কাশ্মীরে শান্তি ফেরাতে ভারতের উদ্যোগ
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১০১৭টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি নিয়ে কাশ্মীর সফরের শেষে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম শনিবার এক ৮ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন৷ তাছাড়া কাশ্মীরের বিভিন্ন রাজনৈতিক গোষ্ঠী ও যুব সংগঠনের সঙ্গে সংলাপ শুরু করতে কোনো এক বিশিষ্ট ব্যক্তির নেতৃত্বে মধ্যস্থতাকারীদের একটি গোষ্ঠী গঠন করার কথাও বলেন চিদাম্বরম৷ তবে কারা সেই গোষ্ঠীর সদস্য হবেন, এবিষয়ে তিনি কিছু জানান নি৷ একাধিক পদক্ষেপের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের মানুষের একটা বড় অংশের সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন চিদাম্বরম৷
গত ১১ জুন নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ১৭ বছর বয়সী এক তরুণের মৃত্যুর পর থেকে রাজ্যে অশান্তি চলছে৷ তখন থেকে বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে লাগাতার সংঘর্ষের ফলে সরকারি হিসাব অনুযায়ী এখনো পর্যন্ত ১০৭ জন নিহত হয়েছে৷ এর মধ্যে পুলিশ ও আধা-সামরিক বাহিনীর গুলিতে মূলত তরুণ বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুর ঘটনাও রয়েছে৷ ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড.মনমোহন সিং-এর সরকার সাম্প্রতিক এই হিংসালীলার ফলে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে৷
নিরাপত্তা বাহিনীর দিকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার জন্য যেসব ছাত্র ও তরুণদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে বলা হবে, জানান চিদাম্বরম৷ তাছাড়া কাশ্মীর উপত্যকা – বিশেষ করে রাজধানী শ্রীনগরে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসংখ্যা কমানোর বিষয়েও সরকার ভাবনা-চিন্তা করছে৷ গোটা রাজ্যে নিরাপত্তার খাতিরে অসংখ্য চেকপয়েন্ট গড়ে তোলা হয়েছে, যা স্থানীয় মানুষের গতিবিধির জন্য বড় এক সমস্যা৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই বাধা দূর করার ইঙ্গিত দিয়েছেন৷ উপদ্রুত এলাকার তালিকাও নতুন করে খতিয়ে দেখা হবে৷ এই সব এলাকায় সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা কার্যকর করাকে কেন্দ্র করে প্রবল সমালোচনা শোনা যায়৷ তবে আইন-শৃঙ্খলা যেহেতু রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারে পড়ে, তাই কাশ্মীরের রাজ্য সরকারকেই এসব বিষয়ে নতুন করে খতিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ জানানো হবে৷
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চিদাম্বরমের এই প্রস্তাবমালা সম্পর্কে এখনো বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের কোনো প্রতিক্রিয়া শোনা যাচ্ছে না৷ উল্লেখ্য, তাঁদের একটা বড় অংশ চিদাম্বরমের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নি৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: জাহিদুল হক