1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমলো চীনে

১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

করোনায় আরও ৯৮ জন মারা গেলেন৷ নতুন করে আক্রান্ত হলেন ১৮৬৮ জন৷ অবশ্য চীনের দাবি, নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা কমছে৷

https://p.dw.com/p/3Xuzb
ছবি: DW/S. Satanowskiy

করোনায় কিছুটা লাগাম টানা কি সম্ভব হয়েছে? অন্তত চীন দাবি করছে, হয়েছে৷ কারণ, দৈনিক মৃতের সংখ্যা একশর থেকে কম হয়েছে। নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যাও কমেছে। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮৬৮ জন। মারা গিযেছেন ৯৮ জন৷ জানুয়ারি থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত এক দিনে নতুন সংক্রমণের ক্ষেত্রে এটাই সবচেয়ে কম সংখ্যা বলে দাবি করেছে চীন৷ তবে এখনও মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ট বেশি৷

উহানে উচাং হাসপাতালের প্রধান লিউ ঝিমিং করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন৷ উহানের এই হাসপাতালেই প্রচুর করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসা হয়েছে এবং হচ্ছে। বেজিংয়ের সংবাদমাধ্যম কেইক্সিনয়ের একটি খবর এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।  তাদের রিপোর্ট বলছে, চীনে অন্তত ৩০০০ স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত৷ সরকারি হিসাবে বলা হচ্ছে, ১৭১৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন৷ ফলে উহানে এখন চিকিৎসক ও নার্সের সঙ্কট দেখা দিয়েছে৷

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনের মেডিকেল তথ্য বিচার করে জানিয়েছে, করোনায় আক্রান্ত ৮০ ভাগের ক্ষেত্রে সামান্য উপসর্গ দেখা দিয়েছে এবং তারা সুস্থ হয়ে উঠছেন৷ ১৪ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিচ্ছে এবং তারা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন৷ ৫ শতাংশের অবস্থা সঙ্কটজনক এবং আক্রান্তের মধ্যে ২ শতাংশ মারা যাচ্ছেন৷

অন্যদিকে জাপান উপকূলে দাঁড়িয়ে থাকা প্রমোদতরি ডায়মন্ড প্রিন্সেস-এর আরও পাঁচ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে৷ তাঁরা সকলেই ফিলিপাইন্সের নাগরিক৷ জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরের কাছে রাখা এই প্রমোদতরির কর্মী ও যাত্রী মিলিয়ে ৩৫ জন ফিলিপাইন্সের লোক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন৷ সব মিলিয়ে ডায়মন্ড প্রিন্সেস-এর ৪৩৫ জন যাত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন৷ সোমবার অ্যামেরিকা ওই প্রমোদতরি থেকে কয়েকশ যাত্রীকে উড়িযে নিয়ে চলে গিয়েছে৷ ডায়মন্ড প্রিন্সেসে থাকা বেশ কিছু অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকও অধৈর্য হয়ে পড়েছেন৷ তাদের অস্ট্রেলিয়া নিয়ে আসার জন্য বিমান পাঠানো হয়েছে। যুক্তরাজ্য ও কানাডাও একইরকমভাবে তাঁদের দেশের নাগরিকদের দেশে ফেরাচ্ছে৷

প্রবল চেষ্টা সত্ত্বেও করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করার জন্য কোনও ওষুধ এখনও তৈরি হয়নি।  তবে পরীক্ষা চলছে। এর মধ্যে জাপান জানিয়েছে, তারা এইচআইভির মোকাবিলায় ব্যবহার করা একটি ওষুধ দিয়ে করোনা থামানো যায় কি না, তার পরীক্ষা করে দেখবে৷ চীনের চিকিৎসকরা আবার প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমে করোনা আটকাতে চাইছেন৷ তাঁদের দাবি, খুব ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে৷ 

চীনে মাস্ক পেতে অসুবিধা হচ্ছিল৷ ছয় দিনের মধ্যে তারা মাস্ক বানাবার কারখানা তৈরি করছে৷ শনিবার এই কারখানা তৈরির কাজ শেষ হবে। তারপর তারা প্রতিদিন আড়াই লক্ষ মাস্ক তৈরি করবে৷

জিএইচ/এসজি (রয়টার্স, এপি, এএফপি, আল জাজিরা)