কুরস্কের ভিতরে ইউক্রেনের সেনা, জবাব দেবেন পুটিন
১৩ আগস্ট ২০২৪গত মঙ্গলবার রাশিয়াকে অবাক করে দিয়ে ইউক্রেনের সেনা কুরস্কে ঢুকে পড়ে। রাশিয়ার ২৮টি শহর ও গ্রাম এখন তাদের অধিকারে। তারপর রাশিয়া এক লাখ ২০ হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে গেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, যুদ্ধ এখন রাশিয়ার ঘরে ঢুকে পড়েছে।
পুটিন যা বলেছেন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিন প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বৈঠকে বলেছেন, ''সীমান্তের পরিস্থিতি বিগড়ে দেয়ার জন্য ইউক্রেন এই কাজ করেছে।'' পুটিনের ভাষণ সরকারি টিভিতে প্রচার করা হয়।
পুটিন বলেছেন, ''ইউক্রেনকে উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে। তাদের রাশিয়ার ভূখণ্ড থেকে সরিয়ে দেয়া হবে। রাশিয়ার বাহিনী সাফল্য পাবেই।''
কুরস্কে এক সপ্তাহ ধরে লড়াই চলছে। রাশিয়ার বাহিনী এখনো প্রত্যাঘাত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
পুটিন বলেছেন, ইউক্রেন এই কাজ করেছে রাশিয়ার মানুষ যাতে ক্ষুব্ধ হয় এবং তাদের স্থায়িত্বে যাতে আঘাত লাগে তার জন্য।
পুটিনের দাবি, ''কিয়েভ সামরিক দিক থেকে রাশিয়াকে হারাতে চাইছে। কিন্তু তার ফল উল্টো হবে। দনেৎস্কে রাশিয়ার অভিযান বহাল থাকবে। ইউক্রেন যে ভাবছে, এভাবে শান্তি আলোচনায় তারা সুবিধা পাবে, সেটা হবে না।''
ইউক্রেনের দাবি
ইউক্রেনের সেনাপ্রধান বলেছেন, ''আমরা কুরস্কে অভিযান চালু রাখব। এখনো পর্যন্ত এক হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা আমাদের দখলে আছে।'' সেনাপ্রধানের ভিডিও প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সামাজিক মাধ্যমের অ্যাকাউন্টে আপলোড করা হয়েছে।
জেলেনস্কিও জানিয়েছেন, ''এই প্রথমবার ইউক্রেনের সেনা রাশিয়ার কুরস্কের ভিতরে ঢুকে পড়েছে।''
জেলেনস্কি সামাজিক মাধ্যমে বলেছেন, ''আমরা আমাদের সেনা ও কম্যান্ডোদের কাছে কৃতজ্ঞ।'' তিনি জানিয়েছেন, কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে, ওই এলাকার জন্য একটা মানবিক পরিকল্পনা বানাতে।
যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ইরান রাশিয়াকে কয়েকশ ব্যালেস্টিক মিসাইল দিচ্ছে বলে রিপোর্ট দেখে তারা উদ্বিগ্ন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, ''যদি ইরান এই ব্যালেস্টিক মিসাইল রাশিয়াকে দিতে চায়, তাহলে আমরাও দ্রুত ভয়ংকর প্রতিক্রিয়া দেখাব। আমরা মনে করছি, এই মিসাইল দেয়া মানে রাশিয়ার আগ্রাসনকে ইরানের সমর্থন জানানো।''
গত শুক্রবার বার্তাসংস্থা রয়টার্স খবর করে যে, রাশিয়ার বেশ কয়েকজন সেনা কর্মী এখন ইরানে এই ব্যালেস্টিক মিসাইল ব্যবহারের প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।
জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)