1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কান চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা নামলো

২৪ মে ২০১১

২২ শে মে সাড়ম্বরে শেষ হল ৬৪ তম আন্তর্জাতিক কান চলচ্চিত্র উৎসব৷ সব প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে সেরা পুরস্কার ‘গোল্ডেন পাম' জিতে নিল মার্কিন চলচ্চিত্রকার টেরেন্স ম্যালিক'এর ছবি ‘দ্য ট্রি অফ লাইফ'৷

https://p.dw.com/p/11MQf
‘দ্য ট্রি অফ লাইফ' ছবির দৃশ্যছবি: Cannes Filmfestival 2011

কান চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দেয়ার জন্য বিশ্বের নামজাদা চিত্রনির্মাতা ও শিল্পীরা উন্মুখ হয়ে থাকেন৷ এবার হলিউডের পাশাপাশি বলিউডের তারকাদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়া মত৷ এসেছিলেন ঐশ্বর্য রাই, মল্লিকা সারাওয়াত ও আরো অনেকে৷ হাজার হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে মুখর হয়ে উঠেছিল কান চলচ্চিত্র উৎসব৷ এবারের জুরি মণ্ডলীর প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন অ্যামেরিকার খ্যাতনামা চিত্র পরিচালক ও অভিনেতা রবার্ট ডি নিরো৷ এ ছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন পরিচালক অলিভার আসায়াস, মোহাম্মদ সালেহ হারুন, নানসুন সি ও আরো কয়েকজন৷

Terrence Malick
পরিচালক টেরেন্স ম্যালিকছবি: picture alliance/dpa

৩৩টি দেশের ৪৯ ছবি প্রদর্শিত হয়েছে উৎসবে৷ উডি অ্যালেনের লেখা ও পরিচালনায় নির্মিত ছবি ‘মিডনাইট ইন প্যারিস' ছবিটি দিয়ে উদ্বোধন করা হয় উৎসবের৷ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজি ও তাঁর স্ত্রী কার্লা ব্রুনির জীবনকাহিনি নিয়ে তৈরি এই ছবি৷ তবে বরাবরের মত এবারও উদ্বোধনের ছবিটি প্রতিযোগিতার বাইরে থেকেছে৷মূল প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে ১৯টি ছায়াছবি৷

সেরা ছবি ‘দ্য ট্রি অব লাইফ'

কান চলচ্চিত্র উৎসবের সেরা পুরস্কার ‘গোল্ডেন পাম' জিতবে কোন ছবি তা নিয়ে জল্পনা কল্পনার অন্ত ছিলনা৷ অবশেষে মার্কিন পরিচালক টেরেন্স ম্যালিক নির্মিত ছায়াছবি ‘দ্য ট্রি অব লাইফ' জিতে নিল ‘গোল্ডেন পাম' পুরস্কার৷ কিছুটা আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক তত্ত্ব ভিত্তিক পারিবারিক এই ড্রামাটিতে মানুষ ও প্রকৃতির অস্তিত্বকে তুলে ধরা হয়েছে৷ অভিনয় করেছেন হলিউডের নামজাদা তারকা ব্র্যান্ড পিট ও শন পেন৷ ৬০ এর দশকের অ্যামেরিকার এক সাদামাটা পরিবারের সঙ্গে প্রকৃতির উত্থানের যোগসূত্র তুলে ধরেছেন পরিচালক মালিক৷ নিভৃতচারী এই পরিচালক পাদপ্রদীপের আলো এড়িয়ে চলেন৷ তাই সহকর্মী প্রযোজকদের পাঠিয়েছিলেন তিনি কান উৎসবে৷ তাঁরাই তাঁর পক্ষ থেকে কান উৎসবের সেরা পুরস্কারটি গ্রহণ করেন৷

