1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাশ্মীরে এনসি-কংগ্রেস এগিয়ে, হরিয়ানায় বিজেপি

৮ অক্টোবর ২০২৪

জম্মু ও কাশ্মীরে ন্যাশনাল কনফারেন্স(এনসি)-কংগ্রেস জোট এবং হরিয়ানায় বিজেপি সরকার গঠন করতে চলেছে।।

https://p.dw.com/p/4lWOf
কাশ্মীরে পোস্টাল ব্যালট গণনা করা হচ্ছে।
জম্মু ও কাশ্মীরে ন্যাশনাল কনফারেন্স ও কংগ্রেস জোট এবং হরিয়ানায় বিজেপি এগিয়ে আছে। ছবি: Channi Anand/AP Photo/picture alliance

মঙ্গলবার সকালে জম্মু ও কাশ্মীর ও হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগণনা শুরু হয়। দুই রাজ্যেই প্রাথমিক গণনার পর দেখা যাচ্ছে বুথ ফেরত ভোট সমীক্ষার ফল মেলেনি। জম্মু ও কাশ্মীরে ত্রিশঙ্কু বিধানসভার কথা বলা হয়েছিল সমীক্ষায়। কিন্তু সেখানে কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্স জোট ৪৯টি আসনে এগিয়ে আছে। বিজেপি এগিয়ে ২৭টি আসনে। পিডিপি তিনটিতে। সরকার গঠনের জন্য ৪৬টি আসন পাওয়া দরকার।

হরিয়ানায় ৯০ সদস্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দিকে কংগ্রেস এগিয়ে থাকলেও পরে বিজেপি তাদের পিছনে ফেলে দেয়। বিজেপি এখন ৪৮টি কেন্দ্রে, কংগ্রেস ৩৭টিতে এবং অন্যরা পাঁচটি কেন্দ্রে এগিয়ে আছে।  ফলে বিজেপি তৃতীয়বার এই রাজ্যে সরকার গঠন করতে চলেছে।

হরিয়ানায় কংগ্রেস এবার জয়ের বিষয়ে খুবই আশাবাদী চিল। তাদের বক্তব্য ছিল, এবার কৃষকরা বিজেপি-র উপর ক্ষুব্ধ ছিল, কুস্তিগিরদের নিয়ে বিতর্কের প্রভাব সাধারণ মানুষের উপর পড়েছিল,  জিনিসের ক্রমবর্ধমান দামের ফলে মানুষের ক্ষোভ ছিল। তারপরেও কংগ্রেস যদি এই রাজ্যে জিততে পারেনি। ফলে তা রাহুল গান্ধী-মল্লিকার্জুন খাড়গের ব্যর্থতা হিসাবে চিহ্নিত হতে বাধ্য।

হরিয়ানায় কংগ্রেসের প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অতীতে অনেকবার দলকে ডুবিয়েছে। এবারও সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রবল ছিল। ভূপিন্দর হুডা, কুমারী শৈলজা, রণদীপ সিং সূরযেওয়ালারা এক হয়ে লড়াই করতে পারেননি। তবে তারা দলের জয় নিয়ে এতটাই নিশ্চিত ছিলেন যে, কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তার লড়াই শুরু হয়ে গেছিল।

কাশ্মীরে নির্বাচন: ভোটারদের চাওয়া-পাওয়া

জম্মু ও কাশ্মীরের ফল

জম্মু ও কাশ্মীরে বিজেপি-কে সরকারে আসতে গেলে জম্মুতে বিপুলভাবে জিততে হত। কিন্তু এবার জম্মুতে বিজেপি-র বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ ছিল। প্রাথমিক ফলাফলে তার প্রতিফলন হয়েছে। কংগ্রেস জম্মুতে বেশি আসনে লড়েছে। এনসি কাশ্মীরে।

কাশ্মীরে মানুষ ন্যাশনাল কনফারেন্সকেই বেশি করে ভোট দিয়েছেন। পিডিপি মাত্র তিনটি আসনে এগিয়ে। বাকিগুলিতে ওমর আবদুল্লার দল এগিয়ে। গত লোকসভা নির্বাচনে ওমর জিততে না পারলেও বিধানসভা নির্বাচনে তিনি দলকে টেনে নিয়ে গেছেন।

তবে জম্মু ও কাশ্মীরে রাজ্যপাল সাতজন বিধায়ককে মনোনীত করবেন। তারা নির্বাচিত বিধায়কের মতো সব সুবিধা পাবেন। তারা ভোটও দিতে পারবেন।

কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর এই প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচন হলো। উপত্যকার ভোটে এই কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্স এই বিষয়টিকে নির্বাচনী প্রচারের অন্যতম বিষয় করেছিল।

জিএইচ/এসজি