ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ছবির প্রদর্শনী
ঢাকার দৃক গ্যালারিতে ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ‘বুক পেতেছি, গুলি কর’ শিরোনামে একটি প্রদর্শনী শুরু হয়েছে৷ চলবে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত৷ ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় তোলা ৪১ জন আলোকচিত্রীর ১১৫টি আলোকচিত্র এতে ঠাঁই পেয়েছে৷
ছবি প্রদর্শনী
ঢাকার দৃক গ্যালারিতে ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ‘বুক পেতেছি, গুলি কর’ শিরোনামে একটি প্রদর্শনী শুরু হয়েছে৷ প্রদর্শনীটি ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে৷ ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় তোলা ৪১ জন আলোকচিত্রীর ১১৫টি আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে ঠাঁই পেয়েছে৷ এছাড়া টিভি থেকে নেওয়া আটটি ভিডিও স্ক্রিন গ্র্যাবও আছে সেখানে৷
ক্ষতির কথা স্মরণ
ড. কামাল হোসেন প্রদর্শনী ঘুরে দেখছেন৷ গ্যালারিজুড়ে থাকা আলোকচিত্রগুলো দর্শককে অসহনীয় ক্ষতের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে৷
বুক বিদীর্ণ করেছে যে বুলেট
ছবিতে রক্তমাখা হাতের তালুতে থাকা বুলেটটি ছবির সামনে থাকা সোহানুজ্জামানের বুক বিদীর্ণ করেছিল৷ ৪ আগষ্ট ঢাকার বাংলামটরে এই ঘটনা ঘটে৷ সোহানের বন্ধু আবদুল্লাহ গুলিবিদ্ধ সোহানের পিঠের দিক থেকে বুলেটটি নিজের হাতে বের করে আনে৷ তখন তা ক্যামেরাবন্দী করেন আলোকচিত্রী ইশতিয়াক করিম৷ ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র সোহান প্রদর্শনীতে না এলে জানতেনই না, ছবিটি প্রদর্শনীতে ঠাঁই পেয়েছে৷
‘ছেলেগুলো কত সাহসী’
আইনজীবী নাজমুল করিম সন্তানসহ প্রদর্শনীটি দেখতে গিয়েছিলেন৷ ৪ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চার তরুণের লাশ নিয়ে আন্দোলনকারীদের ছবিটির সামনে দাঁড়িয়ে নাজমুল বলছিলেন, ‘দেখুন, ছেলেগুলো কত সাহসী! ভাবতেই পারছি না, এতগুলো লাশের ছবির সামনে দাঁড়িয়ে আছি৷ পুরো প্রদর্শনী যেন আন্দোলনটার প্রতিফলন’৷
ছবির সামনে যখন আন্দোলনকারী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ইসমাইল নাহিদ প্রদর্শনী দেখতে এসে নিজেকেই খুঁজে পেলেন৷ আঙুল তুলে নিজেকে দেখাচ্ছেন তিনি৷
‘গণহত্যার অকাট্য প্রমাণ’
ক্যাপশন: দৃকের ৩৫তম বার্ষিকীতে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়৷ প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আলোকচিত্রী শহীদুল আলম জানান, শুধু ইতিহাসের দলিল নয়, ছবিগুলো আদালতে গণহত্যার অকাট্য প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে৷