কী থাকছে নতুন সড়ক পরিবহণ আইনে?
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহাণির ঘটনায় সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রেখে বহুল আলোচিত সড়ক পরিবহন আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকার৷
শিক্ষাগত যোগ্যতা
আগের আইনে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না৷ নতুন আইনের খসড়ায় ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য চালকের কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি পাসের শর্ত রাখা হয়েছে৷
সহকারী হতেও শিক্ষাগত যোগ্যতা
আগের অধ্যাদেশে সহকারীদের লাইসেন্সের কথা থাকলেও তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্ত ছিল না৷ নতুন আইনে চালকের সহকারীরও থাকতে হবে পঞ্চম শ্রেণি পাসের সার্টিফকেট৷ সহকারী হতে বাধ্যতামূলকভাবে লাইসেন্সের বিধান তো থাকছেই৷
ন্যূনতম বয়স
ব্যক্তিগত গাড়ি চালনার জন্য চালকের বয়স আগের মতই অন্তত ১৮ বছর রাখা হয়েছে৷ তবে পেশাদার চালকদের বয়স হতে হবে কমপক্ষে ২১ বছর৷
বাড়ছে সাজা
নতুন আইনের খসড়ায় চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে অনধিক ছ’মাসের জেল বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে৷ আগের আইনে এই অপরাধের জন্য তিন মাসের জেল বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান ছিল৷
সাজা হবে সহকারীরও
চালকের সহকারীর লাইসেন্স না থাকলে এক মাসের জেল বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান আছে নতুন আইনের খসড়ায়৷
নিষিদ্ধ মোবাইল ফোন
নতুন আইন পাস হলে গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না চালক৷ এ আইন ভাঙলে এক মাসের কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে৷
বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার
ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে- এমন অপরাধের ক্ষেত্রে চালককে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে পুলিশকে৷
বিধি অমান্যে পয়েন্ট কাটা
প্রস্তাবিত আইনে লাইসেন্সে থাকবে মোট ১২ পয়েন্ট৷ বিভিন্ন বিধি অমান্যে কাটা যাবে এই পয়েন্ট৷ পয়েন্ট শূন্য হলে বাতিল হবে চালকের লাইসেন্স৷
দুর্ঘটনার সাজা দণ্ডবিধিতে
পেনাল কোডে যা কিছু থাকুক না কেন অবহেলাজনিত কারণে গুরুতরভাবে আহত বা প্রাণহানি হলে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে৷ তদন্তে দুর্ঘটনা যদি উদ্দেশ্যমূলক হিসেবে প্রমাণিত হয় তাহলে তা দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় (নরহত্যা, সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড) যাবে৷ আর চালকের কারণে প্রাণহানি হয়ে থাকলে ৩০৪ (বি) ধারা অনুযায়ী সাজা দেওয়া হবে৷ তদন্ত কর্মকর্তাই ঠিক করবেন- অপরাধ কোন ধারায় যাবে৷