1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজযুক্তরাজ্য

জনসনের চার সহকারীর ইস্তফা

৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২

বরিস জনসনের চারজন প্রবীণ সহকর্মী ইস্তফা দিলেন। ফলে আরো চাপে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী।

https://p.dw.com/p/46V8g
১০ ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে বরিস জনসন। পিছনে দেখা যাচ্ছে মুনিরা মির্জাকে। ছবি: Daniel Leal/AFP

পার্টিগেট নিয়ে বরিস জনসন এমনিতেই প্রবল চাপে আছেন। দলের অন্দরে ও বাইরে তার ইস্তফার দাবি উঠেছে। এই অবস্থায় তার চিফ অফ স্টাফ-সহ চারজন সহকারী বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেছন। প্রথমে জনসনের ডিরেক্টর অফ কমিউনিকেশন জ্যাক ডয়েল, পলিসি প্রধান মুনিরা  মির্জা, প্রথমে ইস্তফা দেন। এরপর পদত্যাগ করেন চিফ অফ স্টাফ ড্যান রসেনফিল্ড। প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল ব্যক্তিগত সহকারী মার্টিন রেনল্ডসও ইস্তফা দিয়েছেন।

জনসন তাদের ধন্যবাদ দিয়ে বলেছেন, তারা করোনাকালে যে কাজ করেছেন, সরকার ও ১০ ডাউনিং স্ট্রিটকে যেভাবে সাহায্য করেছেন, তাতে তিনি কৃতজ্ঞ।

করোনাকালে বিধি ভেঙে জনসন প্রচুর পার্টি করেছেন বলে অভিযোগ। প্রশাসনিক তদন্তেও দেখা গেছে, জনসন পার্টি করেছেন। তারপরই এই চার সহযোগী ইস্তফা দিলেন।

জনসনের উপর চাপ বাড়ছে

বরিস জনসনের কনসারভেটিভ পার্টির বেশ কিছু সদস্য চান, প্রধানমন্ত্রী ইস্তফা দিন।

বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার  ১৭ জন কনসারভেটিভ এমপি জনসনের বিরুদ্ধে দলের কাছে অনাস্থার চিঠি দিয়েছেন। ৫৪ জন এমপি এই রকম চিঠি দিলে দলে নেতৃত্ব নিয়ে ভোটাভুটি হবে।

বিরোধী লেবার পার্টি ইতিমধ্যেই পার্লামেন্টে জনসনের ইস্তফা দাবি করেছে।

জনসনের পার্টি নিয়ে এখন লন্ডনের মেট্রোপলিটান পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।

কেন সহকারীদের ইস্তফা?

দায়িত্ব নেয়ার এক বছরের মধ্যে চিফ অফ স্টাফ রসেনফিল্ড ইস্তফা দিলেন। ডয়েল ও রেনল্ডের নাম পার্টিগেটে উঠেছে। রেনল্ডসই ২০২০ সালের মে মাসে ই-মেল পাঠিয়ে 'নিজের মদ নিজে আনো' পার্টির আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। পুলিশ যে সব পার্টি নিয়ে তদন্ত করছে, তার মধ্যে একটিতে ডয়েল যোগ দিয়েছিলেন।

জিএইচ/এসজি (রয়টার্স, এএফপি)