1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্রাইস্টচার্চ হামলা: সাহসিকতায় দুই মুসলিমের শীর্ষ পুরস্কার

১৯ ডিসেম্বর ২০২১

২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলার সময় হামলাকারীকে বাধা দেয়া এবং মুসল্লিদের রক্ষা চেষ্টার জন্য ড. নাইম রশীদ ও আব্দুল আজিজকে দেশটির সর্বোচ্চ সাহসিকতার পুরস্কার নিউজিল্যান্ড ক্রস দেয়া হয়েছে৷ 

https://p.dw.com/p/44X6m
ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার ঘটনার পর নিউজিল্যান্ডের মানুষের সংহতিছবি: picture-alliance/dpa

ড. রশীদ হামলাকারী বন্দুকধারীকে ঠেকাতে গিয়ে প্রাণ হারান৷ ড. রশীদ ও তার ছেলে হামলার দিনে আল নূর মসজিদে জুম্মার নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন৷ হঠাৎ এক বন্দুকধারী ঢুকে নির্বিচারে গুলি করা শুরু করে৷ হামলাকারী যখন মুসল্লিদের দিকে গুলি করছিলেন তখন ড. রশীদ পেছন থেকে দৌড়ে বন্দুকধারীর দিকে ছুটে যান৷ তিনি যখন হামলাকারীর তিন ফুট কাছে যান, দক্ষিণপন্থী ঐ সন্ত্রাসী টের পেয়ে ঘুরে গুলি ছুড়ে৷ কাঁধে গুলিবিদ্ধ হয়েও ড. রশীদ ছুটে গিয়ে হামলাকারীকে জাপটে ধরে মাটিতে ফেলে দিতে সক্ষম হন৷ হামলাকারী উঠে আবার গুলি করলে ড. রশীদ মারা যান৷ কিন্তু তার এই অসীম সাহসিকতার কারণে কমপক্ষে সাতজনের প্রাণ বাঁচে৷ তারা ঐ সময়  পালিয়ে  নিরাপদ জায়গায় চলে যান৷

নিউজিল্যান্ড ক্রস পাওয়া আব্দুল আজিজ ছেলেকে নিয়ে নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন লিনউড মসজিদে৷ বন্দুকধারী ক্রাইস্টচার্চে হামলার পরে লিনউডে হামলা চালায়৷ নির্বিচারে গুলি করতে করতে গুলি শেষ হয়ে যাওয়ায় গাড়িতে এসে আরেকটি বন্দুক নেয়৷ এ সময় আব্দুল আজিজ হাতের কাছে একটি ক্রেডিট কার্ড মেশিন পেয়ে সেটা নিয়েই চিৎকার করতে করতে বন্দুকধারীর দিকে ধেয়ে আসেন৷ বন্দুকধারী গুলি করলে তিনি একটি গাড়ির আড়ালে লুকিয়ে যান৷ বন্দুকধারীর ফেলে দেয়া বন্দুকটি আজিজ তুলে নেন৷ বন্দুকধারীকে গুলি করতে গিয়ে দেখেন গুলি নেই৷  তিনি গাড়ির আড়াল থেকে চিৎকার করে বন্দুকধারীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন৷  এরপর বন্দুকটি দিয়ে হামলাকারীর গাড়ির পেছনের জানালা ভেঙে ফেলেন৷ হামলাকারী প্রতিরোধের মুখে ঘটনাস্থল থেকে গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যান৷

সর্বোচ্চ সাহসিকতার পুরস্কার নিউজিলান্ড ক্রস প্রবর্তন করা হয় ১৯৯৯ সালে৷ এর আগে মাত্র দুইজন এই পুরস্কার পেয়েছেন৷   ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলার সময় সাহসী ভূমিকার জন্য আরো আটজনকে বিভিন্ন সাহসিকতা পুরস্কার দেয়া হয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডার্ন এই সাহসিকতাকে স্বার্থহীন ও অনন্য বলে উল্লেখ করেছেন৷ তিনি সাহসিকতার জন্য পুরস্কৃতদের প্রতি বিশেষ সম্মান জানান৷ 

২০১৯ সালে ক্রাইস্টচার্চে দুইটি মসজিদে হামলা চালিয়েছিল এক দক্ষিণপন্থী সন্ত্রাসী৷ বন্দুক নিয়ে মসজিদে ঢুকে সাধারণ মানুষের উপর গুলি চালান৷ ঘটনায় ৫১ জন সাধারণ মুসলিমের মৃত্যু হয়েছিল৷ ঘটনার পর অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়৷ গত বছর নিউজিল্যান্ডের আদালত তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়েছে৷

এপিবি/কেএম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য