1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ওয়াকফ বিল যৌথ সংসদীয় কমিটিতে গেলো

৮ আগস্ট ২০২৪

লোকসভায় ওয়াকফ বিল পেশ করলো নরেন্দ্র মোদী সরকার৷ বিরোধীদের আপত্তিতে তা পাঠানো হলো যৌথ সংসদীয় কমিটিতে৷

https://p.dw.com/p/4jFel
ভারতের নতুন সংসদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
সংসদে পেশ করার পর ওয়াকফ বিল নিয়ে বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার পর তা পাঠানো হলো যৌথ সংসদীয় কমিটিতে। ছবি: AP Photo/picture alliance

১৯৯৫ সালের সংশোধিত ওয়াকফ আইনে ৪০টির মতো সংশোধনী আনতে চেয়েছিল সরকার৷ বলা হয়েছিল, ওয়াকফ বোর্ড যে অর্থ পাবে তা বিধবা, বিবাহবিচ্ছিন্না নারী ও অনাথদের জন্য খরচ করতে হবে৷ সরকার যেভাবে সুপারিশ করবে, সেভাবেই তা খরচ করতে হবে৷ সম্পত্তিতে মেয়েদের অধিকার বজায় রাখতে হবে৷

প্রস্তাবিত আইনে ওয়াকফ কাউন্সিলে দুইজন নারী ও দুইজন অ-মুসলিমকেও রাখার প্রস্তাব রয়েছে৷ আওকাফ বোর্ডেও দুইজন নারী, দুইজন অ-মুসলিম, একজন করে শিয়া, সুন্নি, মুসলিমদের মধ্যে অনগ্রসর, বোহরা, আঘাখানি সদস্য থাকবেন৷ ওয়াকফ ট্রাইবুন্যালের রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা যাবে৷ কেন্দ্রীয় সরকার সিএজিকে দিয়ে ওয়াকফ বোর্ডের অডিট করাতে পারবে৷

প্রবল বিরোধিতা

এই বিল পেশ করার পরেই কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধীরা অভিযোগ করেন, সরকার এই বিল এনে ধর্মে হস্তক্ষেপ করছে, যা তারা সংবিধান অনুসারে তারা করতে পারে না৷

কংগ্রেস সাংসদ কে সি বেনুগোপাল বলেন, এই বিল সরাসরি ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর আঘাত৷ ওয়াকফ বোর্ডে কেন অ-মুসলিম সদস্য থাকবেন বলেও প্রশ্ন তোলেন বেনুগোপাল৷ সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব বলেন, যখন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের ব্যবস্থা আছে, সেখানে সদস্যদের মনোনীত কেন করা হবে? কোনো ধর্মীয় সম্প্রদায়ের বাইরের মানুষ কেন বোর্ডের সদস্য হবেন? সমাজবাদী পার্টির সংসদ মহিববুল্লা বলেন, এটা ধর্মে হস্তক্ষেপ ছাড়া আর কিছু নয়৷

এনসিপি নেত্রী সুপ্রিয়া সুলে জানান, কোনোরকম আলোচনা ছাড়াই বিল আনা হয়েছে৷ তাই বিলটি স্ট্যান্ডিং কমিটিতে পাঠানো হোক৷ এআইএমআইএম নেতা ওয়েইসি বলেন, এই বিল ভারতের সংবিধানবিরোধী ও ভেদাভেদপূর্ণ৷

মন্ত্রীর বক্তব্য

মন্ত্রী কিরণ রিজিজুর দাবি, কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন এই কাজ করা উচিত ছিল৷ কংগ্রেস করেনি বলে এখন সরকারকে এই কাজ করতে হচ্ছে৷ আমরা নির্বাচিত প্রতিনিধি৷ এই বিল আপনারা সমর্থন করুন৷ কোটি কোটি মানুষ আপনাদের আশীর্বাদ করবে৷ কিছু মানুষ ওয়াকফ বোর্ড দখল করে নিয়েছে৷ এই বিল মুসলিম সম্প্রদায়ের সাধারণ মানুষকে ন্যায় দিতে আনা হয়েছে৷

শেষ পর্যন্ত সরকার বিলটিকে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠায়৷ ফলে এখন যৌথ সংসদীয় কমিটি বিলটি নিয়ে কথা বলবে

জিএইচ/জেডএইচ (পিটিআই, এএনআই)