1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ওয়াশিংটনের হুংকার সত্ত্বেও রেহাই পেলেন না ডেভিস

১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১

মার্কিন প্রশাসনের প্রবল চাপ সত্ত্বেও আপাতত কারাগারেই থাকতে হচ্ছে রেমন্ড ডেভিস’কে৷ কূটনৈতিক রক্ষাকবচের দোহাই সত্ত্বেও দুই ব্যক্তির হত্যার দায়ে ডেভিস’কে রেহাই দিল না পাকিস্তানের আদালত৷

https://p.dw.com/p/10IEj
ডেভিসের বিচারের দাবিতে পাকিস্তানে আন্দোলন (ফাইল ফটো)ছবি: AP

গত ২৭শে জানুয়ারি ডেভিস গুলি চালিয়ে দুই ব্যক্তিকে হত্যা করেন৷ ডেভিস'এর বক্তব্য, তারা ডাকাতির চেষ্টা করছিল বলে আত্মরক্ষার স্বার্থে তিনি গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছিলেন৷

রেমন্ড ডেভিস'কে ঘিরে ইসলামাবাদ ও ওয়াশিংটনের সম্পর্কে প্রবল উত্তেজনা বিরাজ করছে৷ ডেভিস'এর কূটনৈতিক মর্যাদা ও সেই কারণে আইনি রক্ষাকবচ রয়েছে বলে মার্কিন প্রশাসন যে দাবি করছে, পাকিস্তানের আদালত তা এখনো মেনে নিতে নারাজ৷ বৃহস্পতিবার লাহোরের এক আদালত এবিষয়ে সিদ্ধান্ত আগামী ১৪ই মার্চ পর্যন্ত মুলতুবি রেখেছে৷ ফলে আপাতত কারাগারেই থাকতে হচ্ছে ডেভিসকে৷ শুধু ডেভিস'এর গুলি চালানোর ঘটনা নয়, তাঁকে আদৌ কূটনীতিক বলা চলে কি না, সেবিষয়েও নিশ্চিত নয় আদালত৷ মার্কিন সেনাবাহিনীর বিশেষ ইউনিটের প্রাক্তন সদস্য হিসেবে ডেভিস লাহোরে মার্কিন কনসুলেটে কর্মরত ছিলেন৷

বারাক ওবামা প্রশাসন সর্বশক্তি প্রয়োগ করে রেমন্ড ডেভিস'এর বিরুদ্ধে আদালতে মামলার সম্ভাবনা থামানোর চেষ্টা করে চলেছে৷ কারণ একবার যদি কোনো মার্কিন কূটনীতিক বিদেশের কোনো আদালতে শাস্তি পান, সেই দৃষ্টান্ত দেখিয়ে অন্য কোনো দেশেও এমন পদক্ষেপ নেওয়া সহজ হবে৷ তাছাড়া কোনো মার্কিন দূতাবাসে যারা কর্মরত রয়েছেন, তাদের মধ্যে কে কূটনীতিক অথবা সাধারণ কর্মী, তা নিয়েও যে অস্পষ্টতা রয়েছে, সেবিষয়ে বেশি জলঘোলা করতে চায় না ওয়াশিংটন৷

গণতান্ত্রিক কাঠামোয় বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা থাকার কথা৷ অর্থাৎ প্রশাসন আদালতের কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারে না৷ পাকিস্তানের সরকারও ডেভিস'এর বিচারের ক্ষেত্রে এই কারণ দেখানোর চেষ্টা করছে৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও ওয়াশিংটনের প্রবল রোষের মুখে প্রবল সংকটে পড়েছে আসিফ আলি জারদারির সরকার৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম