আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উপলক্ষে ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর৷ শুধু মোদীই নন, ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীরও সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু রবিবার রাতে বাংলাদেশ জানিয়ে দেয়, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে আপাতত কর্মসূচি ছোট আকারে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ ফলে বিদেশি অতিথিদেরও আপাতত ডাকা হচ্ছে না৷ বস্তুত, রবিবারেই বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে৷ ভারতে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৪২৷
এর আগে করোনার কারণে বাতিল হয়েছিল ইইউ-ইন্ডিয়া সম্মেলন৷ আগামী ১৩ মার্চ সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য ব্রাসেলস যাওয়ার কথা ছিল নরেন্দ্র মোদীর৷ কিন্তু শেষ মুহূর্তে দুই তরফই করোনার কারণে সম্মেলন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়৷ তবে ইইউ-ইন্ডিয়া সম্মেলন বাতিল আর বাংলাদেশ সফর বাতিল কি একই মোড়কে রাখা যায়? শুধু ভারত বা বাংলাদেশ নয়, গোটা উপমহাদেশেই এই প্রশ্ন উঠেছে৷ অনেকেই এর পিছনে রাজনৈতিক যুক্তি খুঁজছেন৷ তাঁদের বক্তব্য, করোনাকে এ ক্ষেত্রে কূটনৈতিক অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা হল৷
গত ডিসেম্বর মাসে ভারতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ করেছে বিজেপি সরকার৷ যার অব্যবহিত পর থেকেই দেশ জুড়ে প্রবল আন্দোলন এবং বিক্ষোভ শুরু হয়েছে৷ বলা হচ্ছে, এই আইন মুসলিম বিরোধী এবং দেশের সংবিধানের পরিপন্থী৷ এরই মধ্যে গত সপ্তাহে ঘটে গিয়েছে ভয়াবহ দিল্লি দাঙ্গা৷ নিহত হয়েছেন ৪৭ জন৷ এখনও নিখোঁজ অনেকে৷ এই দাঙ্গার জন্যেও হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিকে দায়ী করছেন দেশ এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চের একটি বড় অংশ৷ এরই মধ্যে মুজিববর্ষ পালনের অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছি্ল নরেন্দ্র মোদীর৷ যার জেরে গোটা বাংলাদেশে শুরু হয়ে যায় মোদী-বিরোধী আন্দোলন৷ ঢাকায় তো বটেই, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও মিছিল বার করে বিক্ষোভকারীরা৷ বাংলাদেশের শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যেও মোদীকে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে আপত্তি স্পষ্ট হয়৷ মনে রাখা দরকার, এই আন্দোলন ভারতবিরোধী নয়, সোনিয়া গান্ধী কিংবা প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কেউ কোনও আপত্তি জানাননি৷ আপত্তি উঠেছে কেবল মোদীর বিরুদ্ধে৷
কিন্তু কূটনৈতিক ভাবে ভারত-বাংলাদেশের যে সম্পর্ক, তাতে আমন্ত্রণ জানানোর পর মোদীর নিমন্ত্রণ ফেরত নেওয়া কার্যত সম্ভব ছিল না শেখ হাসিনার সরকারের পক্ষে৷ দুই দিন আগেও হাসিনার সরকার স্পষ্ট জানিয়েছিল, ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং তা ফেরানোর প্রশ্নই ওঠে না৷ কিন্তু ভারত এবং বাংলাদেশ, দুই পক্ষই বুঝতে পারছিল, এমন পরিস্থিতিতে মোদীর সে দেশে যাওয়া খুব আনন্দের হবে না৷ বিক্ষোভের আঁচ তাঁর উপরে পড়বেই৷
এমন এক পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাসকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হল বলেই মনে করছে ভারতের রাজনৈতিক মহলের একাংশ৷ কারণ, ইউরোপ বা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় করোনা যে ভাবে ছড়িয়েছে, ভারত কিংবা বাংলাদেশে তার প্রভাব মোটেই এখনও সে ভাবে পড়েনি৷ শুধু এই কারণেই এত বড় অনুষ্ঠান বাতিল হয়ে যাওয়া অনেককেই অবাক করেছে৷ সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য তথা প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সেলিম ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘‘সিএএ, এনআরসি এবং দিল্লি দাঙ্গার কারণে কূটনৈতিক মহলে ভারত এখন এমনিই আইসোলেশনে চলে গিয়েছে৷ বিশ্ব জুড়ে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ধ্বনিত হচ্ছে৷ এমন অবস্থায় করোনাকে অজুহাত হিসেবে সামনে এনে সেই আইসোলেশনকে মান্যতা দেওয়া হল৷’’
