কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ ওমরের, মন্ত্রিসভায় নেই কংগ্রেস
কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন ওমর আবদুল্লা। উপ-মুখ্যমন্ত্রী হলেন সুরেন্দ্র চৌধুরী।
ওমরের শপথ
২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয়। জম্মু ও কাশ্মীর পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা হারায়। জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখকে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়। এবার জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে ন্যাশনাল কনফারেন্স ও কংগ্রেস জোট। তাদের সমর্থন করছে পাঁচজন নির্দল ও এক আপ বিধায়ক। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন ওমর আবদুল্লা।
তৃতীয়বারের মুখ্যমন্ত্রী
ওমর আবদুল্লা এর আগে ২০০৯ ও ২০১৪ সালে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। তবে তখন জম্মু ও কাশ্মীর ছিল পূর্ণ রাজ্য। এবার কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হলেন ওমর। সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে তিনি বলেছেন, 'আমি আবার ফিরে এসেছি'। তিনি বলেছেন, ''ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশ করছি। সরকার সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করবে। তাদের বন্ধু হয়ে উঠবে।''
জম্মু থেকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী
জম্মুর নেতা ও বিধায়ক সুরেন্দ্র চৌধুরীকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী করেছেন ওমর। তিনি বলেছেন, ''আমি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে চাই।'' অর্থাৎ, জম্মু যাতে অবহেলিত মনে না করে, সেকথা মাথায় রেখেই ওমর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সঙ্গে আরো পাঁচজনকে মন্ত্রী করা হয়েছে। আরো তিনজনকে মন্ত্রী করতে পারবেন তিনি।
কংগ্রেস যোগ দিলো না
কংগ্রেস জম্মু ও কাশ্মীরে ছয়টি আসনে জিতেছে। ওমর কংগ্রেস থেকে একজন নেতাকে মন্ত্রী করতে চেয়েছিলেন। কংগ্রেস শেষপর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেয়, তারা মন্ত্রিসভার বাইরে থাকবে।
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে রাহুল-প্রিয়াংকা
ওমর আবদুল্লার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ছিলেন রাহুল ও প্রিয়াংকা গান্ধী। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পর রাহুল জানান, জম্মু ও কাশ্মীরকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেয়া হয়নি। তাই তিনি মনে করছেন, একটা অসম্পূর্ণতা আছে। আপাতত কংগ্রেসের কেউ মন্ত্রী হচ্ছেন না। কংগ্রেস পূর্ণ রাজ্যের জন্য লড়াই করবে।
ছিলেন অখিলেশ যাদব
সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁকে ্বিবাদন জানান পারুক আবদুল্লা। ইন্ডিয়া জোটের আরো কয়েকজন নেতাও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে চিলেন।
ওমরের চ্যালেঞ্জ
ওমরের নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে ৫০-এর বেশি বিধায়কের সমর্থন আছে। ফলে সংখ্যার হিসাবে তারা ভালো জায়গায় আছে। তবে তার চ্যালেঞ্জটা অন্য জায়গায়। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ায় এলজি-র হাতে প্রচুর ক্ষমতা থাকবে। ওমরকে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে এলজি-র অনুমোদন নিতে হবে। এরকমভাবে তিনি আগে কাজ করেননি। এখন কীভাবে তিনি কাজ করবেন সেটা দেখার।
পূর্ণ রাজ্যের বিষয়টি
ওমর আবদুল্লাও প্রচারে পূর্ণ রাজ্যের কথা বারবার বলেছিলেন। কিন্তু পুরোটাই কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। তাদের আগে এই প্রস্তাবে সম্মত হতে হবে। তারপর আইন ও সংবিধান মেনে ব্যবস্থা নিতে হবে। তার জন্য সময় লাগবে। প্রশ্ন হলো, জম্মু ও কাশ্মীরকে কি পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে পারবেন ওমর?
দিল্লির উদাহরণ
দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরিওয়াল যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন প্রতি পদে এলজি-র সঙ্গে তার বিরোধ হয়েছে। কেজরিওয়াল বারবার তার অসন্তোষের কথা বলেছেন। কেন্দ্রীয় চক্রান্তের অভিযোগ করেছেন।