কিন্তু সেটি কি বাস্তবে সম্ভব হবে? আর সম্ভব করতে হলে কী করতে হবে?
এই নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি৷ রাষ্ট্রপতির সাথে সংলাপ শেষ হয়েছে সোমবার শাসক দল আওয়ামী লীগের সাথে আলোচনার মধ্য দিয়ে৷ আর আগে সময় না থাকার কথা বলা হলেও মন্ত্রিপরিষদ নির্বাচন কমিশন আইনের খসড়া অনুমোদন করেছে৷ এই আইনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের বিধান থাকছে সংবিধান অনুসরণ করে৷ বিএনপি রাষ্ট্রপতির সংলাপে অবশ্য অংশ নেয়নি৷ তাহলে ভালো নির্বাচনের কোনো সুবাতাস কি বইতে শুরু করেছে?
আর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতা আর বিনা ভোটে পাস করার মহোৎসবের মধ্যে নারায়ণগঞ্জে তাহলে একটি ভালো নির্বাচন কীভাবে হলো?
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার মনে করেন, তিন কারণে নারায়ণগঞ্জে ভালো নির্বাচন হয়েছে৷ প্রথমত, সরকারের তারকা প্রার্থী ছিলো, যিনি প্রভাব বিস্তার ছাড়াও জিততে পারেন, তাই তারা নির্বাচনকে প্রভাবিত করেনি৷ দ্বিতীয়ত, স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনে সরকারের পরিবর্তন হয় না৷ তৃতীয়ত, সরকার চাপের মধ্যে আছে দেশের অভ্যন্তরে এবং বাইরে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এবং নির্বাচন কমিশনের অপকর্ম এবং নিয়োগ নিয়ে সরকার অস্বস্তিতে আছে৷
তার কথা,"কিন্তু জাতীয় নির্বাচনে সরকার পরিবর্তন হয় তাই স্থানীয় সরকারের এই ধরনের ভালো নির্বাচন দলীয় সকারের অধীনে করা সম্ভব নয়৷” তিনি বলেন,"২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল হওয়ার পর ২০১৩ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচন ভালো হয়েছিলো৷ তারা বলার চেষ্টা করেছিলো জাতীয় নির্বাচনও সুষ্ঠু হবে৷ কিন্তু বাস্তবে কি হয়েছিলো? ২০১৪ সালের পর তারা একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের অঙ্গীকার করেছিলো৷ সেই অঙ্গীকার কি রক্ষা করেছে?”
তিনি ইভিএম-এর সমালোচনা করে বলেন, ‘‘এই ইভিএম নিকৃষ্টমানের৷ এটা দিয়ে ডিজিটাল জালিয়াতি করা যায়৷ এই ইভিএম-এ পেপার ট্রায়াল নাই৷ ভারতেও আদালতের নির্দেশে পেপার ট্রায়াল যুক্ত করা হয়েছে৷ এই ইভিএম যেন জাতীয় নির্বাচনে না থাকে৷’’
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল(অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনও মনে করেন, ‘‘জাতীয় নির্বাচনের সাথে নারায়ণগঞ্জের সিটি নির্বাচনের তুলনা করা যায় না৷ কারণ এই নির্বাচনে সরকার পরিবর্তন হয় না৷’’
তার কথা, নারায়ণগঞ্জ সিটিতে ২০১১ এবং ২০১৬ সালেও ভালো নির্বাচন হয়েছে৷ কিন্তু ওই এলাকার সংসদ নির্বাচনে কি তার প্রভাব পড়েছে? নারায়ণগঞ্জে গত দুইটি সংসদ নির্বাচন কি সিটির মতো হয়েছে? ২০১৮ এবং ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে তার প্রভাব পড়েছে? তিনি মনে করেন, ‘‘তথ্যমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জের মত ভালো জাতীয় নির্বাচনের কথা বলতেই পারেন৷ কিন্তু বাংলাদেশের পলিটিক্যাল সায়েন্স সেকথা বলে না৷ আইভীর ব্যক্তিগত ক্লিন ইমেজ৷ আর স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোটারেরা উন্নয়নের জন্য ক্ষমতাসীনদের ভোট দেয়৷ এর বাইরে এই সিটিতে সুষ্ঠু নির্বাচনের একটা ঐতিহ্য আছে যা স্থানীয় মানুষ ধরে রেখেছে৷’’
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার রোববার নারায়ণগঞ্জ থেকে ফিরে বিকেল ঢাকায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘কুমিল্লা এবং নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে সর্বোত্তম নির্বাচন৷’’ আচরণবিধি লঙ্ঘনের পরও একজন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন৷
তবে আরেকজন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম সোমবার ডয়চে ভেলেকে বলেন, নির্বাচন কেমন হয়েছে তা নির্ভর করে কে কীভাবে দেখছেন তার ওপর৷ ইউপি নির্বাচন অনেক ভালো হলেও তার সমালোচনা করা হচ্ছে৷ আবার নারায়ণঞ্জের নির্বাচন কেউ বলছেন ভালো, কেউ বলছেন খারাপ৷ তার কথা, ‘‘নির্বাচন কমিশন রেফারি৷ এখানে প্লেয়ারদের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ৷ আমরা খেলা বন্ধ করে দিতে পারি৷ কিন্তু কেউ যদি ফাউল করে তা তো আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না৷’’
তিনি মনে করেন, নারায়ণগঞ্জ কেন একমাত্র মডেল হবে, সব নির্বাচনই ভালো নির্বাচনের মডেল৷ আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য তাই তিনি বলেন, ‘‘সবাইকে আইন মেনে চলতে হবে৷ এটা যদি সম্ভব হয় তাহলে ভালো নির্বাচন হবে৷ ভালো নির্বাচনের জন্য আইন যথেষ্ট আছে৷’’