-
বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িকতা ও একজন মোদী
জাতির জনকের অসাম্প্রদায়িক বাঙালি চেতনা
অনেকেই বলেন, মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবার থেকে এলেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বাঙালির সাংস্কৃতিক পরিচিতিকে (ভাষা ও ঐতিহ্য) বড় করে দেখেছেন৷ ‘বাঙালি’ শব্দটিই ছিল জাতীয়তাবাদের একটি অসাম্প্রদায়িক পরিচয়৷ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি তারিক আলী বলেন, ‘‘বঙ্গবন্ধুর যে বিষয়টি আমাকে অনুপ্রাণিত করে তা হলো, কেমন করে মুসলিম লীগের ছাত্রনেতা থেকে তিনি বাঙালির মুক্তি আন্দোলনের নেতা বনে গেলেন৷’’
-
বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িকতা ও একজন মোদী
ধর্মকে বাদ দিয়ে নয়
ভারতের সাংবাদিক পিকে বালাচন্দ্রন তাঁর একটি লেখায় লিখেছেন, ‘‘মুজিবের অসাম্প্রদায়িক চেতনা কিন্তু ধর্মকে বাদ দিয়ে নয়৷ তাঁর কাছে অসাম্প্রদায়িকতা ছিল সব ধর্মের মানুষের মাঝে একতা৷’’ তিনি আরো লিখেছেন, একইভাবে মহাত্মা গান্ধীও ভাবতেন৷ গান্ধী হিন্দু ধর্ম পালন করলেও সব ধর্মের মানুষের নেতা ছিলেন৷
-
বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িকতা ও একজন মোদী
ভিন্নতায় মিল
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক বলেছেন, ‘‘তিনি (বঙ্গবন্ধু) ভিন্নতার মাঝে মিল তৈরি করেছেন এবং জাতীয়তাবাদ ও ধর্মকে এক করেছেন৷’’
-
বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িকতা ও একজন মোদী
অসাম্প্রদায়িক জয় বাংলা শ্লোগান
সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, ‘‘অনেকে বঙ্গবন্ধুকে ‘বুর্জোয়া নেতা’ বলতে চাইলেও তিনি কিন্তু এলিট শ্রেণির বিরুদ্ধে ও শোষিতের পক্ষে যুদ্ধ করেছেন৷ শুধু তাই নয়, তিনি ধর্মীয় রাজনীতিকে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে পরিণত করেছেন এবং অসাম্প্রদায়িক শ্লোগান ‘জয় বাংলা’ তৈরি করেছেন, যা আমাদের মুক্ত দেশের প্রথম দিককার শব্দ৷’’
-
বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িকতা ও একজন মোদী
নরেন্দ্র মোদীর ‘সাম্প্রদায়িকতা’
২০০২ সালে গুজরাটে সাম্প্রদায়িক সংঘাত বাঁধে৷ সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর হিন্দু উগ্রবাদীদের হামলায় শত শত মুসলিম নিহত হন৷ অনেক হিন্দুও তাতে মারা যান৷ অভিযোগ আছে, রাজ্য সরকারের মদদে এই হামলা চালানো হয়৷ তখন বিজেপি ক্ষমতায় এবং নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী৷ তখন থেকেই মোদী সাম্প্রদায়িক নেতা হিসেবে একেবারে খোলাখুলি অভিযুক্ত হন৷
-
বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িকতা ও একজন মোদী
‘ফ্যাসিস্ট’
ঘটনা চলাকালীন বিখ্যাত লেখক অরুন্ধতী রায় বলেন, ‘‘এটা মানতেই হবে, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রের মদতে পুষ্ট জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেওয়া জনতাই প্রথম হামলা চালিয়েছিল৷ পুলিশ নিষ্ক্রিয় থেকেছে বা অনেক ক্ষেত্রে অগ্নিসংযোগে সাহায্য করেছে৷ মারধর করেছে রাস্তায় পড়ে থাকা যুবকদের৷ আমরা জানি সেই যুবকদের মধ্যে একজন মারা গেছেন৷ হিংসায় নিহত বা ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু-মুসলিম সবাই ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারের শিকার৷’’
-
বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িকতা ও একজন মোদী
দ্বিচারিতা?
