ম্যাচ ফিক্সিং
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩চাইনিজ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন শেনহুয়াকেই সবচেয়ে বড় সাজা দিয়েছে৷ খেতাব হারানো ছাড়াও এক লাখ ইউয়ান জরিমানা এবং চাইনিজ সুপার লিগের নতুন মরশুমে ছ'পয়েন্ট খোয়ানো৷ তবুও সরকারি শিনহুয়া সংবাদ সংস্থার খেলাধুলা বিভাগের প্রধান সি জিরেন বলেছেন, এই সাজা পর্যাপ্ত নয় বলে তিনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন৷
বিশেষ করে এবার যে কোনো ক্লাবকে রেলিগেট করা হয়নি, অর্থাৎ নীচের ডিভিশনে নামিয়ে দেওয়া হয়নি, সেটা দুঃখজনক বলে তিনি মনে করেন৷ চীনা ফুটবল সমিতির ইউরোপের কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত, বলে সি ‘চায়না ডেইলি' দৈনিকে মন্তব্য করেছেন৷ এই প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে, ইটালির ইউভেন্তুস তুরিন'এর দু'টি লিগ খেতাব ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল৷
শেনহুয়া ছাড়া শাংহাই এবং তিয়ানজিন টেডা, এই দুটি দলেরও জরিমানা হয়েছে ও পয়েন্ট কাটা গেছে৷ অথচ ২০১০ সালে অনুরূপ অপরাধের জন্যই চেংডু ব্লেডস ও গুয়াংঝু ফার্মাসিউটিকাল - যারা পরে গুয়াংঝু এভারগ্রান্দে হয় – তাদের নীচের ডিভিশনে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷ গুয়াংঝু আবার বর্তমান সুপারলিগ চ্যাম্পিয়ন৷
বলতে কি, গতবার মোট বারোটি ক্লাবকে ‘‘শৃঙ্খলামূলক সাজা'' দেওয়া হয় ম্যাচ-ফিক্সিং'এর জন্য৷ ৩৩ জন কর্মকর্তাকে ফুটবল থেকে সারা জীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়৷ সিএফএ'র দুজন প্রাক্তন প্রধানের ঘুস নেওয়ার জন্য কারাদণ্ড পর্যন্ত হয়৷ বলতে কি, টুইটারের চীনা সংস্করণ সিনা ওয়াইবো'তে একটি পোস্টে লেখা হয়েছে: ‘‘সিএফএ'কেই চীনা ফুটবল থেকে চিরকালের জন্য নিষেধ করা উচিত৷''
ওদিকে এশীয় ফুটবলও ব্যাপক ম্যাচ ফিক্সিং'এর বিরুদ্ধে কিছু একটা করার চেষ্টা করছে৷ তার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন এবং ইন্টারপোল – ফুটবলের আজ এমনই দশা – একটি সম্মেলনের আয়োজন করছে কুয়ালালামপুরে৷ সম্মেলনের উদ্দেশ্য হবে সচেতনতা ও সহযোগিতা বৃদ্ধি৷ ইন্টারনেট বেটিং'এর যুগে ম্যাচ ফিক্সাররা তা'তে কতোটা ভয় পাবে, বলা শক্ত৷
ফুটবলেই শেষ নয়, রয়েছে ডোপিং
বিশ্ব ডোপিং প্রতিরোধী সংস্থা ওয়াডা'র মহাপরিচালক ডোভিড হাওম্যান গত সপ্তাহে রয়টার্সের একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ডোপিং'এর ক্ষেত্রে সারা বিশ্বের অপরাধীচক্রগুলি এই সব ড্রাগস তৈরি করতে যে সব মালমশলা ব্যবহার করে, তার ‘‘নিরানব্বই শতাংশ'' আসে চীন থেকে৷
চীন এ অভিযোগ তদন্ত করে দেখবে, বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম৷ অপরদিকে চীনের খেলাধুলা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, হাওম্যান ‘‘৯৯ শতাংশের'' পরিসংখ্যানটি পেলেন কোথায়, এবং কিসের ভিত্তিতে, তাঁরা ওয়াডার কাছে সে প্রশ্ন তুলবেন৷
এসি / এসবি (এএফপি, রয়টার্স)