জার্মানদের ১০টি আচরণ, যা আপনাকে বিস্মিত করবে
স্বল্প মধ্যাহ্ন বিরতি, বুদবুদসহ ওয়াইন, লিফটে শুভেচ্ছা বিনিময় – জার্মানদের এমন বেশ কিছু আচরণ বিদেশিদের বিস্মিত করে৷ ছবিঘরে থাকছে এমন ১০টি আচরণের কথা৷
সময় মেনে চলা খুব গুরুত্বপূর্ণ
জার্মানিতে কর্মক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের ৫ মিনিট আগে পৌঁছে যাওয়ার নিয়ম রয়েছে৷ তবে ১০ মিনিট আগে পৌঁছে গেলে সেটাকে বাড়াবাড়ি হিসেবে দেখা হয়, বিশেষ করে যদি আপনার কাছে অফিস ঘরের চাবি না থাকে৷
লিফটে শুভেচ্ছা বিনিময়
যাঁরা বহুতল ভবনে কাজ করেন, তাঁরা এই ব্যাপারটার সাথে ভীষণভাবে পরিচিত৷ এলিভেটর বা লিফটে ঢোকার সময় শুভেচ্ছা বিনিময় এবং লিফট থেকে বের হওয়ার সময় বিদায় সম্ভাষণ খুব সাধারণ একটা ব্যাপার৷
কফি খেতে বিপত্তি
অফিসে প্রথমদিনে আপনার সহকর্মীদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পর অফিস ঘুরে দেখানো হয়৷ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো কফি মেশিন৷ যদি আপনি নিয়মিত কফি খেতে চান, তাহলে কয়েকটা জিনিস আপনার জানা জরুরি, কোন মেশিনে কফি পাওয়া যায়, কীভাবে দাম দিতে হয় অথবা মেশিন পরিষ্কার করতে হয় কিনা ইত্যাদি৷
পদ বুঝে সম্বোধন
কে কোন পদে আছেন, তা বুঝে আপনার সম্বোধন জানানো উচিত৷ বাংলার মতো জার্মান ভাষাতেও ‘আপনি’ ‘তুমি’ সম্বোধন আছে৷ তাই শুরুতে সবাইকে ‘আপনি’ বলে সম্বোধন করাই নিরাপদ৷
লিখিত ছাড়া মূল্য নেই
বছরে এক একজন জার্মানের কাছে গড়ে ২৫৯ কেজি কাগজ পাবেন আপনি৷ জার্মানির প্রত্যেকটি অফিসে এখনও লিখিত নথিপত্র ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ৷ লিখিত তথ্যই মুখ্য, আর বাকি সবকিছুই গৌন৷
স্বল্প সময়ের মধ্যাহ্ন বিরতি
ভূমধ্যসাগরের দেশগুলোতে মধ্যাহ্নে দুই ঘণ্টা বিরতি থাকে, অথচ জার্মান চাকুরিজীবীদের জন্য বরাদ্দ মাত্র ৩০ মিনিট৷ যদিও জার্মানিতে মধ্যাহ্নভোজ দিনের প্রধান খাবার হিসেবে গণ্য৷
কেক ভীষণ দরকারি
জার্মানির অফিসগুলোতে অনেক ধরনের উদযাপন হয়৷ যাঁরা অফিসে নতুন, তাঁরা প্রথমদিন কেক নিয়ে আসে৷ এছাড়া যখন কেউ চাকরি ছেড়ে দেয় বা দীর্ঘ বিরতিতে যায়, তখনও একটা উদযাপন হয়৷ নিজেদের জন্মদিনেও কেউ কেউ কেক নিয়ে আসে৷
বুদবুদসহ ওয়াইন
জার্মানির অফিসগুলোতে এসব আয়োজনে কেকের সাথে যদি বুদবুদসহ ওয়াইন থাকে, তাহলে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই৷ কেবল সেসব দিনেই নয়, যে কোনো দিনই এই পানীয় পান করা হতে পারে৷
ঘরে ঢোকার আগে একটু টোকা
কোনো সহকর্মীর কক্ষে যদি কোনো মিটিং থাকে এবং দরজা বন্ধ করে মিটিং করতে থাকেন, যেটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জার্মান অফিসগুলোতে হয়ে থাকে, তাহলে আপনি কেবল দরজায় একটু টোকা দিন এবং কারো অনুমতির অপেক্ষা না করেই ভেতরে প্রবেশ করুন৷
প্রমোদ ভ্রমণ যখন কর্পোরেট সংস্কৃতির অংশ
বেশিরভাগ জার্মান ব্যক্তিগত জীবন এবং কর্মজীবন আলাদা রাখতে পছন্দ করেন৷ তারপরও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সহকর্মীদের মধ্যে পরিচিতি ও সামাজিকতা বাড়াতে প্রমোদ ভ্রমণের ব্যবস্থা করা হয়৷