1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইন্টারনেট আসক্তি

২৪ এপ্রিল ২০১৮

নেশা নানারকমের হতে পারে৷ সারা দুনিয়ার কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীদের পক্ষে আজ সবচেয়ে বড় ‘অ্যাডিকশন' হলো সম্ভবত কম্পিউটার-স্মার্টফোন-অনলাইন-ইন্টারনেটের নেশা৷ কিন্তু তা থেকে বাঁচারও উপায় আছে৷

https://p.dw.com/p/2wVkJ
Büro Person mit Smartphone
ছবি: picture-alliance/PhotoAlto/F. Cirou

সবচেয়ে বড় ‘অ্যাডিকশন’ কী?

এরিকের নেশা ছিল জার্মানে যাকে বলে ‘সকেন' – মানে কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত যা-কিছু: ভিডিও গেম, চ্যাটিং, সারাক্ষণ অনলাইন থাকা৷ এক কথায়, বার্লিনের ২০ বছরের এই তরুণটি ছিল ইন্টারনেট আসক্ত; তার সারা জীবনটা জুড়ে ছিল কম্পিউটার আর স্মার্টফোন৷

এরিক শোনাল, ‘‘আমার রেকর্ড হলো একবারও না থেমে বিশ ঘণ্টা৷ বাথরুমে যাওয়ার জন্য যেটুকু সময় – তবে খাওয়াদাওয়া সব কম্পিউটারের সামনে৷ সকালে শুরু হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত – আসলে প্রায় পরদিন সকাল অবধি৷''

স্কুল, বন্ধুবান্ধব, সামরিক সেবার পরিবর্তে এক বছর পরিবেশ সেবা, সব কিছু ছেড়ে দেয় এরিক – কেননা তার আর ওসবের জন্য সময় ছিল না৷ তার দিন কাটত সাইবার জগতে৷

‘‘তখন আমি খেয়াল করলাম যে, আমার সাহায্য দরকার, নিজেকে বদলানো দরকার; নয়তো আমি গোল্লায় যাব৷''

প্রথমে এরিক নিজেই চেষ্টা করেছে: কম্পিউটার বাক্সবন্দি করে ভাঁড়ারে রেখে দিয়েছে৷ শিগগিরই এরিক খেয়াল করে যে, শুধু এ সব করে হবে না৷ তখন সে একটা কাউন্সেলিং সেন্টারে যায়৷

মুক্তির পথ

‘‘বাড়িতে মায়ের সঙ্গে খালি চেঁচামেচি – আমি খুব তাড়াতাড়ি বাড়ি ছেড়ে গেছি, ১৫ বছর বয়স থেকে একা ঘর নিয়ে থেকেছি৷ স্কুলেও আগে সবাই আমাকে ঠাট্টা করত, জ্বালাত – আমার পক্ষে যা প্রায় অসহ্য ছিল৷ তারপর যখন বাড়িতে আসতাম, তখন কম্পিউটারটা যেন আমার জন্য অপেক্ষা করত: গেমস খেলতে শুরু করলেই সমস্ত খারাপ চিন্তা, ভালো লাগা না-লাগা, সব যেন ঢাকা পড়ে যেত৷ সেটাই তখন অভ্যেস হয়ে দাঁড়ায়৷''

এরিক ইন্টারনেট আসক্তি থেকে মুক্ত হতে চায়, তাই সে একটি ক্লিনিকে দু'মাস ধরে থেকে থেরাপি করছে, অন্যান্য রোগীদের সঙ্গে তো বটেই, আবার একক থেরাপিও চলে৷ এখন সে অনেক ভালো বোধ করছে৷ ‘‘এখনও বেশ অদ্ভুত লাগে৷ আগের তুলনায় মনে হয় যেন আমার কিছু একটা নেই৷ তবে ভেতরের ঐ তাড়নাটা আর অত নেই, বলে আমার ধারণা – মন ভালো করার জন্য কম্পিউটার, স্মার্টফোন, অনলাইন আর অত জরুরি নয়৷''

ইতিমধ্যে এরিক অন্যভাবে সময় কাটাতে শিখেছে – অ্যানালগ ও রিয়্যাল টাইমে৷ এখন সে কম্পিউটারের সামনে বসে থাকার চেয়ে খেলাধুলা করে৷ তার একটা নতুন হবি জুটেছে: এরিক এখন নিজেই কমিক আঁকে; এই পন্থায় তার চাপা পড়া আবেগ-অনুভূতিগুলো একটা নতুন অভিব্যক্তি পায়৷

কম্পিউটার, ট্যাবলেট, স্মার্টফোন ছাড়া বেঁচে থাকা সহজ নয়, বিশেষ করে যখন সে প্রলোভন সর্বত্র৷ সেই হিসেবে এরিককে এখনও ‘ক্লিন' বলা চলে না!

রোভোল্ট/ভিটেক/এসি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য