1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘খোলামেলা' পোশাকে মানা, বিতর্কের মুখে যাজক

১২ মে ২০১৯

গির্জায় খোলামেলা পোশাক পরিহার করতে নারীদের উপদেশ দিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন মিশরের একজন কপ্টিক যাজক৷ অনেকে সমালোচনামুখর হলেও কেউ কেউ পাশেও দাঁড়াচ্ছেন তাঁর৷

https://p.dw.com/p/3IJFz
মুসলিম দেশ মিশরে জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালিত হয় ‘অর্থোডক্স ইস্টার’- ফাইল ছবিছবি: Getty Images/AFP/M. El-Shahed

গত ৩০ এপ্রিল অর্থোডক্স ইস্টারের ভাষণে ‘অশালীন' পোশাকের জন্য খ্রীষ্টান নারীদের কঠোর সমালোচনা করেন ফাদার দাউদ লামে৷ মিশরের রাজধানী কায়রোর উপকণ্ঠের একটি গির্জার এই পার্দ্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বেশ জনপ্রিয়৷

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দাউদ লামে-কে বলতে শোনা যায়, ‘‘খোলামেলা ও অশালীন পোশাকে বালিকা ও নারীরা কেন গীর্জায় আসবে? যে এটা করবে, সে শেষ বিচারের মুখোমুখি হবে৷''

তিনি আরো বলেন, ‘‘যে পুরুষ তাঁর স্ত্রী-কে এমন খোলামেলা পোশাকে বের হতে দেবে, তাঁকেও স্রষ্টার সামনে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে৷'' 

মুসলিম নারীদের ফ্যাশন

প্রতিবছর জাঁকজমকপূর্ণভাবে অর্থোডক্স ইস্টার পালন করে থাকেন মিশরের প্রধান সংখ্যালঘু কপ্টিক খ্রীষ্টানরা৷ ১০ কোটি জনসংখ্যার মুসলিম দেশটিতে তাঁদের সংখ্যা ১২ শতাংশ৷

ভাষণে নারীদের পোশাক নিয়ে কৌতুকও করেন ওই পার্দ্রী৷ ‘‘অন্তত বড়দিনের সময় এমন তেজী পোশাক পরবেন না, কারণ, ওই সময়ে বেশ ঠান্ডা থাকে৷ আমরা চাই, সবসময়ই অমন ঠান্ডা থাকুক'', বলেন তিনি৷

যাজকের এমন বক্তব্য নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে মিশরের খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে বেশ বিতর্ক চলছে বলে উল্লেখ করা হয় এএফপির প্রতিবেদনে৷ অনেকে তাঁর কঠোর সমালোচনা করছেন, আবার কেউ কেউ মনে করছেন- যাজক এমন উপদেশ দিতেই পারেন৷

সান্দ্রা আওয়াদ নামে ২২ বছর বয়সি এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘‘তিনি কেবল নারীদের নিন্দা করছেন... কিন্তু গির্জায় নারী-পুরুষ সবার জন্য যথাযথ ড্রেসকোড এবং আচরণ নিয়ে কোনো কথা বলছেন না৷''

তবে যাজকের বক্তব্যে সমর্থন জানিয়ে এক নারী ফেসবুকে লিখেছেন, পার্দ্রী ‘‘সবার প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে কথা বলেছেন... যাতে সবাই জাগতে পারে এবং গীর্জার প্রতি সম্মান দেখায়৷''

নিজের বক্তব্য এবং সমালোচনার বিষয়ে এএফপির প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি দাউদ লামে৷

এমবি/এসিবি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য