ভারতীয় গীতিকার জাভেদ আখতার বার বার মোদীর সমালোচনা করেছেন সিএএ-এনআরসি নিয়ে৷ তিনি বলেছেন, ‘‘বিজেপি বলছে তাঁরা প্রতিবেশী দেশের খ্রিস্টানদের নাগরিক করবে৷ আর বেঙ্গালুরুতেই যিশুর মূর্তি গড়তে বাধা দিচ্ছে তাঁরা৷ অসাধারণ! গোটা বিষয়টাই অর্থহীন৷’’
-
বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িকতা ও একজন মোদী
‘বরং হিংসা ছাড়ুন’: রাহুল
গেল রোববার নরেন্দ্র মোদী টুইট করে জানিয়েছেন, তিনি ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউব থেকে বেরিয়ে যাবার চিন্তা করছেন৷ এর জবাবে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, ‘‘আপনি সামাজিক গণমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট নয়, বরং হিংসা ছাড়ুন৷’’
সেলিমের মতো ততটা স্পষ্ট ভাবে না বললেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক এবং ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ অনিন্দ্যজ্যোতি মজুমদারের বক্তব্য, ‘‘কূটনীতিতে দুইয়ের সঙ্গে দুই যোগ করলে সব সময় চার হয় না৷ বহু সময়েই নানা অজুহাত সামনে এনে মূল বিষয়টিকে ধামা চাপা দেওয়া হয়৷ এ ক্ষেত্রেও সে প্রশ্ন উঠছে সঙ্গত ভাবেই৷ তবে কোনও দেশই তা স্বীকার করবে না৷ ফলে করোনা অজুহাতই, এ কথাও নিশ্চিত করে বলা যায় না৷’’
আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু না বললেও, ভারতের বিদেশমন্ত্রকের সূত্র বলছে, করোনার কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশ তাদের অনুষ্ঠান বাতিল করেছে৷ ফলে প্রধানমন্ত্রীরও আপাতত সেখানে যাওয়ার প্রশ্ন উঠছে না৷ কিন্তু ভারত এই সফর বাতিল করেনি৷ ফলে করোনাকে ভারত অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়েছে, এই প্রশ্নটিই অবান্তর৷ বস্তুত, বৃহস্পতিবারই ভারতের বিদেশ মন্ত্রক আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়ে দিয়েছিল মোদী বাংলাদেশ সফরে যাবেন৷
আলোচনায় উঠে আসছে আরও একটি যুক্তি৷ কূটনীতিবিদদের একাংশ বলছে, বাংলাদেশ সরকার বুঝতে পারছিল, এই সময়ে মোদীকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত হবে না৷ ফলে করোনাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে দেশের ভিতর তৈরি হওয়া বিক্ষোভকে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ৷ ভারত সরকারের প্রাক্তন উচ্চপদস্থ আধিকারিক অমিতাভ রায় ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ‘‘আজ সকালেই বাংলাদেশ থেকে একজন ফোন করেছিলেন৷ তিনি বললেন, আমরা বেঁচে গেলাম। পুরো বিষয়টি নিয়ে যে ধরনের বিতর্ক হচ্ছিল, তাতে আশঙ্কা বাড়ছিল৷ এ ক্ষেত্রে করোনা সকলকেই বাঁচিয়ে দিল৷’’
দীর্ঘদিন ধরে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভারতীয় ছাত্রের বক্তব্য, শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্বেই এখন সফর করতে ভয় পাচ্ছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী৷ ইইউ পার্লামেন্ট থেকে শুরু করে যুক্তরাজ্য, বাংলাদেশ থেকে অ্যামেরিকা সর্বত্র মোদী-শাহের বিভিন্ন পদক্ষেপ সমালোচনার মুখে পড়ছে৷ দিল্লি দাঙ্গার পরে তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে৷ মোদী বুঝতে পারছেন, সর্বত্রই এখন তাঁকে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে৷ যতই বিষয়গুলিকে তিনি অভ্যন্তরীণ বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন৷ করোনা সত্যি সত্যিই ভারতকে অপ্রীতিকর প্রশ্নের হাত থেকে বাঁচিয়ে দিচ্ছে৷
দেখুন গত জানুয়ারির ছবিঘর...
