1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এপ্রিলে কাবুল থেকে সেনা সরানো কঠিন: বাইডেন

১৮ মার্চ ২০২১

আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা কি এপ্রিলের মধ্যে সরিয়ে ফেলা হবে? বাইডেন বললেন, সময়সীমা মানা কঠিন।

https://p.dw.com/p/3qmpJ
১ মে-র মধ্যে মার্কিন সেনার আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার কথা। ছবি: Brian Harris/Planet Pix/ZUMA/picture alliance

গত প্রায় দুই দশক ধরে আফগানিস্তানে আছে মার্কিন সেনা। তালেবানের সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চুক্তি হয়েছিল, এপ্রিলের মধ্যে সব মার্কিন সেনা দেশে ফিরে যাবে। ট্রাম্প বেশ কিছু সেনা সরিয়েও নিয়ে গেছেন। তারপরেও এখন আড়াই হাজার মার্কিন সেনা আফগানিস্তানে আছে। মার্কিন ব্রডকাস্টার এবিসি-কে বাইডেন বলেছেন, ''আমি এখন সিদ্ধান্ত নেব, কবে তারা দেশে ফিরবে। হতে পারে এপ্রিলের মধ্যে। তবে তা খুবই কঠিন।''

তালেবান সঙ্গে সঙ্গে বাইডেনের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা বলেছে, ১ মে-র মধ্যে মার্কিন সেনা দেশে ফিরে না গেলে তাদের ফলভোগ করতে হবে। সংবাদসংস্থা এএফপি-কে তালেবানের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, অ্যামেরিকাকে দোহা চুক্তি মানতে হবে। মার্কিন সেনাকে ১ মে-র মধ্যে দেশে ফিরতেই হবে। কোনো যুক্তি দেখিয়ে বা কোনো ছুতোয় তারা যদি ফিরে না যায়, তা হলে যে পরিণতি হবে, তার জন্য তালেবান দায়ী থাকবে না।

বাইডেনের মন্তব্য এসেছে আফগানিস্তান নিয়ে মস্কো বৈঠকের একদিন আগে। মস্কোয় রাশিয়া, চীন, অ্যামেরিকা, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের প্রধান নেতারা এবং তালেবানের প্রতিনিধিরা আফগান সমস্যা সমাধানের জন্য  বৈঠক করবেন।

অ্যামেরিকার কিছু কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞের মতে, শান্তি চুক্তি হওয়ার আগে অ্যামেরিকার নেতৃত্বাধীন সেনা যদি আফগানিস্তান থেকে চলে আসে, তাহলে সেখানে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে। এমনিতেই ট্রাম্প অ্যামেরিকার সেনার সংখ্যা অনেকটাই কম করে দিয়েছেন। ২০০১ সালের পর এত কম মার্কিন সেনা কখনো আফগানিস্তানে থাকেনি। বাইডেন বলেছেন, ''তালেবানের সঙ্গে ট্রাম্প যে চুক্তি করেছিলেন, তা খুব ভালোভাবে আলোচনা করে করা হয়নি।''

বাইডেন জানিয়েছেন, ট্রাম্পের পর তার কাছে ক্ষমতার হস্তান্তর খুব সহজভাবে হয়নি। অনেক সময় নষ্ট হয়েছে। তাই এখন আফগানিস্তান নিয়ে তিনি সব দিক বিবেচনা করছেন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে বাইডেন তালেবানের সঙ্গে চুক্তি আবার খতিয়ে দেখার দাবি করেছিলেন।

বর্তমান চুক্তি অনুসারে অ্যামেরিকা সমর্থিত আফগান প্রেসিডেন্টকে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সেই সরকারে যারা থাকবেন, তার অর্ধেককে তালেবান মনোনীত করবে। কিন্তু আফগান প্রেসিডেন্ট এই শর্ত মানতে চাইছেন না।

জিএইচ/এসজি(এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)