এদিকে সরকারের নির্বাচন কমিশন আইন নিয়ে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘‘সরকার আইন করতে পারে৷ কিন্তু আইন পাস তো বড় কথা নয়৷ এটা স্বচ্ছতার সাথে করতে হবে৷ সরকার কী করছে তা তো আমরা জানি না৷’’
এম সাখাওয়াত হোসেন মনে করেন, ‘‘আইনের খসড়াটি প্রকাশ করা উচিত৷ অংশীজনের মতামত নেয়া দরকার৷ আর আমরা যে খসড়া দিয়ে এসেছি তাও বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে কী না জানি না৷ নির্বাচনী আইনের নামে কী করা হচ্ছে তা তো আমরা জানি না৷’’
-
এক নজরে সব নির্বাচন কমিশন
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচন কমিশন
বাংলাদেশের প্রথম প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন বিচারপতি এম ইদ্রিস৷ ১৯৭২ সালের ৭ জুলাই থেকে ১৯৭৭ সালের ৭ জুলাই পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন তিনি ৷ ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করে এই কমিশন৷ সে সময় রাষ্ট্রপতি ছিলেন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী। নির্বাচনে ২৯৩ আসন জিতে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। জাসদ ও বাংলাদেশ জাতীয় লীগ একটি করে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পাঁচটি আসন পায়।
-
এক নজরে সব নির্বাচন কমিশন
নুরুল ইসলাম কমিশন
বিচারপতি একেএম নুরুল ইসলাম বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদে দায়িত্ব পালন করা সিইসি৷ ১৯৭৭ সালের ৮ জুলাই যখন দায়িত্ব নেন, তখন রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিলেন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান৷ প্রায় আট বছর দায়িত্ব পালনের পর অব্যাহতি নেন ১৯৮৫ সালের ১৭ ফ্রেব্রুয়ারি৷ ৷ ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচন হয় তার তত্ত্বাবধানে। বিএনপি পায় ২০৭ আসন, আবদুল মালেক উকিলের আওয়ামী লীগ ৩৯ আসন৷
-
এক নজরে সব নির্বাচন কমিশন
তিন রাষ্ট্রপতির কমিশন
পরপর দুই সামরিক শাসকের অধীনে সিইসির দায়িত্ব পালন করেছেন নুরুল ইসলাম৷ ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জিয়াউর রহমান নিহত হলে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তার ১৫ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ ‘সামরিক অভ্যুত্থানে’ ক্ষমতায় আসেন সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। পরবর্তীতে এরশাদের সরকারে আইনমন্ত্রী ও পরে উপ রাষ্ট্রপতিও হয়েছিলেন নুরুল ইসলাম৷
-
এক নজরে সব নির্বাচন কমিশন
মসউদ কমিশন
বিচারপতি চৌধুরী এটিএম মসউদ দায়িত্ব নেন ১৯৮৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি৷ তিনি পূর্ণ পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ করেন ১৯৯০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি৷ এরশাদের আমলে ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে দুটো জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এই কমিশনের অধীনে৷ তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আট দলীয় জোট গেলেও খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন সাত দলীয় জোট তা বর্জন করে। চতুর্থ জাতীয় নির্বাচন দুই জোটই বর্জন করে৷
-
এক নজরে সব নির্বাচন কমিশন
সুলতান কমিশন
বিচারপতি সুলতান হোসেন খান ১৯৯০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সিইসি’র দায়িত্ব নেন৷ তবে মাত্র ১০ মাস দায়িত্বে থেকে কোনো জাতীয় নির্বাচন না করেই ২৪ ডিসেম্বর সরে যেতে বাধ্য হন এরশাদের নিয়োগ পাওয়া এই সিইসি৷ গণঅভ্যুত্থানে এরশাদ পদত্যাগে বাধ্য হলে প্রধান দলগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক মতৈক্যে অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ও অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হন বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ৷ এরপর তিনি ইসি পুনর্গঠন করেন৷
-
এক নজরে সব নির্বাচন কমিশন
রউফ কমিশন
পঞ্চম সংসদ নির্বাচনের আগে প্রথম তিন সদস্যের ইসি পায় বাংলাদেশ। বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ সিইসি হিসেবে নিযু্ক্ত হন৷ ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা করে তার কমিশন৷ তিনি ১৯৯৫ সালের ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন৷ রউফ কমিশন নির্বাচনি আইনে ব্যাপক সংস্কার আনে, জারি করা হয় নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) অধ্যাদেশ। ১৯৯৪ সালে মাগুরা উপ নির্বাচন নিয়ে বিতর্কিত হন সিইসি রউফ।
-
এক নজরে সব নির্বাচন কমিশন
সাদেক কমিশন
