৷ ফলে গাণিতিক হিসেবে বার্ষিক কর্মঘণ্টার গড় কমে যায়৷
হিসাব
ভেবার বলেন, একটি দেশে দুজন পুরুষ যদি ১০ ঘণ্টা করে কাজ করেন তাহলে গড় কর্মঘণ্টা হবে ১০+১০= ২০/২, অর্থাৎ ১০৷ কিন্তু অন্য আরেক দেশে যদি দুজন পুরুষ ১০ ঘণ্টা করে কাজ করেন, আর একজন নারী কাজ করেন চার ঘণ্টা, তাহলে গড়টা কমে ৮ হয়ে যায় (১০+১০+৪)/৩ = ৮৷
৭৭ শতাংশ জার্মান নারী চাকরি করেন
ভেবারের প্রতিষ্ঠান আইএবির গবেষণা বলছে, বর্তমানে ৭৭ শতাংশ জার্মান নারী কাজ করছেন, যা ৩০ বছর আগের তুলনায় অনেক বেশি৷ তবে অনেক নারী পার্ট-টাইম হিসেবে কাজ করছেন৷