কলকাতায় ভাঙা হচ্ছে একের পর এক ঐতিহাসিক সিনেমা হল
সিনেমা হল ভেঙে তৈরি হচ্ছে শপিং মল। শতাব্দীপ্রাচীন প্রেক্ষাগৃহও ভেঙে ফেলা হয়েছে। এনিয়ে বিতর্কও হচ্ছে।
টাইগার সিনেমা
টাইগার সিনেমা হল এখন সিটি মার্টে পরিণত হয়েছে। এই হলটি প্রায় ২৫ বছর ধরে বন্ধ ছিল। সংরক্ষণের জন্য় কেউ এগিয়ে আসেনি।
নিউ এমপায়ার
নিউ এমপায়ার সিনেমা হল। ১৯৩২ সালে তৈরি হয়োছিল এই প্রেক্ষাগৃহ। আন্তর্জাতিক মানের এই সিনেমা হলে বহু বিখ্য়াত ছবির প্রিমিয়ার হয়েছে। প্রেক্ষাগৃহের পাশাপাশি এর ভিতর আন্তর্জাতিক মানের রেস্তোরাঁও আছে।
এলিট সিনেমা
শুধু নামে নয়, মানেও এক সময় এলিট ছিল এই সিনেমা হল। বেশ কিছু বছর বন্ধ করে রাখা হয় এই হলটি। সম্প্রতি তা ভাঙা শুরু হয়েছে। এক জুতো ব্যবসায়ী জায়গাটি কিনেছেন।
রক্সি সিনেমা
রক্সি সিনেমা এবং রক্সি বার কলকাতার ইতিহাস। ধর্মতলার বুকে এই সিনেমা হল দীর্ঘদিন ধরে দর্শকের মনোরঞ্জন করেছে। কিছুদিন আগে হলটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন সেখানে আধার পরিষেবা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সিনেমায় নেমেছে আঁধার।
মেট্রো সিনেমা
মেট্রো সিনেমার স্থাপত্য়শৈলী নিয়ে আজও অনেকে কথা বলেন। সেই সিনেমা হল ভেঙে নতুন করে মাল্টিপ্লেক্স বানানো হয়েছে। তৈরি হয়েছে মেট্রো শপিং কমপ্লেক্স।
প্য়ারাডাইস সিনেমা
কলকাতার পুরনো সাহিত্য়ে এখনো প্য়ারাডাইস সিনেমার নাম পাওয়া যায়। প্রায় চার বছর ধরে বন্ধ এই হল। সম্প্রতি তা ভেঙে তৈরি হয়েছে একটি শপিং মল।
মুনলাইট
সেন্ট্রাল এর মুনলাইট সিনেমা হল এখনো চলছে। বলা ভালো ধুঁকছে। বহুদিন ধরে এর কোনো সংস্কার হয়নি। হল কখনো খোলা থাকে, কখনো বন্ধ।
ছায়া সিনেমা
মানিকতলার ছায়া সিনেমা একসময় রমরম করে চলতো। এই হলেরও কোনো সংস্কার হয়নি। এখন বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকে। খুললে সি গ্রেড ছবি দেখানো হয়।
দর্পণা সিনেমা
হাতিবাগানের দর্পণা সিনেমা হল বহু বছর বন্ধ। বন্ধ হলের সামনে হকারদের ভিড়। এই হলও সংস্কার করা হয়নি বহু বছর।
মিনার-বিজলী-ছবিঘর
এই তিনটি হলের নাম একসময় একসঙ্গে উচ্চারিত হতো। হাতিবাগানের মিনার এখনো কোনোমতে চলছে। কিন্তু আগের মতো দর্শক আসছে না।
টকি শো হাউস
ফরিয়াপুকুরের টকি শো হাউস ছিল ইংরেজি সিনেমা দেখার অন্য়তম জায়গা। ১৯৩০ সালের এই হল ভেঙে দোকান বানানো হয়েছে।
মিত্রা সিনেমা হল
হাতিবাগানের মিত্রা সিনেমা হল পুরনো টিকে থাকা হলগুলির একটি ছিল। ২০১৯ সালে আচমকাই তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন সেখানেও তৈরি হয়েছে শপিং মল।