করোনার কারণে ব্রাজিল, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি থেকে এখন অ্যামেরিকায় যাওয়া যায় না। তবে ট্রাম্প প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামী ২৬ জানুয়ারির পর এই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে।
বুধবারই প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নিচ্ছেন জো বাইডেন। তার একদিন আগে বাইডেনের মুখপাত্র জেন পাসকি জানিয়েছেন, নতুন প্রশাসন ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত বদল করবে। আগের মতোই ওই দেশগুলি থেকে অ্যামেরিকায় ঢোকা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার কোনো ইচ্ছে তাঁদের নেই। তিনি জানিয়েছেন, করোনা ঠেকাতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যাতায়াতের উপর আরো কড়া স্বাস্থ্যবিধি চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে।
গত সপ্তাহে সেন্টার ফর ডিসিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের প্রধান একটি নির্দেশ দেন। সেখানে বলা হয়েছে, করোনা-নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখাতে পারলেই ২৬ জানুয়ারি থেকে অ্যামেরিকায় ঢোকা যাবে। এই নির্দেশই বদলাতে চলেছে বাইডেনের প্রশাসন।
-
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নড়বড়ে চার বছর
প্রেসিডেন্সির প্রথম দিনেই নারীদের প্রতিবাদ
ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন ২০১৭ সালের ২১ জানুয়ারি৷ আর সেদিনই মার্কিন রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে অনেক নারী ট্রাম্পের যৌন কেলেঙ্কারির ইস্যুতে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন৷ তার বিরুদ্ধে অন্তত ২৬ নারী যৌন নিগ্রহের অভিযোগ এনেছেন৷
-
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নড়বড়ে চার বছর
সৌদি আরবে প্রথম সফর
মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রথম বিদেশ সফর ছিল সৌদি আরবে৷ ২০১৭ সালের মে মাসে রিয়াদ সামিটে অংশ নেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোয়াপারেশন (ওআইসি) এর প্রতিনিধিরা৷ সেই সামিট অবশ্য তুরষ্ক এবং ইরান বয়কট করেছিল৷
-
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নড়বড়ে চার বছর
পর্ন তারকার সাথে ‘সমঝোতা’
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে জানায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগে আগে ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোয়েন পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে এক লাখ ত্রিশহাজার মার্কিন ডলারের বিনিময়ে সমঝোতা করেছিলেন৷ সেই তারকার সঙ্গে ট্রাম্পের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল বলে দাবি পত্রিকাটির৷
-
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নড়বড়ে চার বছর
গুরুত্বপূর্ণ পদে পরিবারের সদস্যরা
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে তার পরিবারের সদস্যদের নিয়োগ দেন৷ তাদের মধ্যে অন্যতম ট্রাম্প কন্যা ইভান্কা ট্রাম্প, যিনি প্রেসিডেন্টের একজন উপদেষ্টা৷
-
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নড়বড়ে চার বছর
শরণার্থীদের প্রতি ‘জিরো টলারেন্স’
ট্রাম্প আশ্রয়প্রার্থীদের উপর অত্যন্ত কঠোর নীতি আরোপ করেন এবং দেশটির দক্ষিণের সীমান্ত থেকে আশ্রয়প্রার্থীদের ফিরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন৷ শুধু তাই নয় অনেক অভিবাসী পরিবারের শিশুদেরকে জোর করে বাবামায়ের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করেন তিনি৷ তার এই নীতির সমালোচনা করেছেন অনেকে৷
-
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নড়বড়ে চার বছর
রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ সবচেয়ে আলোচিত ছিল তার মধ্যে অন্যতম রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক৷ অনেকেই মনে করেন ২০১৬ সালের নির্বাচনে জিততে ট্রাম্পকে সহায়তা করেছিল রাশিয়া৷ যদিও এই অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি, তবে গত চারবছর রাশিয়ার সঙ্গে মার্কিন সম্পর্ক বেশ দোদুল্যমান ছিল৷
-
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নড়বড়ে চার বছর
সবচেয়ে লম্বা ‘শাটডাউন’
২০১৯ অর্থবছরের বাজেটকে কেন্দ্র করে কংগ্রেসে মতানৈক্যের কারণে মার্কিন ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘ ‘ফেডারেল গভর্মেন্ট শাটডাউন’ দেখেছে হোয়াইট হাউস৷ ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ২৫ জানুয়ারী অবধি এই অচলাবস্থা বহাল ছিল৷
-
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নড়বড়ে চার বছর
উত্তর কোরিয়ায় প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট
ক্ষমতায় থাকা কোন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পই প্রথম উত্তর কোরিয়ার মাটিতে পা রাখেন৷ উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে মার্কিন সম্পর্কের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে এই সফর৷
-
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নড়বড়ে চার বছর
তালেবানের সঙ্গে চুক্তি
দীর্ঘ চেষ্টার পর গত বছর ট্রাম্প প্রশাসন আফগানিস্তান ইস্যুতে তালেবানের সঙ্গে একটি শান্তি চুক্তি করতে সক্ষম হয়৷ এর মাধ্যমে তালেবানের সঙ্গে ১৯ বছর ধরে চলা যুদ্ধের আপাতত অবসান ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ তবে এই চুক্তি আফগানদের কতটা উপকারে আসবে তা নিয়ে সন্দিহান অনেক বিশেষজ্ঞ৷
-
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নড়বড়ে চার বছর
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ইসরায়েলের চুক্তি
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সক্ষম হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ ফলে উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের এখন অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে৷
-
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নড়বড়ে চার বছর
ইরান ইস্যুতে উল্টো নীতি
ওবামা প্রশাসন ইরানের সঙ্গে যে পরমাণু চুক্তি করেছিল, তা থেকে সরে এসেছে ট্রাম্প প্রশাসন৷ দেশটির উপর আরো নানা নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা হয়েছে৷
লেখক: আরাফাতুল ইসলাম
করোনা নিয়ে প্রথম থেকেই ট্রাম্পের সঙ্গে বাইডেনের মতবিরোধ সামনে এসেছে। প্রথমদিকে ট্রাম্প করোনাকে হালকাভাবে নিয়েছিলেন। তিনি মাস্ক পরারই বিরোধী ছিলেন। কোনো কড়াকড়িও করেননি। বাইডেন বারবার এ নিয়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তিনি মনে করেন, ট্রাম্পের ভুল নীতির জন্যই অ্যামেরিকায় করোনার এতখানি তাণ্ডব দেখা যাচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরেই বাইডেন করোনা নিয়ে নীতি তৈরির জন্য টাস্ক ফোর্স গঠন করেছেন। প্রেসিডেন্ট হয়েই সেই টাস্ক ফোর্সের সুপারিশ তিনি রূপায়ণ করতে চান। বাইডেনের প্রাথমিক কাজ হলো, করোনা ঠেকানো এবং অ্যামেরিকার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা। ফলে ট্রাম্পের আমলের অনেক সিদ্ধান্তই বদল করতে পারেন তিনি।
জিএইচ/এসজি(এপি, রয়টার্স)