-
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর যত আয়োজন
বঙ্গবন্ধু বিপিএল
চলতি মৌসুমের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নাম দেয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু বিপিএল৷ আট ডিসেম্বর এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ মূল আকর্ষণ ছিল বলিউড সুপারস্টার সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফের পারফরম্যান্স৷
-
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর যত আয়োজন
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ১২ জানুয়ারি ঢাকার হাতিরঝিলের এমফিথিয়েটারে বর্ণিল সাংস্কৃতিক আয়োজন করে অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ৷ বছরব্যাপী সাংস্কৃতিক আয়োজনে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, প্রামাণ্যচিত্র, আন্তর্জাতিক প্রকাশনা, বাংলা ও ইংরেজিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জন্মশতবার্ষিকী স্মারকগ্রন্থ প্রকাশের পরিকল্পনা৷
-
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর যত আয়োজন
ক্ষণগণনা
আগামী ১৭ মার্চ থেকে শুরু হবে ‘মুজিববর্ষ’-এর বছরব্যাপী কর্মসূচি৷ যার ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে গত ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে৷ তেজগাঁওয়ে পুরাতন বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ‘প্রতীকীভাবে’ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে৷অনুষ্ঠানে মুজিববর্ষের লোগো উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷
-
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর যত আয়োজন
সংসদে বিশেষ অধিবেশন
মুজিববর্ষ উপলক্ষে সংসদে বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে৷ ২২ মার্চ অধিবেশন শুরুর আগে সব সংসদ সদস্য ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিশেষ অধিবেশনে যোগ দেবেন৷
-
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর যত আয়োজন
জাতীয় দিবস
গণহত্যা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, মুজিবনগর দিবস, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা, জাতীয় শোক দিবস, বুদ্ধিজীবী দিবস, বিজয় দিবসসহ এই বছরের সব জাতীয় আয়োজনে বঙ্গবন্ধুকে বিশেষভাবে স্মরণ করা হবে৷
-
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর যত আয়োজন
আসবেন ম্যারাডোনা
বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকায় আসবেন ফুটবলের জীবন্ত কিংবদন্তী ম্যারাডোনা৷ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন৷ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় দুটি ইউরোপীয় ক্লাবের মধ্যে প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে বলেও জানা গেছে৷
-
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর যত আয়োজন
ক্রীড়া আসর
বছরব্যাপী বিভিন্ন ক্রীড়া ইভেন্টের আয়োজন করবে ফেডারেশনগুলো৷ এর মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ ফুটবল-২০২০, দুটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচ, আন্তর্জাতিক হকি টুর্নামেন্ট, সাফ অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ, বিশ্ব কাবাডি প্রতিযোগিতা, আন্তর্জাতিক ভলিবল প্রতিযোগিতা, আন্তর্জাতিক রোলবল গোল্ডকাপ, আন্তর্জাতিক হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতা, ইন্টারন্যাশনাল এয়ারগান চ্যাম্পিয়নশিপ৷
-
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর যত আয়োজন
বইমেলা
অমর একুশে বইমেলা ২০২১ ও নভেম্বরে ঢাকা আন্তর্জাতিক বইমেলা ২০২০ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে উৎসর্গ করা হবে৷
-
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর যত আয়োজন
বঙ্গবন্ধু মান মন্দির
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় স্থাপন করা হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মান মন্দির৷ কেননা, কর্কটক্রান্তি ও দ্রাঘিমাংশের সংযোগস্থলের বিচারে এই স্থানটি ভৌগলিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ৷ (প্রতীকী ছবি)
-
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর যত আয়োজন
গিনেস রেকর্ড
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার দেয়া হবে৷ লাখলাখ হাতে মানব প্রতিকৃতি তৈরির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের প্রতিকৃতি তৈরি করে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত করার কর্মসূচিও রয়েছে৷
-
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর যত আয়োজন
বৃক্ষ রোপন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্মরণে সারা দেশে এক কোটি বৃক্ষরোপণ করবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়৷
-
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর যত আয়োজন
১৭ মার্চ ২০২১
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মুজিববর্ষের সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে৷
-
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর যত আয়োজন
আন্তর্জাতিক পরিসরে
বঙ্গবন্ধুকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷ বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের ৭৭টি দূতাবাসে ২৬০টিরও বেশি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয়েছে৷