1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউক্রেনকে আরো সামরিক সহায়তা করছে জার্মানি

১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

দেশে-বিদেশে প্রবল চাপের মুখে ইউক্রেনকে আরো অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম দিতে রাজি হলো জার্মানির সরকার৷ তবে এখনো ট্যাংক পাঠাতে দ্বিধা করছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস৷

https://p.dw.com/p/4GxCw
‘মার্স ২’ মডেলের রকেট লঞ্চিং সিস্টেম
‘মার্স ২’ মডেলের রকেট লঞ্চিং সিস্টেমছবি: Sebastian Gollnow/dpa/picture alliance

জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টিনে লামব্রেশট বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের জন্য নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেন৷ এর আওতায় দুটি ‘মার্স ২’ মডেলের রকেট লঞ্চিং সিস্টেম, ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৫০টি সাঁজোয়া ‘ডিংগো’ যান পাঠানো হবে৷ অথচ কয়েক দিন আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, যে জার্মান সেনাবাহিনীর পক্ষে ‘ডিংগো’ যান পাঠানো সম্ভব নয়৷ তবে সেপ্টেম্বর মাসেই ইউক্রেনীয় সৈন্যরা ‘মার্স ২’ চালানোর প্রশিক্ষণ পাওয়ায় এবার সেই সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে৷  সেইসঙ্গে ‘অদূর ভবিষ্যতে' গ্রিসের মাধ্যমে ইউক্রেনকে সোভিয়েত আমলে তৈরি ৪০টি সাঁজোয়া যান পাঠানো হবে৷ এর বদলে গ্রিস জার্মানির কাছ থেকে ৪০টি ‘মার্ডার' সাঁজোয়া গাড়ি পাবে৷

রাশিয়ার হামলা মোকাবিলায় ‘আত্মরক্ষামূলক’ সামরিক সরঞ্জাম পাঠানো হলেও যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুর উপর সরাসরি হামলা চালানোর জন্য ব্যাটেল ট্যাংক সরবরাহ নিয়ে জার্মানিসহ একাধিক দেশের দ্বিধা রয়েছে৷ ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন অবশ্য বৃহস্পতিবার সেই দ্বিধা ঝেড়ে ফেলে অবিলম্বে ইউক্রেনকে এমন ট্যাংক পাঠানোর আহ্বান জানান৷ জার্মানির ‘বিল্ড’ সংবাদপত্রকে তিনি বলেন, ইউক্রেন এমন ব্যাটল ট্যাংকের প্রয়োজনীয়তার কথা বললে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ইউরোপের দেশগুলির অবশ্যই সেই ডাকে সাড়া দেওয়া উচিত৷ তিনি এ ক্ষেত্রে ইউক্রেনের চাহিদা পূরণের পক্ষে সওয়াল করেন৷ জার্মানির মধ্যেও একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতা ইউক্রেনকে ট্যাংক সরবরাহ করার জন্য চাপ দিচ্ছেন৷

উল্লেখ্য, ইউরোপে একমাত্র জার্মানি ও ফ্রান্সের মতো দেশের পক্ষে পশ্চিমা জগতে তৈরি ব্যাটেল ট্যাংক সরবরাহ করা সম্ভব৷ তবে খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও এতকাল ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠায় নি বলে জার্মানি এ ক্ষেত্রে ‘একলা চলো রে’ নীতি গ্রহণ করতে অস্বীকার করছে৷ তাছাড়া ‘লেপার্ড ২’ ট্যাংক চালাতে দীর্ঘ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন লাগে বলে আপাতত সেই ট্যাংক ইউক্রেনের কাজে লাগবে না বলেও অনেকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন৷ তবে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক বিষয়টি নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্তের জন্য চাপ দিচ্ছেন৷ ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা জার্মানির কড়া সমালোচনা করে বলেছেন, ইউক্রেনকে  এমন সরঞ্জাম না পাঠানোর পক্ষে একটিও যুক্তিগ্রাহ্য কারণ দেখানো হচ্ছে না৷

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস আবার ইউক্রেনের প্রতি জার্মানির সংহতি ও সে দেশকে  সহায়তার অঙ্গীকার করেন৷ তিনি বলেন, জার্মানি ইউক্রেনকে লাগাতার সাহায্য করে চলেছে, কারণ সে দেশের সংগ্রামের প্রতি জার্মানির পূর্ণ সমর্থন রয়েছে৷ তাঁর সরকার ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা ও সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে৷ শলৎসের মতে, জার্মানি ও সহযোগী দেশগুলির সরবরাহ করা অস্ত্র কাজে লাগিয়ে ইউক্রেন রুশ প্রেসিডেন্টের পরিকল্পনা বানচাল করতে সমর্থ হচ্ছে৷ 

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)