1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনে স্কুলে ছুরিকাঘাতে ১০ বছরের ছাত্র নিহত

১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চীনের শেনঝেন শহরের একটি জাপানিজ স্কুলে আততায়ীর ছুরিকাঘাতে এক ছাত্র নিহত হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/4krL4
স্কুলের ফটকের বাইরে ফুল দিচ্ছেন একজন, তার ছবি তুলছেন ফটোগ্রাফাররা
শেনঝেন জাপানিজ স্কুলের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, এই স্কুলটিতে জাপানি নাগরিকদের ছেলে-মেয়েরা পড়াশোনা করে থাকে৷ছবি: David Kirton/REUTERS

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে শিশুটির উপর আক্রমণ করা হয় বলে জানিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ৷ ঘটনাস্থল থেকে ৪৪ বছরের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷

জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ইয়োকো কামিকাউয়া বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, ছুরির আঘাতে আহত শিশুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভোরে মারা যায়৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি এই ঘটনাটিকে খুবই গুরুত্বসহকারে নিচ্ছি৷ এমন ঘটনা কখনোই কোনো দেশে ঘটা উচিত নয়৷ বিশেষভাবে, আমি খুবই অবাক হচ্ছি যে, এমন একটি ঘৃণ্য ঘটনা ঘটেছে, যখন একটি শিশু স্কুলে যাচ্ছিল৷''   

জাপান চীনের কাছে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ চাওয়ার পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের দাবি জানিয়েছে৷

জাপান ও চীন এখনো নিহত শিশুটির পরিচয় প্রকাশ করেনি৷ শেনঝেন জাপানিজ স্কুলের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, এই স্কুলটিতে জাপানি নাগরিকদের ছেলে-মেয়েরা পড়াশোনা করে থাকে৷ জাপানের গণমাধ্যম নিহত শিশুটি ছেলে বলে জানিয়েছে৷

স্থানীয় জাপানিজ চেম্বার অফ কমার্স এক বিবৃতিতে তাদের সরকারের কাছে শহরটিতে বসবাসরত জাপানি নাগরিকদের নিরাপত্তা বাড়ানোর অনুরোধ করেছে৷

দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের মাঝে এই ঘটনা নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করেছে৷ শিশুটিকে যে জায়গায় আক্রমণ করা হয়, ঠিক সেখানেই ১৯৩১ সালে এক ঘটনার পর চীন ও জাপানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়৷ চলতি বছর চীনে অবস্থিত জাপানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে হামলার দ্বিতীয় ঘটনা এটি৷

জাপানের মন্ত্রী পরিষদ সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি এই ঘটনার পর দুই দেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়৷

জুন মাসে সুঝু শহরের একটি জাপানি স্কুলবাসে আক্রমণের সময় মা ও শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে চীনের এক নাগরিক মারা যায়৷

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) চাইনিজ এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার প্রথমবারের মতো জাপানের জলসীমায় ঢুকে পড়ে৷ এ ঘটনায় টোকিও ও বেইজিংয়ের মধ্যকার সামরিক উত্তেজনা ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

এসএইচ/এসিবি (রয়টার্স)  

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য