1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিইউক্রেন

কুরস্ক বাফার জোন, জানালেন জেলেনস্কি

১৯ আগস্ট ২০২৪

রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের দখল নিচ্ছে ইউক্রেনের সেনা। রুশ সেনার আক্রমণ ঠেকাতেই এই ব্য়বস্থা বলে দাবি।

https://p.dw.com/p/4jbaA
কুরস্কে ইউক্রেনের আক্রমণ
কুরস্কে ইউক্রেনের আক্রমণে সেতু ধ্বংসছবি: Ukrainian Armed Forces/AP/picture alliance

রোববার কুরস্ক নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে ইউক্রেন। দেশের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের সেনা গেছে কারণ, ওই অঞ্চলে তারা একটি বাফার জোন তৈরি করতে চাইছে। অর্থাৎ, ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্য়বর্তী এলাকা। জেলেনস্কির দাবি, রাশিয়ার আক্রমণ ঠেকাতেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরপর রাশিয়াকে স্থলপথে আক্রমণ করতে হলে কুরস্ক পার করে ইউক্রেনে ঢুকতে হবে।

ইউক্রেনের সেনার প্রশংসা করেছেন জেলেনস্কি। বলেছেন, ''যুদ্ধে কোনো বিরতি থাকে না। কোনো ছুটি থাকে না। আমাদের সেনা চারদিক দিয়ে কুরস্কে ঢুকে পড়েছে। কিন্তু আমাদের পশ্চিমা সহযোগীরা যথেষ্ট সাহায্য করছে না।'' মূলত অ্যামেরিকা, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য়ের উল্লেখ করেছেন তিনি। পাশাপাশি গ্লোবাল সাউথ বা দক্ষিণ বিশ্বের কথাও এদিন উল্লেখ করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, আরো অনেক বেশি সাহায্য় প্রত্যাশা করছেন তিনি।

রাশিয়ার বক্তব্য়

এদিকে গত শনিবার ওয়াশিংটন পোস্ট একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, কিছুদিনের মধ্যেই কাতারে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার প্রতিনিধিদের বৈঠকে বসার কথা ছিল। সরাসরি না হলেও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাদের আলোচনা করার কথা ছিল। সেই বৈঠকে নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় দুই দেশ আক্রমণ চালাবে না, এই মর্মে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। ওয়াসিংটন পোস্টের দাবি, ইউক্রেন কুরস্ক আক্রমণ করায় ওই বৈঠক ভেস্তে দিয়েছে রাশিয়া।

রোববার ওয়াশিংটন পোস্টের এই খবরের বিরোধিতা করে বয়ান দিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা। তিনি বলেছেন, ওয়াশিংটন পোস্টে যা প্রকাশ হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি বা ভিডিও কলে রাশিয়ার কোনো বৈঠক হওয়ার কথা ছিল না। দুই দেশের মধ্যে এই মুহূর্তে কোনো সমঝোতা হওয়াও সম্ভব নয়। রাশিয়া প্রথমে তার মানুষদের অধিকার রক্ষা করবে, তারপর বাকি কাজ করবে।

মারিয়া স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ইউক্রেনের কুরস্ক আক্রমণের দিকেই তিনি ইঙ্গিত করছেন। বস্তুত, ওয়াশিংটন পোস্ট দাবি করেছিল, কাতারের বৈঠক থেকে দইি দেশের মধ্যে একটি আংশিক সংঘর্ষ-বিরতির প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)