1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনের মহড়ায় ১৫৩টি যুদ্ধবিমান, জানালো তাইওয়ান

১৫ অক্টোবর ২০২৪

তাইওয়ান বলেছে, সামরিক মহড়ায় একদিনে রেকর্ড ১৫৩টি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছে চীন।

https://p.dw.com/p/4lnFC
ক্ষেপণাস্ত্র-সহ তাইওয়ানের মিরাজ যুদ্ধবিমান। ১৪ অক্টোবরের ছবি।
চীনের সামরিক মহড়ার পরিপ্রেক্ষিতে তাইওয়ানও তাদের যুদ্ধবিমানকে প্রস্তুত রেখেছিল। ছবি: Anadolu/picture alliance

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা মোট ১৫৩টি চীনা যুদ্ধবিমানকে চিহ্নিত করেছে। চীন এর আগে একদিনে এত যুদ্ধবিমান নিয়ে মহড়া করেনি

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীন ও তাইওয়ানকে আলাদা করেছে যে তাইওয়ান প্রণালী, তার মধ্যরেখা অতিক্রম করে ১১১টি যুদ্ধবিমান। একই সময়ে ১৪টি যুদ্ধজাহাজ তাইওয়ানের খুব কাছে ছিল।

জাপান জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যে বেজিংকে জানিয়েছে, চীন যেভাবে সামরিক মহড়া করছে, তাতে টোকিও চিন্তিত। ডেপুটি ক্যাবিনেট সেক্রেটারি কাজুহিকো আওকি বলেছেন, সরকার পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছে। জাপানের উদ্বেগের কথা চীনকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

চীনের বক্তব্য

চীনের সেনার তরফে জানানো হয়েছে, এই অপারেশনের নাম জয়েন্ট সোর্ড ২০২৪বি। এটা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কাছে সতর্কবার্তা। তাইওয়ান প্রণালীতে তাইওয়ানের উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণে মহড়া চলে। গত এপ্রিলে যে সামরিক মহড়া হয়েছিল, তার নাম ছিল জয়েন্ট সোর্ড ২০২৪এ।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা তাদের সেনাকে সতর্ক করে রেখেছে।

চীনের দাবি, তাইওয়ান হলো তাদের এলাকা।

তাইওয়ানের নতুন প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে সম্প্রতি ষোষণা করেছেন, তাইওয়ান চীনের অধীনস্থ নয়। এই মন্তব্যে চীন রীতিমতো ক্ষুব্ধ।

চীনের সেনা জানিয়েছে, তাইওয়ানের স্বাধীনতা ঘোষণা করে যত উসকানি আসবে, তার প্রতিটির জবাব দেয়া হবে।

জার্মানি-সহ অনেক দেশ সম্প্রতি তাইওয়ানের সমর্থনে তাইওয়ান প্রণালীতে জাহাজ পাঠিয়েছে। 

যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা

পেন্টাগন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র চীনের এই সামরিক মহড়াকে বাড়াবাড়ি মনে করছে।  পেন্টাগনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, সামরিক চাপ দেয়ার জন্য এই অপারেশন দায়িত্বজ্ঞানহীন, অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং অস্থিতিশীল।

ইইউ-র পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক মুখপাত্র নাবিলা মাসরালি বলেছেন, ইইউ সব পক্ষকে সংযত থাকার অনুরোধ করছে। এই অঞ্চলে যাতে আর উত্তেজনা না বাড়ে তার জন্য সব পক্ষকে সচেতন হতে হবে।

জার্মানির চ্যান্সেলর শলৎস বলেছেন, তিনি আশা করেন, কোনো পক্ষই শক্তিপ্রয়োগ করবে না। তবে জার্মানি পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে।

জিএইচ/এসজি(এএফপি, রয়টার্স)