1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জলবায়ু পরিবর্তন থেকে আর্থিক সুবিধা লাভের চিন্তা করছে চীন

২ মার্চ ২০১০

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ক্ষতিকর দিক নিয়ে বিশ্বব্যাপী হৈচৈ হলেও কয়েকটি দেশ এ থেকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিপুল আর্থিক সুবিধার সম্ভাবনা দেখছে৷ এই যেমন চীন৷

https://p.dw.com/p/MHbE
উত্তর মেরুতে বরফ গলতে শুরু করেছেছবি: AP

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উত্তর মেরুতে বরফ গলতে শুরু করায় চীন থেকে জাহাজগুলোর রপ্তানি দ্রব্য নিয়ে ইউরোপ ও উত্তর অ্যামেরিকায় যাবার জন্য নুতন পথের সৃষ্টি হবে৷ এতে এখনকার পথ থেকে প্রায় ৬,০০০ কিলোমিটার রাস্তা কমে যাবে বলে গবেষণায় পাওয়া গেছে৷ এর ফলে যে পরিবহন ব্যয় কমবে তা চীনের মোট জাতীয় উত্পাদনের প্রায় অর্ধেক হতে পারে বলে প্রাথমিক এক হিসেবে দেখা গেছে৷

২০১৩ থেকে ২০৬০ সালের মধ্যে যেকোন সময় ঐ অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে পথের সৃষ্টি হতে পারে বলে বিভিন্ন গবেষণায় ধারণা করা হচ্ছে৷ উল্লেখ্য, বর্তমানে এশিয়া থেকে ইউরোপ যাবার জন্য জাহাজগুলো সুয়েজ খাল ব্যবহার করছে৷

Eisbrecher am Nordpol
জাহাজগুলো উত্তর মেরুতে গবেষণা কাজে গেছেছবি: AP/Stockholm University, Martin Jakobsson

স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউট বা সিপ্রি সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চীন ইতিমধ্যে বরফ গলার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিভাবে অর্থনৈতিক ও কৌশলগতভাবে লাভবান হওয়া যায় তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা শুরু করেছে৷

তবে মজার ব্যাপার হলো উত্তর মেরুর সাথে চীনের কোনো সীমানা নেই৷ তাই সম্ভাব্য দ্বন্দ্ব এড়াতে, এ অঞ্চলের ব্যাপারে চীন এতদিন কোনো আগ্রহ দেখায়নি বলে সিপ্রি বলছে৷ কিন্তু বরফ গলে ঐ অঞ্চলে জাহাজের পথ সৃষ্টি হবার সম্ভাবনা দেখা দেয়ায় এবং সেখানকার বিভিন্ন খনিজ সম্পদের প্রতি আগ্রহ থেকেই চীন বর্তমানে এ বিষয়ে গবেষণায় প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ শুরু করেছে বলে সংস্থাটি বলছে৷ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মেরু গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে৷ এছাড়া দেশটিতে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অ-পারমাণবিক আইস ব্রেকার৷ গত বছরেই চীন মেরু গবেষণার জন্য একটি উচ্চ প্রযুক্তির আইস ব্রেকার নির্মাণ শুরু করেছে, যা ২০১৩ সালের মধ্যে চলাচল শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

উল্লেখ্য, উত্তর মেরুর সঙ্গে সীমানা রয়েছে এমন পাঁচটি দেশ হলো ক্যানাডা, ডেনমার্ক, নরওয়ে, রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ দেশগুলোর মধ্যে অঞ্চলটিতে আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্ব বিরাজ করছে৷ ধারণা করা হচ্ছে, এ অঞ্চলে প্রায় ৯০ বিলিয়ন ব্যারেল তেল থাকতে পারে৷

সিপ্রির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর মেরু নিয়ে চীন আপাত দৃষ্টিতে কিছুটা দুর্বল অবস্থানে আছে বলে মনে হলেও ভবিষ্যতে অত্র অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে দেশটি এগিয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

প্রতিবেদন : জাহিদুল হক

সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক