1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জাতীয় চার নেতাকে কারাগারে হত্যা দিবস

৩ নভেম্বর ২০২০

বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কজনক দ্বিতীয় অধ্যায় তিন নভেম্বর ৷ ১৯৭৫ সালের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারীদের অন্যতম জাতীয় চার নেতাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর নির্মমভাবে হত্যা করা হয়৷

https://p.dw.com/p/3knMJ
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার ভাস্কর্যছবি: DW/M.M. Rahman

 জাতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মাধ্যমে শোকাবহ দিনটি স্মরণ করছে৷

১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট একদল সেনা সদস্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে৷ তার পর তার ঘনিষ্ঠ চার সহকর্মী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানো হয়৷ একই বছর তিন নভেম্বর আবারো একদল সেনা সদস্য ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর ঢুকে জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে৷ তারপর থেকে রাষ্ট্রের হেফাজতে হত্যাকাণ্ডের এই ঘটনাটি ‘জেল হত্যা দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে বাংলাদেশে৷

আমাদের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানায়, জেল হত্যা দিবসে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দিনটি স্মরণ করছে৷ সকাল ৮টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়৷ আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনগুলোও আলাদাভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে৷ করোনাকালে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শোকাবহ দিনটি পালনের জন্য সকলের কাছে বিনীত আহ্বান জানিয়েছেন এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের৷

আজ ভোর ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে বিভিন্ন সংগঠনের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়েছে, উত্তোলন করা হয়েছে কালো পতাকা৷ সকাল পৌনে ৯টায় বনানী কবরস্থানে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ ও এম মনসুর আলী এবং একই সময়ে রাজশাহীতে কামরুজ্জামানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন ও মোনাজাত করা হয়েছে৷ এবং বিকালে আওয়ামী লীগ অফিসে জেল হত্যা দিবসের স্মরণ সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্ত হন৷

জেলহত্যার পর ২১ বছর পর্যন্ত এ হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ ছিলো৷ আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে জেলহত্যা মামলা পুনরুজ্জীবিত করে৷ তবে ১৯৯৮ সালের ১৫ অক্টোবর এ মামলায় আসামি সৈয়দ ফারুক রহমানসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়৷ এতে শুধু সেনাসদস্য মোসলেউদ্দিনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে ২০০৮ সালের ২৮ আগস্ট হাই কোর্ট আপিলের রায় দেয়৷ এবং ওই রায়ে নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য দুই আসামি মারফত আলী এবং আবুল হোসেন মৃধাকে খালাস দেওয়া হয়৷

হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ ২৯ বছর পর জেলহত্যার বিচারের রায় হলেও জাতীয় চার নেতার পরিবার এ রায়কে মেনে নেয়নি৷ তারা এ রায়কে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও প্রহসনের রায়’ বলে তা প্রত্যাখ্যান করেন৷

এনএস/কেএম( বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)