আপনার জন্য সেবার মান আরও উন্নত করতে আমরা কুকি ব্যবহার করি৷ এ সম্পর্কিত আরও তথ্য পাওয়া যাবে আমাদের গোপনীয়তা নীতিতে৷
কবিরাজি ফুঁ নিয়ে ডয়চে ভেলের বিশেষ আয়োজন৷
দেখুন, পড়ুন এবং জানান আপনার মতামত৷
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের এই যুগেও মানুষ কেন কবিরাজের পেছনে ছোটেন; এই চিকিৎসায় আদৌ সুস্থ্য হওয়া যায় কিনা- সেসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া৷
দুবছর আগের কথা৷ আমি তখন হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র৷ ইসলামিক চিকিৎসাব্যবস্থা নামে একটি কোর্সে অংশ নিলাম৷ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ১০ জন ছাত্র এ কোর্সটি করব বলে শিক্ষককে জানাই৷
মানসিক সমস্যায় ভুগলেও প্রাপ্তবয়স্কদের ৯৪ ভাগই কোন চিকিৎসা নেয় না৷ এদের একটি অংশ আশ্রয় নেয় ঝাড়ফুঁকের৷ মনোবিদ ডা. মোহিত কামাল মনে করেন মানসিক বা শারীরিক কোন রোগই ফুঁ দিয়ে ভাল হতে পারে না৷
আলতা বানুর ছেলেটা মাত্র দুই মাস৷ এই মুহূর্তে আবির, মানে আলতা বানুর ছেলেটা মাথা নিচে আর পা দুটি আকাশের দিকে দিয়ে মজাফফর ফকিরের হাতে ধরা অবস্থায় ঝুলছে৷
কিশোরগঞ্জের পানিপড়ার ঘটনা এখন পুরো দেশেই আলোচনার বিষয়৷ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিষয়টি ভাইরাল৷ হাজার হাজার মানুষ বোতলে পানি নিয়ে আসেন৷ আর কবিরাজ একযোগে মাইকে ফু দেন৷ কিন্তু মানুষের এই পানিপড়া বা ঝাড়ফুঁকে এখনো আস্থা কেন?
নামী কবিরাজ বা হুটহাট গজিয়ে ওঠা ফকিরের কেরামতিতে রোগবালাই না সারলেও ঝাড়ফুঁকের পেছনে ছোটেন বাংলাদেশের অনেক মানুষ৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিকল্প চিকিৎসা হিসেবে অন্ধ বিশ্বাস থেকে অনেকে এসবের দ্বারস্থ হয়৷