কার্বন নির্গমনের হ্রাসের প্রতিশ্রুতি দিল বিভিন্ন দেশ
১ ফেব্রুয়ারি ২০১০কোপেনহেগেন জলবায়ু সম্মেলনের সমঝোতা অনুযায়ী রোববারই ছিল দেশগুলোর জন্য সর্বশেষ দিন৷ এর মধ্যে তাদের জানানোর কথা ছিল যে তারা কতটুকু কার্বন নিগর্মন কমাতে রাজি৷ সেই অনুযায়ী বিভিন্ন দেশ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের প্রতিশ্রুতি জানিয়ে দিয়েছে৷
বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কার্বন নির্গমনকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে তারা আগামী ২০২০ সালের মধ্যে ২০০৫ সালের তুলনায় ১৭ শতাংশ নির্গমন কমাতে রাজি৷ এটা ১৯৯০ সালের তুলনায় ৪ শতাংশ কম৷
চীন জানিয়েছে তারা তাদের অর্থনৈতিক উৎপাদনের বেলায় প্রতি ইউনিটে ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ কার্বন নির্গমন হ্রাস করার উদ্যোগ গ্রহণ করবে৷ উল্লেখ্য, বিশ্বে চীন সবচেয়ে বেশি কার্বন নির্গমন করে থাকে৷
রোববার ভারত জানিয়েছে যে তারা ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কার্বন নির্গমন হ্রাস করবে, তবে এটি কৃষিক্ষেত্রে কার্যকর হবে না৷
দক্ষিণ আফ্রিকা এর আগেই জানিয়েছে যে তারা ৩৪ শতাংশ পর্যন্ত কার্বন নির্গমন কমাবে৷ বিশেষজ্ঞদের মতে সবচেয়ে সাহসী প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ব্রাজিল৷ তারা কেবল প্রতিশ্রুতি নয় বরং নিশ্চয়তা দিয়েছে যে তাদের কার্বন নির্গমন হ্রাসের পরিমাণ হবে শতকরা ৩৬ থেকে ৩৯ ভাগ৷
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সামগ্রিকভাবে ২০ শতাংশ কার্বন নির্গমন কমানোর জন্য৷ অপরদিকে জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে তারা ২০২০ সালের মধ্যে ১৯৯০ সালের তুলনায় ২৫ শতাংশ কার্বন নির্গমন কমাতে রাজি৷ তবে এক্ষেত্রে তাদের শর্ত হল, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রকেও সেই ধরণের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে৷ অপরদিকে কিউবার মত দেশ জাতিসংঘের সমঝোতা চুক্তির বিরোধিতা করে বসেছে৷
দেশগুলোর এসব প্রতিশ্রুতি এবং প্রস্তাব আজ সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করার পরিকল্পনা করেছে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক দপ্তর৷ তবে বিশেষজ্ঞদের মতে বিশ্ব উষ্ণায়ন বৃদ্ধির মাত্রা দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামিয়ে আনার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনা এখনও কম৷ বিশ্বে দ্রুত উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে ব্রাজিল এবং মেক্সিকো ছাড়া অন্যদের কাছ থেকে তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি৷
প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী