1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিকেনিয়া

কেনিয়ায় আদানিকে বিমানবন্দর দেয়া নিয়ে ধর্মঘটের ডাক

১৩ আগস্ট ২০২৪

কেনিয়ার সবচেয়ে বড় বিমানবন্দরের বিকাশ ও উন্নয়ন করার কথা আদানির। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সোমবার থেকে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বিমানবন্দরের কর্মচারী ইউনিয়ন।

https://p.dw.com/p/4jP3Z
মুম্বইয়ে আদানির দপ্তর।
কেনিয়ায় জেকেআইএ-র উন্নয়নের ভার আদানিকে দেয়া নিয়ে ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে। ছবি: Indranil Aditya/NurPhoto/picture alliance

কেনিয়ার এভিয়েশন ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের দাবি, আদানি এয়ারপোর্টস হোল্ডিংসের সঙ্গে প্রস্তাবিত চুক্তি বাস্তবায়িত হলে কেনিয়ার বাইরের থেকে কর্মীদের নিয়ে আসা হবে এবং এর ফলে কেনিয়ার অনেকের চাকরি যাবে। তাই তারা সাতদিনের নোটিশ দিয়ে ধর্মঘটে নামছে

ইউনিয়নের দাবি, সরকারকে এই চুক্তি বাতিল করতে হবে। তারা মনে করে, সরকার জেকেআইএ বিমানবন্দরকে বেআইনিভাবে বেচে দিতে চাইছে।

সরকার জানিয়েছে, কেনিয়ার এয়ারপোর্ট বেচে দেয়া হচ্ছে না। প্রস্তাবিত পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের ভিত্তিতে বিমানবন্দরের উন্নয়নের কাজের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।

বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য আদানির কোনো মুখপাত্রকে পাওয়া যায়নি বলে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

কেনিয়ার ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মস এনডিয়েমা বলেছেন, ''আদানির সঙ্গে চুক্তি পুরোপুরি বাতিল করতে হবে।'' তার দাবি, ''কেনিয়া এয়ারপোর্টস অথরিটি(কেএএ)-র পুরো বোর্ডকে ইস্তফা দিতে হবে।''

কেএএ সোমবার জানিয়েছে, তারা ধর্মঘটের নোটিশ পেয়েছে। তবে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান পাওয়া যাবে বলে তারা আশাবাদী। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আদানি গোষ্ঠীর দ্বিতীয় রানওয়ে বানানো এবং যাত্রীদের ব্যবহারের জন্য টার্মিনাল উন্নয়ন করার কথা আছে।

সরকারের তরফ থেকে গতমাসে আদানির প্রস্তাব নিয়ে বলা হয়েছে, জেকেআইএ  বিমানবন্দরের বছরে ৭৫ লাখ যাত্রী ঠিকভাবে যাতায়াত করতে পারেন। কিন্তু এখন যাত্রীসংখ্যা বেড়ে গেছে। তাই এখন পরিকাঠামোর জরুরি ভিত্তিতে উন্নতি ঘটানো দরকার। উপর থেকে জল পড়ার মতো ঘটনায় অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে।

বলা হয়েছে, জেকেআইএ-র আধুনিকীকরণের জন্য দুইশ কোটি ডলার চাই। বর্তমান আর্থিক অবস্থায় যা দেয়া সরকারের পক্ষে কঠিন।

সরকার জানিয়েছে, আদানির প্রস্তাব বিবেচনা করা হচ্ছে। যদি কোনো চুক্তি করা হয়, তা হলে দেশের স্বার্থ বজায় রেখে তা করা হবে।

গত জুন মাসে সরকারের প্রস্তাবিত কর বাড়ানো নিয়ে যুবরা আন্দোলনে নেমেছিল। সেসময় আদানির সঙ্গে চুক্তির বিষয়টিও সমালোচিত হয়েছিল। গতমাসে বিক্ষোভকারীরা জেকেআইএ -তে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে। পুলিশ তাদের থামায়

শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনাম

মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ভিয়েতনামে দুইটি বিমানবন্দরে বিনিয়োগ করা নিয়ে আদানি গোষ্ঠী চিন্তাভাবনা করছে। তারা উপকূলের শহর ডা নাং-এ দুইশ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে পারে। ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে গৌতম আদানির সঙ্গে কথাও বলেছেন।

হিন্দু-বিজনেসলাইনের রিপোর্ট বলছে,  কলম্বোসহ শ্রীলঙ্কার তিনটি বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপনা আদানি গোষ্ঠীকে দেয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। শ্রীলঙ্কার মন্ত্রী হারিন ফার্নান্দো বলেছেন, আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে বিমানবন্দরের উন্নয়নের বিষয়ে কথা চলছে।

ভারতের আটটি বিমানবন্দর

আদানি গোষ্ঠীর ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, তারা ভারতে আমেদাবাদ, লখনউ, ম্যাহ্গালুরু, জয়পুর, গুয়াহাটি ও থিরুবনন্তপুরমের বিমানবন্দরের উন্নয়নের কাজ করছে। এছাড়া তাদের কাছে মুম্বই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নিমিটেডের ৭৩ শতাংশ ও নবি মুম্বই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লিমিটেডের ৭৪ শতাংশ শেয়ার আছে। এই আটটি বিমানবন্দরের ম্যানেজমেন্ট ও উন্নয়নের দায়িত্ব তাদের হাতে থাকার অর্থ ২৫ শতাংশ যাত্রী ও ৩৩ শতাংশ পণ্য তাদের বিমানবন্দর দিয়ে যাতায়াত করে।

জিএইচ/এসিবি(রয়টার্স)