Cannes 2011 Filmstill Tree of Life
‘দ্য ট্রি অফ লাইফ' ছবিতে ব্র্যাড পিটছবি: AP

আরো যারা পুরস্কার পেলেন

সেরা পরিচালকের পুরস্কার জয় করে নেন ডেনিশ চিত্রনির্মাতা নিকোলাস ভিন্ডিং রেফিন তাঁর ‘ড্রাইভ' ছবির জন্য৷ শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পেলেন ফরাসি অভিনেতা জঁ দুজারদঁ৷ ছবির নাম ‘দ্য আর্টিস্ট'৷ নির্বাক যুগের এক অভিনেতার চরিত্রে রূপ দিয়েছেন তিনি৷ সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জয় করলেন হলিউড তারকা কার্সটেন ডান্সট, বিতর্কিত ড্যানিশ চলচ্চিত্রকার লার্স ফন ট্রিয়ের'এর ‘মেলানকলিয়া' ছবিতে অভিনয়ের জন্য৷ এক সাংবাদিক সম্মেলনে নাৎসি একনায়ক হিটলারের প্রতি সহানুভূতিসূচক মন্তব্য করায় তাঁকে উৎসব কর্তৃপক্ষ ‘অবাঞ্ছিত ব্যক্তি বলে ঘোষণা করে৷ ‘গ্র্যান্ড প্রাইজ অব দ্য জুরি' পেলেন তুর্কি পরিচালক নুরি বিলগে সাইলান তাঁর ‘ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন আনাতোলিয়া' আর দুই বেলজিয়ান ভাই - জঁ পিয়ের আর লুক দার্দেন ‘দ্য কিড উইথ এ বাইক' ছবির জন্য৷ তৃতীয় জুরি পুরস্কারটি পেয়েছে ফরাসি ছবি ‘পোলিস'৷ সেরা চিত্রনাট্যের জন্য পুরস্কার পেল ইসরাইলের ছবি ‘ফুটনোট'

এককভাবে কোনো জার্মান ছবি মূল প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়নি৷ নবীন পরিচালকদের জন্য নির্দিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের প্রতিযোগিতায় শীর্ষ পুরস্কার পেলেন জার্মান পরিচালক আন্ড্রেয়াস ড্রেসেন তাঁর ছায়াছবি ‘হাল্ট আউফ ফ্রায়ার স্ট্রেকে' (স্টপড অন ট্রাক) ছবির জন্য৷ ক্যানসার আক্রান্ত এক রোগীর মর্মস্পর্শী কাহিনি নিয়ে তৈরি ছবিটি দর্শকদের মন ছুঁয়ে যায়৷ ড্রেসেন'এর সঙ্গে যৌথভাবে এই পুরস্কার পেলেন কোরিয়ার পরিচালক কিম কি-দুক৷ অন্যদিকে স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবির প্রতিযোগিতায় জার্মান তরুণ চিত্রনির্মাতা ডোরোটেয়া ড্রোউমেভা ১৫০০০ অর্থমূল্যের প্রথম পুরস্কারটি জয় করেন৷

President of the jury Robert De Niro, third from right, arrives with jury members, from left, Mahamat Saleh Haroun, Nansun Shi, Martina Gusman, Linn Ullmann and Jude Law for the closing ceremony at the 64th international film festival, in Cannes, southern France, Sunday, May 22, 2011. (Foto:Joel Ryan/AP/dapd)
এবছরের জুরিমণ্ডলীছবি: dapd

কারাবন্দি দুই ইরানি পরিচালক জাফর পানাহি ও মোহাম্মদ রাসুলফকে বিশেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে কান চলচ্চিত্র উৎসবে৷ রাসুলফের ‘গুড বাই' ও ‘পানাহির দিস ইজ নট এ ফিল্ম' ছবি দুটি দেখানো হয়েছে উৎসবে৷ এই ছবির ডিজিটাল কপি গোপনে একটি কেকের ভেতরে ঢুকিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল ইরান থেকে৷ রাসুলফের ছবিতে তরুণ এক আইনজীবীর কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে, যিনি ইরান থেকে বের হওয়ার জন্য ভিসার অপেক্ষা করছেন৷ পানাহির চলচ্চিত্রে আদালতের রায়ের জন্য নিজের অপেক্ষার কথা বলেছেন৷ ২০০৯ সালে ইরানের বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পানাহি বিরোধীদলীয় নেতাকে সমর্থন দিয়ে ছিলেন৷

উল্লেখ্য, ইটালীয় চিত্র পরিচালক বারনার্দো বার্তোলুচ্চিকে সম্মানসূচক ‘গোল্ডন পাম' পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল উৎসবের শুরুতেই৷

প্রতিবেদক: রায়হানা বেগম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য