1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কুষ্ঠ নেই, তবু আছে ভারতে!

শেখ আজিজুর রহমান/এসিবি১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

ঘৃণাভরে দূরে রাখা হতো তাঁদের৷ কুষ্ঠ রোগীদের পাশে দাঁড়াতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী৷ ‘আর্ত-পীড়িতদের মা’ মাদার টেরেসা তো তাঁদের সেবায় পার করেছিলেন জীবনের বড় একটা অংশ৷ সব যেন মিথ্যের হয়ে গেল ভারতে!

https://p.dw.com/p/17baD
TO GO WITH India-health-disease-leprosy,FEATURE BY PHIL HAZELWOOD Balakrishna Bhudaji (L) is examined by a doctor from the Bombay Leprosy Project (BLP) during a field visit to Chincvali village, some 100 kms from Mumbai on May 15, 2009. According to public health officials, there were more than 1,145 new cases of leprosy in Mumbai from February 2008 to March 2009, an increase from 1,070 in 2007-08. AFP PHOTO/Pal PILLAI (Photo credit should read PAL PILLAI/AFP/Getty Images)
ছবি: AFP/Getty Images

সাত বছর আগে খুব গর্ব করেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডাব্লিউএইচও-কে ভারত সরকার জানিয়েছিল, ‘দেশ এখন কুষ্ঠরোগ মুক্ত৷' কিন্তু এই ২০১৩ সালেও দেখা যাচ্ছে ভারতে শুধু যে কুষ্ঠরোগ আছে তা-ই নয়, আছে খুব আতঙ্কজনকভাবে৷ বিশ্বের মোট কুষ্ঠরোগীর অর্ধেকেরও বেশি রয়েছেন ভারতে!

CALCUTTA, INDIA: Yousef (R), a leprosy patient, looks up for alms from the residents of a building as he passes by pulling his mother, who also suffers from leprosy, on a cart 03 July 1999 in Calcutta. Yousef and his mother may soon be driven out of Calcutta as the local government recently began a campaign to drive away the leprosy-ridden beggars into a state-funded home outside the city. AFP PHOTO/ARKO DATTA (Photo credit should read ARKO DATTA/AFP/Getty Images)
‘‘স্বাস্থ্যকর্মীরা কুষ্ঠরোগীদের প্রতি নির্দয় আচরণ করেন এমন অভিযোগ আমি পেয়েছি৷''ছবি: AFP/Getty Images

প্রতি বছরের মতো গত ৩০ জানুয়ারিও পালিত হলো আন্তর্জাতিক কুষ্ঠরোগ দিবস৷ এবারও দিবসটি উদযাপিত হয়েছে ভারতে৷ তবে গত ছয়টি বছরের মতো আবহ ছিল না উদযাপনে৷ থাকবে কী করে? খোদ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ই যে জানাচ্ছে এ মুহূর্তে কমপক্ষে ১ লক্ষ ২৭ হাজার কুষ্ঠরোগী আছেন ভারতে৷ সংখ্যাটা আরো বড় হওয়াই স্বাভাবিক৷ সঠিক পরিসংখ্যান আশা করা যেত রোগীরা যদি নির্ধারিত হাসপাতালগুলোতে গিয়ে চিকিৎসা নিতেন৷ কিন্তু বাস্তবতা হলো, এ যুগেও ভারতের অনেক মানুষই মনে করেন কুষ্ঠরোগ খুব মারাত্মক একটা রোগ, এ রোগ যাঁর হবে তাঁর কাছে ঘেঁষাই চলবে না৷ সমাজের যখন এই অবস্থা তখন রোগীরা সবার সামনে হাসপাতালে হাজির হবেন কী করে? স্বাভাবিক কারণেই বেশির ভাগ রোগীই তাই চলে যান সব কিছু বিচার-বিবেচনা করে সেইসব হাসপাতাল বা ক্লিনিকে, যেখানে গোপনীয়তা রক্ষার নিশ্চয়তা সবচেয়ে বেশি৷

কেউ যদি নির্ধারিত হাসপাতালগুলোতে যানও তারপরও অনেক ক্ষেত্রে সরকারি হিসেবে তাঁরা আসেন না৷ অনেক হাসপাতালের ডাক্তারদের নাকি ডাব্লিউএইচও-কে সঠিক তথ্য দেয়ার কোনো তাগিদ বা আগ্রহই নেই৷ ভারতে কুষ্ঠরোগীদের সমস্যার আসলে শেষ নেই৷ সাধারণ মানুষ তো তাঁদের ভালো চোখে দেখেই না, এমনকি কোথাও কোথাও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছেও তাঁরা প্রায় অস্পৃশ্য৷ তাঁদের দূরে রাখতে পারলেই নাকি অনেক স্বাস্থ্যকর্মী বাঁচেন!

কলকাতার প্রেমানন্দ মেমোরিয়াল কুষ্ঠরোগ হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিন্টেনডেন্ট ড. হেলেন রবার্টস৷ কুষ্ঠরোগীদের প্রতি যে স্বাস্থ্যকর্মীরাও অনেক ক্ষেত্রে সদয় নন সেই সত্য তাঁর মুখ থেকে বেরিয়ে এলো এভাবে, ‘‘স্বাস্থ্যকর্মীরা কুষ্ঠরোগীদের প্রতি নির্দয় আচরণ করেন এমন অভিযোগ আমি পেয়েছি৷'' সব দেখে পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মহকুমা কুষ্ঠরোগ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক অরুনেষ চক্রবর্ত্তী মনে করেন, ‘‘এখন ভারতের উচিত, দেশ যে এখনো কুষ্ঠরোগ মুক্ত হয়নি সেটা ডাব্লিউএইচও-কে জানিয়ে দেয়া৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য