1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনের হাইপারসনিক অস্ত্রপরীক্ষায় উদ্বিগ্ন অ্যামেরিকা

২৮ অক্টোবর ২০২১

চীনের হাইপারসনিক অস্ত্রের পরীক্ষা সফল এবং তা অ্যামেরিকার উদ্বেগ বাড়িয়েছে বলে স্পষ্ট জানালেন মার্কিন জেনারেল মার্ক মিলি।

https://p.dw.com/p/42Gzc
২০১৯ সালের ন্যাশনাল ডে প্যারেডে সুপারসনিক অস্ত্র প্রদর্শন করেছিল চীন। ছবি: Reuters/J. Lee

মার্ক মিলি হলেন চেয়ারম্যান, জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ। তিনিই পেন্টাগনের প্রথম সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা যিনি চীনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষার কথা স্বীকার করলেন।

ব্লুমবার্গ টিভি-কে তিনি বলেছেন, ''হাইপারসনিক অস্ত্রপরীক্ষার ঘটনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং খুবই চিন্তাজনক।'' তিনি বলেছেন, ''ঠান্ডা যুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন যেমন স্পুটনিক মহাকাশে পাঠিয়েছিল, এও তেমনই ঘটনা কি না তা আমার জানা নেই। তবে তার খুব কাছাকাছি ঘটনা তো বটেই।'' 

সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৫৭ সালে স্পুটনিক মহাকাশে পাঠায়। তাতে অ্যামেরিকা অবাক হয়ে যায়। তাদের তখন ভয় ছিল, রাশিয়া তাদের অস্ত্র প্রতিযোগিতায় ও প্রযুক্তিতে পিছনে ফেলে দেবে।

কেন হাইপারসনিক অস্ত্র গুরুত্বপূর্ণ?

কয়েকদিন আগেই মার্কিন সংবাদপত্র ফিনান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, জুলাইতে চীন হাইপারসনিক অস্ত্রের পরীক্ষা করেছে।  এটা পৃথিবীকে চক্কর দিয়ে আবার বিশ্বের আবহমণ্ডলে ঢোকে। হাইপারসনিক অস্ত্র শব্দের থেকে পাঁচগুণ বেশি গতিতে যায়। ফলে তা রাডারে ধরা শক্ত এবং তার মোকাবিলা করা কঠিন। 

ভবিষ্যত যুদ্ধের ক্ষেত্রে এই অস্ত্র মারাত্মক হয়ে উঠতে বাধ্য। তাই অ্যামেরিকা খুবই উদ্বিগ্ন। অ্যামেরিকাও হাইপারসনিক অস্ত্র বানাবার চেষ্টা করছে। কিন্তু চীন যে পর্যায়ে সফল হয়েছে, অ্যামেরিকা ততদূর পৌঁছাতে পারেনি। মিলি বলেছেন, ''প্রযুক্তিগত দিক থেকে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। তাই তা আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।'' 

চীন অবশ্য বলেছে, তারা কোনো অস্ত্র পরীক্ষা করেনি। তারা একটি মহাকাশযানের পরীক্ষা করেছে। 

জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)