ভারতের কেন্দ্রীয় রাজ্য ছত্তিশগড়ের নারায়নপুর জেলা ঘন বনে ঘেরা৷ সেখানে চার হাজার ছয়শো পঞ্চাশ বর্গকিলোমিটার এলাকায় এক লাখ চল্লিশহাজারের মতো মানুষ বসবাস করেন৷ সংখ্যার হিসেবে ভারতে কম বসতিপূর্ণ এলাকাগুলোর একটি এটি৷ সেখানেকরা কোডোলির মতো অনেক গ্রাম মূল সড়ক থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত৷ ফলে স্বাস্থ্য সেবা নেয়া স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য বেশ কঠিন৷

রাজ্যটিতে মাতৃমৃত্যুর হার বেশি৷ প্রতি এক লাখ শিশুর জন্মের ক্ষেত্রে ১৩৭টি প্রসবকালীন মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে৷ এই পরিস্থিতি পরিবর্তনে মোটরসাইকেল অ্যাম্বুলেন্সগুলো ভূমিকা রাখতে চায়৷ স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং সাথী সংগঠন সেগুলো পরিচালনা করে৷ তাদের সহায়তা করছে ইউনিসেফ৷ সাথীর কর্মী ভূপেশ তিওয়ারি রোগীদের হাসপাতালে নেয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত৷

একটা লম্বা সময় পর্যন্ত এই এলাকা থেকে রোগী এবং অন্তঃসত্ত্বা নারীদের একরকম পালকিতে তুলে অন্যরা সেটা বহন করে নিয়ে যেতেন৷ এভাবে লম্বা পথ যাওয়া বেশ কঠিন ব্যাপার ছিল৷ ২০১৪ সালে নারায়নপুরে মোটর সাইকেল অ্যাম্বুলেন্স চালু করা হয়৷ বর্তমানে ছত্তিশগড়ের তিনজেলায় ১৩টি এরকম অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে৷

মোটর সাইকেল অ্যাম্বুলেন্স মূলত অন্তঃসত্ত্বা নারীদের হাসপাতালে আনা নেয়ার কাজ করে৷ তবে সাপের কামড়ের শিকার কিংবা অন্যান্য জরুরী রোগীদেরও এভাবে পরিবহণ করা হয়৷ লতা নাতেম একজন সেবিকা৷ তার প্রায়ই কর্দমাক্ত পথে অ্যাম্বুলেন্স এভাবে ঠেলতে হয়৷

অন্তঃসত্ত্বা নারী পাঘ্নি পোয়েম নিরাপদে হাসপাতালে পৌঁছাতে পেরেছেন৷ ফলে তাকে সময়মতো সঠিক চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হয়েছে৷

মোটর সাইকেলে করে গ্রাম থেকে ওরচাতে আসা মানুষরা আশেপাশে একটু ঘুরেও দেখেন৷ সেখানে তারা শুধু খাবার কিনতে পারেন৷ পাশাপাশি ম্যালেরিয়া বা ডায়াবেটিস আছে কিনা তাও পরখ করার সুযোগ মেলে৷ এসব মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবার প্রতি আস্থা বাড়ছে৷