1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনাকালে কোটি কোটি ক্ষুধার্তের জন্য করণীয়

২১ জানুয়ারি ২০২১

করোনাকালে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই চলছে অর্থনৈতিক সংকট৷ স্বল্প আয়ের দেশগুলোতে খাদ্যনিরাপত্তাও পড়েছে সংকটে৷ বাড়ছে ক্ষুধার্তের সংখ্যা৷

https://p.dw.com/p/3oEBV
Indien Neu Delhi | Coronavirus | Essensversorgung
ছবি: DW/S. Chabba

রেকর্ড বলছে, ২০২০ সাল আগের সব বছরের তুলনায় অনেক বেশি উষ্ণ ছিল৷ তবে বছরের সবচেয়ে বড় সংকট নিঃসন্দেহে করোনার প্রকোপ৷এ সময়ে বিশ্বের অনেক দেশেই খাদ্যনিরাপত্তা আরো সংকটে পড়েছে৷ বেড়েছে অপুষ্টিজনিত রোগ৷

খাদ্যসংকট ২০২০ সালের আগেও ছিল৷ ২০১৯ সালে বিশ্বে কমপক্ষে ৬৯ কোটি মানুষ ক্ষুধার জ্বালা সয়েছে৷ জাতিসংঘের ধারণা, ২০২০ সালে ক্ষুধায় কষ্ট পাওয়া মানুষের সংখ্যা ৮২ কোটি ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা৷

২০২০ সালে প্রতি দশজনে একজন মানুষ অন্তত পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাদ্য পায়নি৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং সাব সাহারান আফ্রিকার যেসব অঞ্চলে পানির সংকট রয়েছে, কিংবা যেসব জায়গায় আঞ্চলিক সংঘাত চলছে, সেসব জায়গার মানুষ খাদ্যসংকটে বেশি ভুগেছে৷

সম্প্রতি গ্লোবাল ফোরাম ফর ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার (জিএফএফএ)-র এক সভায় করোনাকালে বিশ্বব্যাপী খাদ্যনিরাপত্তার সংকটের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়৷ ‘অতিমারি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের এ সময়ে সারা বিশ্বের মানুষের মুখে খাবার তুলে দেয়ার উপায়' শীর্ষক এ আয়োজনে বক্তারা খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গৃহপালিত পশু খামারের বিস্তারের গুরুত্বের ওপর জোর দেন৷

ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চের ডেপুটি ডিরেক্টর ক্লাউডিয়া রিংলার বলেন, উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে যেমন মাংস বেশি খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে তার ঠিক বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে স্বল্প আয়ের দেশগুলোতে৷সেখানে অনেকেই সামান্য মাংসও খেতে পায় না৷সেসব অঞ্চলে অপুষ্টিজনিত রোগ এবং সেরকম রোগে শিশুমৃত্যুর হার খুব বেশি৷

‘প্যানডেমিক প্রিভেনশন, ওয়ান হেল্থ, অ্যানিমেল হেল্থ, বায়োডাইভার্সিটি'র উপ-প্রধান বিয়র্ন নিয়েরে মনে করেন, একযোগে মানুষ, প্রাণিকুল এবং পরিবেশের ‘সুস্বাস্থ্য' নিশ্চিত করতে হলে, অর্থাৎ ‘‘সার্বিকভাবে ওয়ান হেল্থ অ্যাপ্রোচ নিয়ে কাজ করতে চাইলে গৃহপালিত পশু যে কৃষির গুরুত্বপূর্ণ অংশ তা ভুলে গেলে চলবে না৷'' তাই গৃহপালিত পশুসহ টেকসই খামারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি৷

করোনাকালেযখন বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই অর্থনৈতিক সংকটে, তখনও চলছে খাদ্যের ব্যাপক অপচয়৷ এই বিষয়টিও উঠে আসে বক্তাদের আলোচনায়৷

আফ্রিকান রিসার্চ ইউনিভার্সিটিজ অ্যালায়েন্স সেন্টার অব এক্সেলেন্স ইন সাসটেইনেবল ফুড সিস্টেম (এআরইউএ)-র লিন্ডি মাজেলে সিবান্দা জানান, বিশ্বে প্রতি বছর যে পরিমাণ খাদ্যের অপচয় হয়, তার প্রায় ৬০ ভাগই হয় খামার থেকে বাজারে পৌঁছানোর আগে৷এমন অপচয় রোধের জন্য বিশ্বের প্রধান ২০টি খাদ্যপণ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে উৎপাদকের সঙ্গে মিলে কাজ করার জন্য তারা চাপ দিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি৷

স্টুয়ার্ট ব্রাউন/এসিবি