কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হামলায় মৃত ডাক্তার-সহ সাত নির্মাণকর্মী
২১ অক্টোবর ২০২৪মৃতদের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের পাশাপাশি বাইরের রাজ্যের মানুষও আছেন। গন্দেরবালের কাছে একটি টানেল তৈরি হচ্ছে। তার ক্যাম্পসাইটে শ্রমিকরা থাকতেন।
সেখানেই অন্ততপক্ষে দুই জন সন্ত্রাসবাদী ঢুকে গুলি চালায়। মৃতদের মধ্যে একজন চিকিৎসক এবং বাকি ছয়জন শ্রমিক।
পুরো এলাকা সেনা ও পুলিশ ঘিরে রেখেছে। আক্রমণকারীদের খোঁজ চলছে।
এই টানেলটি একটি বেসরকারি সংস্থা তৈরি করছিল। মৃতদের মধ্যে আছেন কাশ্মীরের চিকিৎসক ডাঃ শাহনওয়াজ, পাঞ্জাবের গুরদাসপুরের মোহাম্মদ হানিফ ও ফাহিম নাসির, মধ্যপ্রদেশ থেকে আসা সেফটি ম্যানেজার অনিল কুমার শুক্ল, জম্মুর ডিজাইনার শশী আবরোল এবং বিহারের দুইজন শ্রমিক।
আক্রমণকারীরা একটি ইনসাস রাইফেল ফেলে রেখে যায়। তারা বেসরকারি সংস্থার দুইটি গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের যেতে দেয়নি। তাদের ৫০ কিলোমিটার দূরে মনিগামে থামিয়ে দেয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আক্রমণকারীদের ধরার জন্য অপারেশন চলছে। তাই সাংবাদিকদের ঘটনাস্থলের আগে থামিয়ে দেয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া
কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন ওমর আবদুল্লা। তিনি বলেছেন, ''এটা একটা কাপুরুষের মতো আক্রমণ। মৃতরা একটি পরিকাঠামোগত প্রকল্পের জন্য কাজ করছিলেন। আমি এইভাবে নিরস্ত্র নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করার তীব্র নিন্দা করছি।''
জম্মু ও কাশ্মীরের এলজি মনোজ সিনহা বলেছেন, ''সন্ত্রাসবাদীদের ধরার জন্য পুলিশ, সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়া হবে। এরকম একটা ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।'' ঘটনার নিন্দা করে তিনি বলেছেন, ''নিরপরাধ মানুষের উপর এই আক্রমণ মেনে নেয়া যায় না।''
এনআইএ দল
জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা(এনআইএ)-এর চার সদস্যের দল ঘটনাস্থলে গেছে। এই ঘটনার তদন্তের ক্ষেত্রে পুলিশ ও সেনাকে সাহায্য করবে এনআইএ।
এমনিতে গন্দেরবাল শান্তিপূর্ণ এলাকা বলে পরিচিত। গত প্রায় ১৫ বছরের মধ্যে এখানে এই ধরনের ঘটনা প্রথমবার ঘটলো।
জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)