সোমবার ভোর হওয়ার আগে সাংহাইয়ের অনেক বাসিন্দাকে করোনা টেস্টের জন্যলাইনে দাঁড়াতে দেখা গেছে৷ অনেকে ঘুমের পোশাকেও হাজির হয়েছিলেন৷
সামরিক বাহিনীর একটি পত্রিকা জানিয়েছে, পিপলস লিবারেশন আর্মি পিএলএ রোববার চিকিৎসক দলের দুই হাজারের বেশি সদস্যকে সাংহাই পাঠিয়েছে৷ এছাড়া জিয়াংশু, ঝেজিয়াং ও বেইজিং থেকে প্রায় ১০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে সাংহাই পাঠানো হয়েছে বলে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে৷
উহানে করোনার প্রকোপ শুরুর পর সেখানকার রাজধানী হুবেইতে সামরিক বাহিনীর চিকিৎসক দলের প্রায় চার হাজার সদস্য পাঠিয়েছিল পিএলএ৷
গত ২৮ মার্চ থেকে সাংহাইতে দুই ধাপের লকডাউন চলছে৷
৩ এপ্রিল রোববার সাংহাইতে আট হাজার ৫৮১ জনের মধ্যে উপসর্গহীন করোনা ও ৪২৫ জনের মধ্যে উপসর্গসহ করোনাধরা পড়েছে৷
বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতির তুলনার সাংহাইতে করোনার সংক্রমণ অনেক কম হলে কর্তৃপক্ষ করোনা নির্মূলে এমন কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে৷
করোনা টেস্ট ছাড়াও কয়েকটি হাসপাতাব, জিমনেসিয়াম, অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক ও অন্যান্য ভেন্যুকে কোয়ারান্টিনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে৷
করোনা সংক্রমিত শিশুদের তাদের মা-বাবার কাছ থেকে পৃথক রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে৷ এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে ৩০টির বেশি দেশের কূটনীতিকরা চীনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন৷
এছাড়া উপসর্গ নেই কিংবা অল্প আছে এমন ব্যক্তিদের বাসায় আইসোলেশনে থাকতে না দিয়ে কেন্দ্রীয় আইসোলেশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷
জেডএইচ/কেএম (রয়টার্স)
-
দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় করোনা মহামারিতে চীন
ওমিক্রনের প্রভাব
বিশ্বে চীনে প্রথম করোনার প্রকোপ শুরু হলেও লকডাউন, গণহারে করোনা পরীক্ষা, কঠোর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ইত্যাদি ব্যবস্থা নেয়ার মাধ্যমে করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছিল৷ কিন্তু সম্প্রতি দেশটিতে করোনার ওমিক্রন সংস্করণের প্রভাব দেখা যাচ্ছে৷ ফলে গত দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় করোনা মহামারিতে পড়েছে চীন৷
-
দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় করোনা মহামারিতে চীন
প্রথম মৃত্যু
এক বছরেরও বেশি সময় পর গত শনিবার চীনে করোনায় দুজনের মৃত্যু হয় বলে জানানো হয়েছে৷ ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি থেকে এ বছরের ১৮ মার্চ পর্যন্ত আট লাখ ১৮ হাজার ৬১২ জন করোনায় আক্রান্ত হন বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে জানিয়েছে চীন৷ এই সময়ে ১০ হাজার ৬২৫ জন মারা যান৷
-
দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় করোনা মহামারিতে চীন
সংক্রমণ কম হলেও কঠোর সিদ্ধান্ত
রোববার চীনে চার হাজারের বেশি মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হন৷ বৈশ্বিক বিবেচনা ও চীনের ১৪০ কোটির বেশি জনসংখ্যা বিচার করলে এই সংখ্যাটি খুবই কম৷ তারপরও করোনার প্রসার ঠেকাতে কঠোর সব সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন৷ ফলে বিভিন্ন শহরের লাখো মানুষ এখন লকডাউনের মধ্যে আছেন৷
-
দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় করোনা মহামারিতে চীন
লকডাউনে জিলিন
রোববার চীনের নতুন সংক্রমিতের দুই-তৃতীয়াংশের বাস জিলিন রাজ্যে৷ এই রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর জিলিনের প্রায় ৪৫ লাখ মানুষ সোমবার রাত থেকে তিনদিনের জন্য লকডাউনে থাকবেন৷ জিলিন রাজ্যটি রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার কাছে অবস্থিত৷ উপরের ছবিটি প্রতীকী৷
-
দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় করোনা মহামারিতে চীন
দুইদিনে একবার বের হওয়ার অনুমতি
জিলিন রাজ্যের রাজধানী চ্যাংচুনে ৯০ লাখ মানুষের বাস৷ ১১ মার্চ থেকে সেই শহরের বাসিন্দারা খাবার কিনতে প্রতি দুই দিনে একবার ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন৷ এই নিষেধাজ্ঞা তিন দিনের জন্য আরও কঠোর করা হবে বলে শনিবার শহর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে৷ ১৫ মার্চের ছবিতে চ্যাংচুনের বাসিন্দাদের করোনী পরীক্ষার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে৷
-
দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় করোনা মহামারিতে চীন
শেনজেনে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে
চীনের কয়েকটি বড় প্রযুক্তি কোম্পানি শেনজেনে অবস্থিত৷ সেখানে প্রায় পৌনে দুই কোটি মানুষ বাস করেন৷ সপ্তাহখানেক আগে সেখানে লকডাউন (ছবি) দেয়া হয়েছিল৷ সোমবার থেকে বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল হয়েছে৷ গণপরিবহন চলতে দেয়া হচ্ছে৷ কিছু প্রশাসনিক ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু হয়েছে৷
-
দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় করোনা মহামারিতে চীন
সাংহাইয়ে কঠোর ব্যবস্থা
চীনের বাণিজ্যিক কেন্দ্র সাংহাইতে টানা চতুর্থ দিনের মতো উপসর্গহীন করোনার সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে৷ রোববার সেখানে ২৪ জনের মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা গেছে৷ আর উপসর্গ নেই এমন সংক্রমণ দেখা গেছে ৭৩৪ জনের মধ্যে৷ এই অবস্খায় সেখানে স্কুল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ আবাসিক এলাকায় করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে৷
-
দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় করোনা মহামারিতে চীন
সর্বোচ্চ দুই সপ্তাহের লকডাউন
সাংহাইয়ের বিভিন্ন আবাসিক এলাকাগুলো করোনার প্রসার রুখতে নিজেরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে৷ কিছু এলাকায় মানুষজনকে দুই সপ্তাহ লকডাউনে থাকতে বলা হয়েছে৷ আর কিছু এলাকার মানুষ বলছে, কতদিন তাদের ঘরে থাকতে হবে সেটা জানানো হয়নি৷ ছবিটি প্রতীকী৷