গ্রিন্ডাভিক : আগ্নেয়গিরির লাভায় বিপন্ন এক শহর
গত চার মাসের মধ্যে চতুর্থবারের মতো আইসল্যান্ডের উপকূলীয় শহর গ্রিন্ডাভিকে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে৷ উপকূলের দুই কিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে লাভা৷
আকাশে ধোঁয়ার কুণ্ডলী
উপকূলীয় শহর গ্রিন্ডাভিকে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের শিখা ৪০ কিলোমিটার দূরে রাজধানী রেইকজাভিকের আকাশেও দেখা গিয়েছিল৷ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে আটটার দিকে হওয়া এই অগ্নুৎপাতের ফলে রক্তিম হয়ে ওঠে ওই অঞ্চলের আকাশ৷ রাজধানীর আকাশেও দেখা যায় ধোঁয়ার কুণ্ডলী৷
কর্তৃপক্ষের পর্যবেক্ষণ
অগ্ন্যুৎপাতের পর ঘণ্টায় এক কিলোমিটার বেগে গড়িয়ে পড়তে থাকে গলিত লাল লাভা৷ সার্ভিলেন্স ফ্লাইট থেকে এভাবেই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা৷
উপকূলীয় গ্রামের দিকে লাভা
কর্তৃপক্ষ জানায়, অগ্ন্যুৎপাতের পর গ্রিন্ডাভিকের গ্রামাঞ্চলের দিকেও গড়িয়ে আসছিল লাভা৷ তবে গত নভেম্বর মাসেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল গ্রামের বাসিন্দাদের৷ তাছাড়া গ্রামটির সুরক্ষায় একটি বাঁধও নির্মাণ করা হয়েছিল৷ তবে শনিবারের সর্বশেষ এই অগ্ন্যুৎপাতের লাভা গ্রামের দুইশ মিটারের মধ্যে চলে এসেছিল৷
পর্যটকদের ভিড়
অগ্ন্যুৎপাতের পর পরিস্থিতি দেখতে নাকি ওই এলাকায় ভিড় করেন অনেক পর্যটক৷ পর্যটকদের ভিড়ের কারণে উদ্ধার কাজে সমস্যা হচ্ছিল বলে জানান উদ্ধারকর্মীরা৷ অগ্ন্যুৎপাতের পরপরই অবশ্য সেখানকার ব্লু লেগুন অঞ্চলের ৭০০ বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলে জানায় সরকার৷
স্থানীয়দের গ্রিন্ডাভিক ছেড়ে দিতে আইন
আগ্নেয়গিরির এমন ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতের কারণে গ্রিন্ডাভিকের চার হাজার বাসিন্দার শহরটিতে থাকা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা৷ এমন অবস্থার প্রেক্ষিতে স্থানীয়রা যাতে নিজেদের সম্পত্তি সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে ফেলতে পারেন তার জন্য একটি আইনের খসড়া এরই মাঝে তৈরি করেছে সরকার৷
ইউরোপের সবচেয়ে বড় আগ্নেয়গিরির অঞ্চল
লাভা ছড়িয়ে পড়ায় গ্রিন্ডাভিকের আশেপাশের বেশ কয়েকটি সড়কে চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ অবশ্য আইসল্যান্ড ইউরোপের সবচেয়ে বড় ও সক্রিয় আগ্নেয়গিরির অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত৷ সেখানে ৩০টিরও বেশি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে৷