কুইজের সঠিক উত্তর:৩০ বর্গ কিলোমিটার৷ সঠিক উত্তরদাতাদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়েছে৷ এবারের বিজয়ী হলেন, মহিম মিদ্যা, গ্রাম: কুলচৌরা পোস্ট:হুরিয়া, জেলা: পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বঙ্গ, ভারত৷
প্রিয় মহিম মিদ্যা, আপনাকে অভিনন্দন! পুরস্কার আপনার হাতে পৌঁছে যাবে তবে একটু সময় লাগতে পারে তাই ধৈর্য ধরার অনুরোধ রইলো৷ অন্বেষণ কুইজে যারা অংশ নিয়েছেন তাদের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ৷ আপনাদের বন্ধুদেরও এই প্রতিযোগিতার কথা জানাবেন৷ জানাবেন ডয়চে ভেলের টেলিভিশন অনুষ্ঠান অন্বেষণ, ইউটিউব চ্যানেল এবং ওয়েবসাইটের কথা৷ অন্বেষণ অনুষ্ঠানের হ্যাশট্যাগও রয়েছে৷ বাংলায় # অন্বেষণ আর ইংরেজিতে Onneshon লিখে ফেসবুক, টুইটারে মন্তব্য করা যাবে৷ সবার প্রতি অনুরোধ, কুইজের উত্তরের সঙ্গে পুরো ঠিকানা দেবেন৷
সবার জন্য রইলো আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা৷
ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগ
-
মরুভূমিতে চাষাবাদ: পানি সাশ্রয়ে ভার্টিক্যাল ফার্ম
মরুর দেশে
“আমি যখন মরভূমিতে টমেটো চাষের কথা বললাম, সবাই আমাকে পাগল ভেবেছিল”, বলছিলেন পিওর হারভেস্ট স্মার্ট ফার্মের প্রতিষ্ঠাতা স্কাই কুরৎস। দেশটিতে বছরে গড়ে মাত্র ১২ দিন বৃষ্টি হয়, মাত্র এক শতাংশ জমি চাষের যোগ্য। ফলে ৮০ শতাংশ খাবারই আমদানি করতে হয়। চাষাবাদের জন্যও একেবারেই অনুপযোগী বলে মনে করা হয় দেশটিকে।
-
মরুভূমিতে চাষাবাদ: পানি সাশ্রয়ে ভার্টিক্যাল ফার্ম
ভার্টিক্যাল ক্ষেতই সমাধান?
কিন্তু কুরৎসের মতো বেশ কয়েকজন নবীণ উদ্যোক্তা এ নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। নতুন কৃষি প্রযুক্তিতে কোটি কোটি টাকাও বিনিয়োগ করছে আমিরাত সরকার। ভার্টিক্যাল ফার্মিং প্রযুক্তিও এর একটি।
-
মরুভূমিতে চাষাবাদ: পানি সাশ্রয়ে ভার্টিক্যাল ফার্ম
নির্দিষ্ট তাপমাত্রা, সাশ্রয়ী জল
গ্রিনহাউজের মধ্যে কয়েক ধাপে একটার ওপর আরেকটা গাছের স্তর চাষ করা হয়। এলইডি আলোর সাহায্যে তাপমাত্রা ও আলো নিয়ন্ত্রণ করা হয়৷ যাতে বাড়তি জল খরচ না হয়, সেজন্য ফোঁটায় ফোঁটায় জল দেয়ার ব্যবস্থা থাকে। তাছাড়া বাড়তি জল ওপরের স্তর থেকে নীচের গাছে যাওয়ায় অপচয় একেবারেই হয় না। এর ফলে তীব্র গরম বা কনকনে শীত, সারা বছরই চাষ করা সম্ভব হয়।
-
মরুভূমিতে চাষাবাদ: পানি সাশ্রয়ে ভার্টিক্যাল ফার্ম
জমির চেয়েও ভালো ফলন
আরেকটি ভার্টিক্যাল ফার্ম এরোফার্মের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক ওশিমা জানান, জমিতে যে ফসলের পাতা ছাড়তে ৩০ থেকে ৪০ দিন লাগে, এই পদ্ধতিতে সেটা ১০-১২ দিনেই করা সম্ভব। ২০২১ সালের মধ্যে রাজধানীর সবচেয়ে বড় ভার্টিক্যাল ফার্মে বিভিন্ন প্রজাতির ৮০০ ফসল ফলানোর জন্য আবু ধাবি বিনিয়োগ কার্যালয় থেকে বড় আকারের অনুদানও পেয়েছে এরোফার্ম।
-
মরুভূমিতে চাষাবাদ: পানি সাশ্রয়ে ভার্টিক্যাল ফার্ম
খাদ্য নিরাপত্তা
২০১৮ সালে উচ্চপ্রযুক্তির খাদ্য উৎপাদনের কেন্দ্রে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করে। তখন থেকেই নানা প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারী করমুক্ত সুবিধা নিয়ে দেশটিতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহে চাপ পড়ছে। মহামারির কারণে সব লকডাউনে থাকায় খাদ্য সংকটেও পড়েছিল দেশটি। ভার্টিক্যাল ফার্মের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়িয়ে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার স্বপ্ন দেখছে মরুর দেশ আরব আমিরাত।