বিচারপতি একেএম সাদেক সিইসি পদে নিযুক্ত হন ১৯৯৫ সালের ২৭ এপ্রিল৷ ১৯৯৬ সালে এই কমিশনের অধীনেই হয় বিতর্কিত ১৫ ফেব্রুয়ারির ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচন৷ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আওয়ামী লীগসহ বিরোধী দলগুলো ভোট বর্জন করে। বিএনপি পায় ২৭৮ আসন৷ দেড় মাস মেয়াদী সংসদের একমাত্র অধিবেশনে ত্রয়োদশ সংশোধনে সংবিধানে যুক্ত হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা৷ এই ইসিই নির্বাচনি আচরণবিধি চালু করে৷
-
এক নজরে সব নির্বাচন কমিশন
হেনা কমিশন
১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে ঘিরে অস্থিরতার মধ্যে সাবেক আমলা মোহাম্মদ আবু হেনা ১৯৯৬ সালের ৯ এপ্রিল সিইসি’র দায়িত্ব নেন৷ এই প্রথম কোনো আমলা এই পদে নিয়োগ পান৷ তার অধীনে ১৯৯৬ সালের জুনে সপ্তম জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়৷ দলীয় সরকারের অধীনে ১৯৯৯ সালে টাঙ্গাইল (সখিপুর-বাসাইল) উপনির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির জন্য সমালোচিত হয় তার কমিশন৷ নির্বাচনের গেজেট না করেই ২০০০ সালের ৮ মে দায়িত্ব ছাড়েন আবু হেনা৷
-
এক নজরে সব নির্বাচন কমিশন
সাঈদ কমিশন
রাষ্ট্রপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাসের মেয়াদপূর্তির পর আওয়ামী লীগ সরকার ওই দায়িত্বে আনে একানব্বইয়ের নির্বচনের সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে থাকা শাহাবুদ্দিন আহমেদকে। আবু হেনা সরে যাওয়ার পর সিইসি হন সাবেক আমলা এম এ সাঈদ৷ বিচারপতি লতিফুর রহমানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে সাঈদ কমিশনের অধীনেই ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অষ্টম সংসদ নির্বাচন হয়।
-
এক নজরে সব নির্বাচন কমিশন
আজিজ কমিশন
বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত কমিশনগুলোর একটি আজিজ কমিশন৷ বিচারপতি এমএ আজিজ ২০০৫ সালের ২২ মে সিইসি’র দায়িত্ব নেন৷ ব্যাপক রাজনৈতিক টানাপড়েনের সময় ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি নবম জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন৷ পরে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান ফখরুদ্দীন আহমদ তফসিল বাতিল করেন৷ ২১ জানুয়ারি কোনো জাতীয় নির্বাচন আয়োজন না করেই পদত্যাগ করেন এম এ আজিজ৷
-
এক নজরে সব নির্বাচন কমিশন
শামসুল হুদা কমিশন
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এমএ আজিজের উত্তরসূরী হন এটিএম শামসুল হুদা৷ তার কমিশন ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে নবম জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা করে৷ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন হয় ওই কমিশনের সময়েই। সংলাপ করে নির্বাচনি আইন সংস্কার করা হয়। চালু হয় রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের নিয়ম ও ইভিএম। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৩০, বিএনপি ৩০ ও জাতীয় পার্টি ২৭ আসন পায়।
-
এক নজরে সব নির্বাচন কমিশন
রকিবুদ্দিন কমিশন
ইসি পুনর্গঠনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের পর সার্চ কমিটি গঠন করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। ২০১২ সালের ০৯ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেন সাবেক আমলা কাজী রকিবুদ্দিন আহমদ৷ সংসদে বাতিল হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা৷ ক্ষমতাসীন দলের অধীনে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়৷ বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দলের বর্জন করা নির্বাচনে ১৫৩ জন সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন৷
-
এক নজরে সব নির্বাচন কমিশন
নুরুল হুদা কমিশন
এবারও সংলাপ আয়োজন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবুল হামিদ৷ সিইসি করা হয় সাবেক আমলা কে এম নুরুল হুদাকে৷ দ্বাদশ ইসির যাত্রা শুরু হয় ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনের নতুন কার্যালয় নির্বাচন ভবনে। তার অধীনে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলেও ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ পাওয়ায় যায়৷ বর্তমান কমিশনের মেয়াদ রয়েছে ২০২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
-
এক নজরে সব নির্বাচন কমিশন
এরপর কে?
সংবিধান অনুসারে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন করার কথা থাকলেও তা এবারও করা হয়নি৷ ফলে আবারও রাষ্ট্রপতি মো. আবুল হামিদ রাজনৈতিক দলগুলোকে এ নিয়ে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন৷ তবে এই সংলাপের আহ্বানকে ‘অর্থহীন’ উল্লেখ করে তাতে যোগ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি, বাসদ, সিপিবিসহ বেশ কয়েকটি দল৷